খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে ১০টি গবেষণা প্রকল্পের জন্য এক কোটি টাকার বেশি বরাদ্দ দিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।
মাছের খাদ্য ব্যবস্থাপনা, ফুড কালার, দুধের সরবরাহ ব্যবস্থা, এবং গরু মোটাতাজাকরণে ব্যবহৃত ড্রাগসহ বিভিন্ন খাদ্যের মান অনুসন্ধানে এসব গবেষণা করা হবে।
বিএফএসএ জানিয়েছে, ১০টি বিষয়ে গবেষণা হবে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দের নেতৃত্বে গবেষণাগুলোর জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ এক কোটি তিন লাখ টাকা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিএফএসএ আয়োজিত গবেষণার প্রাক-অবহিতকরণ সেমিনারে এসব তথ্য জানানো হয়।
সেমিনারে গবেষকেরা তাদের গবেষণা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফএসএ চেয়ারম্যান জাকারিয়া।
বিএফএসএ চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যু অসংক্রামক রোগে হয়, যার মধ্যে ডায়রিয়ার কারণে মৃত্যু রয়েছে ৪ নম্বরে। এ কারণে গবেষণার পরিধি বাড়ানো প্রয়োজন।’
গবেষক ড. মো. আহসান হাবীব জানান, মাইক্রো ও ন্যানো প্লাস্টিকের মাত্রা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে, এগুলো নদী ও সাগরে ছড়িয়ে পড়ছে। মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর খাদ্যগুলো নিয়ে গবেষণায় গুরুত্ব দিতে হবে।
অন্য গবেষক ড. শারমিন রুমি আমিন বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষের অন্যতম পছন্দের খাবার পাঙ্গাশ ও তেলাপিয়া মাছে অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হচ্ছে, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস করে।’
ড. মো. আব্দুল মাসুম বলেন, দেশে পশু মোটাতাজাকরণে স্টেরয়েড ড্রাগ ব্যবহার হচ্ছে না বলা হলেও খামারিরা তা ব্যবহার করছেন। প্রথমে তারা স্বীকার না করলেও পরে জানান, হলুদ বা গোলাপি বড়ি নামক এ ড্রাগ ব্যবহার করা হচ্ছে।
‘এসব ড্রাগ সীমান্ত এলাকায় বেশি ব্যবহৃত হয়, কারণ ভারত থেকে সহজেই এগুলো পাচার হয়ে আসে। আমরা পশুর রক্ত ও মূত্র পরীক্ষা করে স্টেরয়েড ব্যবহারটা তুলে ধরব,’ বলেন তিনি।
সেমিনারে আলোচক ড. সহদেব চন্দ্র সাহা বলেন, স্ট্রিট ফুডে নানা ধরনের রং ব্যবহার করে খাবারকে আকর্ষণীয় করা হয়, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
অনুষ্ঠানে আলোচকেরা বলেন, বিশ্বে প্রতি বছর অনিরাপদ খাদ্য খেয়ে ৬০ কোটি মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে, যার মধ্যে চার কোটি মানুষের মৃত্যু হয়।