স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যারা ভাবেন, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো তো ঠিকঠাক কাজ করছে, এগুলো আপডেট করার প্রয়োজন কী? প্রযুক্তিসংশ্লিষ্টরাও বলছেন, অ্যাপগুলো চালাতে অসুবিধা বা একদম ক্র্যাশ না হওয়া পর্যন্ত খুব কম ব্যবহারকারীই এগুলো স্বেচ্ছায় আপডেট করেন। কেন সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো আপডেট করা প্রয়োজন, এ বিষয়ে চারটি কারণ উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট মেকইউজঅব।
নতুন ফিচার ব্যবহার
সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো আপডেট রাখলে নতুন ফিচারগুলো দ্রুত ব্যবহার করার সুযোগ পাওয়া যায়। এসব আপডেট মূলত নতুন ফিচার ও সুবিধা নিয়ে আসে, যা অ্যাপের মধ্যে যোগাযোগের উপায় পরিবর্তন করে। ফোনে স্বয়ংক্রিয় অ্যাপ আপডেট চালু রাখলে এসব ফিচার অন্যদের ব্যবহারের আগেই পরীক্ষা করার সুযোগ থাকে।
উন্নত কর্মক্ষমতা ও ত্রুটি ঠিক করা
প্রতিটি নতুন সংস্করণের সঙ্গে আসা বাগ (ত্রুটি) ফিক্স ও পারফরম্যান্স উন্নতির সুবিধা পাওয়া এসব অ্যাপ আপডেটেড রাখার অন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে। ছবি আপলোড করা, বার্তা পাঠানো বা ফিড স্ক্রল করার সময় যখন অ্যাপটি ল্যাগ, ফ্রিজ বা অপ্রত্যাশিতভাবে ক্র্যাশ করে—এটা খুবই হতাশাজনক ও বিরক্তির কারণ হতে পারে। অ্যাপগুলো আপডেট করে এসব সমস্যা এড়ানো যায়। ফলে অ্যাপ ব্যবহারের সময় কোনো বাধা তৈরি হয় না।
নিরাপত্তা সুবিধা
অ্যাপ আপডেটগুলো প্রায়ই এমন কিছু পরিবর্ধন নিয়ে আসে, যা প্রথমে তেমন স্পষ্ট নাও হতে পারে। তবে প্রতিবার আপডেটে ডেভেলপাররা দুর্বলতা ও নিরাপত্তার ত্রুটিগুলো সমাধান করে, যা হ্যাকাররা ব্যবহার করতে পারে। প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একটি পুরনো অ্যাপ ব্যবহার করা মানেই সাইবার অপরাধীদের জন্য একটি দরজা পুরোপুরি খোলা রাখা, ফলে তারা ব্যক্তিগত তথ্য অ্যাকসেস করতে পারে এবং সম্ভাব্য ক্ষতি ঘটাতে পারে। তাই নিয়মিতভাবে অ্যাপগুলো আপডেট করে নিরাপত্তা ঝুঁকিগুলো কার্যকরভাবে বন্ধ করা যায়।
ডিভাইসের সঙ্গে সামঞ্জস্য
একটি অ্যাপ ডিউভাইসে কতটা ভালোভাবে কাজ করছে, এ বিষয়ও গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বাগ নয়, পুরনো অ্যাপ সংস্করণগুলো নতুন আপডেটেড ডিভাইসেও বিরক্তিকর সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যেমন ফিড স্ক্রল করার সময় ল্যাগ হওয়া বা অপ্রত্যাশিত লগআউট। অ্যাপ আপডেট সাধারণত এ সমস্যাগুলো সমাধান করে এবং অ্যাপটিকে ফোনের সর্বশেষ আপডেটের সঙ্গে কাজ করার জন্য আরো উন্নত করে। যদি আপডেট উপেক্ষা করা হয়, তাহলে অ্যাপগুলো ধীর ও গ্লিচি হতে পারে, এমনকি প্রয়োজনের সময় ক্র্যাশ করতে পারে।
মেকইউজঅবের মতে, সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপগুলো আপডেট রাখা হয়তো একটি ছোট বিষয় মনে হতে পারে, কিন্তু এটি প্রতিদিন এসব প্লাটফর্মে ব্যবহারকারীর অভিজ্ঞতায় বড় পার্থক্য তৈরি করে। যেমন নতুন ফিচার উপভোগ করা, ডাটা নিরাপদ রাখা বা পারফরম্যান্স উন্নত করা। তাই পরবর্তী সময় যখন এমন ছোট আপডেট নোটিফিকেশন আসবে, এটি উপেক্ষা না করে গ্রহণ করতে হবে।