বিনোদোনের মাধ্যম হিসেবে ভিডিও গেইমসের ব্যাবহার মূলত জনপ্রিয় হয়ে ওঠে ৯০ দশকের পর থেকে। তবে বানিজ্যিক ভাবে প্রথম ভিডিও গেইমস রিলিজ করা হয়েছিলো ৭০ এর দশকে। আমাদের মধ্যে এরকম অনেক গেইমস লাভার রয়েছে, যারা বিভিন্ন ধরনের ভিডিও গেইমস খেলতে অনেক পছন্দ করে। কিন্তু অনেকেই হয়তো জানেননা এই ভিডিও গেইমসের মধ্যে সেরা প্রথম ১০টি গেইমসের নাম। আজ আপনাদের জানাতে চলেছি বিশ্বের মধ্যে সেরা ১০টি ভিডিও গেইমসের ব্যাপারে। তো চলুন নিচে গিয়ে জেনে আসা যাক সেগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিতঃ⤵
১. রুলস অফ সারভাইভালঃ
এই ভিডিও গেইমটি প্রথম মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। এটি মূলত একটি ব্যাটল রয়েল গেইম। এই গেইমে একক পক্ষকে টিকিয়ে রাখতে হবে এবং শত্রুপক্ষকে নিশ্চিহ্ন করতে হবে। শেষ পর্যন্ত বেচে থাকা দলটি হবে বিজয়ী। দুই ধরনের গ্লোব্লালিক বৈশিষ্টের মানচিত্রে খেলা যায় এই গেইমটি। গেইমটি বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। গেইমটি বিশ্বব্যাপি মুক্তি পাওয়ার এক বছরের মাথায় এর ব্যাবহারকারী ছিলো ২৩ কোটি।
২. ফোর্টনাইটঃ
এই গেইমটি সূত্রপাত ঘটে ২০১৭ সালেই। এই গেইমটির তিনটি ভিন্ন মোড রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে সারভাইভাল মোড, দলগত সারভাইভাল মোড এবং ব্যাটল রয়েল মোড। এই গেইমটিতে সর্বচ্চো ১০০ জন পর্যন্ত প্লেয়ার এক টিমে খেলতে পারবে। এই গেইমটির ২০১৯ সাল পর্যন্ত ব্যাবহারকারী ছিলো ২৫কোটি।
৩. ফ্যান্টাসি ওয়েস্টওয়ার্ড জার্নিঃ
এই গেইমটি মুক্তি পায় ২০০১ সালে। এই গেইমটি মূলত তৈরী করা হয়েছিলো ‘মাইক্রোসফট ওয়ার্ল্ডে’ খেলার জন্য। এই গেইমটির গ্রাফিক্স ছিলো অসাধারন মানের। মুক্তির কয়েক বছরের মধ্যেই এই গেইমটি ‘চায়না’তে সর্বাধিক জনপ্রিয় গেইম হয়। ২০১৫ তে এই গেইমের ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ছিলো
৩১ কোটি।
৪. সলিটেয়ারঃ
এই গেইমটি ১৯৯০ সালে মুক্তি পাওয়া ‘উইন্ডোজ ৩.০ ভার্সনে’র সাথে বাজারজাত করা হয়। সেই থেকে উইন্ডোজের পরবর্তী সব ভার্সনেই এটি যুক্ত ছিলো। গেইমটি মূলত তৈরী করা হয়েছিলো কিছু কৌশলের জন্য। ২০১৫ সালের জুলাই পর্যন্ত এর
ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৪০ কোটি।
৫. প্লেয়ার আননোন ব্যাটলগ্রাউন্ডসঃ
এই গেইমটিকে চিনেনা এমন মানুষ খুব কম রয়েছে। সংক্ষেপে এই গেইমটির নাম ‘পাবজি’। এটি একটি মাল্টিপ্লেয়ার ব্যাটলরয়েল গেইম। এই গেইমটি মুক্তি পায় ২০১৭ সালে। গেইমটিতে কোনো একটি এলাকায় প্যারাস্যুট দিয়ে নামতে হবে সেই প্রতিযোগিকে। পরে জয়ী হওয়ার জন্য শেষ পর্যন্ত সকল শত্রুকে মেরে থাকতে হবে বেচে। ২০১৮ সালের হিসাব অনুযায়ী এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৪০কোটি।
৬. টেট্রিসঃ
এই গেইমটি তৈরী হয় ১৯৮০ সালে। এটিতে উপর থেকে নেমে আসা চার খন্ড বিশিষ্ট ব্লক গুলোকে কোনো ফাকা ছাড়া সারিবদ্ধভাবে সাজাতে হবে। ২০১৬ সাল পর্যন্ত এই গেইমটির ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ছিলো প্রায় ৫০কোটি।
৭. ক্যান্ডি ক্রাশ সাগাঃ
এই গেইমটি ২০১২ সালে তৈরী করা হয়। গেইমটির পর্দার বিভিন্ন রকমের ক্যান্ডি এদিক ওদিক করে তিন বা তার বেশি সংখ্যক একই রকম ক্যান্ডি পাশাপাশি বা উপর নিচ করে মিলাতে হবে। ২০১৪ সালে এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৫০ কোটি।
৮. প্যাকম্যানঃ
এই গেইমটি তৈরী করা হয় ১৯৮০ সালে, জাপানে। গেইমটিতে কনসোলের মাধ্যমে ‘প্যাকম্যান’ চরিত্রটিকে একটি গোলকধাধার মাঝে পরে থাকা বিন্দু সদৃশ খাবার গিলতে হতো। সেই সাথে চার রঙের চারটি ভূতের হাত থেকে সেই চরিত্রটিকে বেচে থাকতে হতো। ২০১০ সাল পর্যন্ত এর ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৫১ কোটি।
৯. ডান্জন ফাইটার অনলাইনঃ
এই গেইমটি ২০০৫ সালে তৈরী করা হয়, দক্ষিন কোরিয়াতে। গেইমটি রিলিজের পর অনেক জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। গেইমটি অনলাইনে দলগতভাবে খেলা যায়। সেই বছর এই গেইমটির ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ছিলো ৬০কোটি।
১০. ক্রস ফায়ারঃ
এই ভিডিও গেইমটি ২০০৮ সালে রিলিজ পায়। একক বা দলগতভাবে প্রতিপক্ষকে পরাজিত করতে হবে এই গেইমে। বিভিন্ন অভিযানে কমপ্লিটের মাধ্যমে এই গেইমটির লেভেল বাড়তে থাকবে। ২০১৮ সালের হিসেব অনুযায়ী এই গেইমটির ব্যাবহারকারীর সংখ্যা ৬৬ কোটি।