চাঁদপুরে জন্ম, কিন্তু শৈশব কেটেছে যশোরের উষ্ণ মাটিতে। বাবার চাকরির সূত্রে দেশজুড়ে ঘোরাঘুরি—আর সেই ভ্রমণের মাঝেই গড়ে উঠেছে এক অনন্য চরিত্রের বুনিয়াদ। তিনি আশিক চৌধুরী—বর্তমানে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (BIDA) ও বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEZA)-এর নির্বাহী চেয়ারম্যান, যিনি নিজেকে প্রমাণ করেছেন শুধুই একজন কর্মকর্তা নন, বরং এক সাহসী ভবিষ্যৎ নির্মাতা হিসেবে।
পড়াশোনার পথে পদে পদে শ্রেষ্ঠত্ব:
সিলেট ক্যাডেট কলেজে শৃঙ্খলার পাঠ, তারপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ থেকে বিবিএ। কিন্তু থেমে থাকার পাত্র তিনি নন—লন্ডন বিজনেস স্কুল থেকে মাস্টার্স, সঙ্গে চার্টার্ড ফাইন্যান্সিয়াল অ্যানালিস্ট (CFA)। শিক্ষা তাঁর কাছে ছিল কেবল ডিগ্রির বিষয় নয়, বরং নিজের ভেতরের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার হাতিয়ার।
চাকরির শুরুতেই নেতৃত্বের ছাপ:
ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোতে টেরিটরি অফিসার হিসেবে শুরু, তারপর স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, এইচএসবিসি, আমেরিকান এয়ারলাইন্সের মতো প্রতিষ্ঠানে ফাইন্যান্সের গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। দেশে ফিরে তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন বিডা ও বেজার মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানকে। সম্প্রতি সরকার তাকে প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছে—একটি নিঃসন্দেহে বিশাল স্বীকৃতি।
অভিনবতা ও সাহসের প্রতীক:
জীবন শুধু অফিসের চেয়ারে নয়, আকাশের মাঝেও লিখেছেন ইতিহাস। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করেছেন—৪১,৭৯৫ ফুট উঁচু থেকে বাংলাদেশের পতাকা হাতে স্কাইডাইভ! একজন স্কাইডাইভার, একজন পাইলট, একজন ভিজিটিং প্রফেসর এবং একজন সাহসী স্বপ্নদ্রষ্টা—আশিক চৌধুরী যেন একাই এক গল্পের বই।