অনলাইন কিংবা অফলাইনে ডিজিটাল গেমিং বা ভিডিও গেমিংকে একটি আচরণগত রোগ আখ্যা দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। সূত্র: গেইমইনফরমার।
আর্ন্তজাতিক মানসিক শ্রেণিবিভাগ এবং সম্পর্কিত স্বাস্থ্য সমস্যা (আইসিডি -১১) এর জন্য ভোট নিয়েছে সংস্থাটি। আর সেখানেই এই আসক্তিকে ‘মারাতœক রোগ’ হিসেবে একটি আচরণকে অর্ন্তভুক্ত করা হয়েছে। নতুন ও গুরুতর রোগ হিসেবে বিবেচিত এই রোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘গেমিং ডিসঅর্ডার’।
বলা হচ্ছে এটি জুয়ার মতোই মারাতœক ব্যাধি। রোগটি নির্ণয়ের জন্য কমপক্ষে ১২ মাস পর্যবেক্ষণে রাখার পর লক্ষণ ও বৈশিষ্ট্য স্পষ্ট হয়।
ডিজিটাল প্রযুক্তি, বিশেষ করে মোবাইল ফোনের বিকাশের পর গেমিংয়ে আসক্তি ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। বিশ্বে একে পেশার পাশাপাশি নেশা হিসেবেও দেখা হচ্ছে। এই আসক্তির কারণে স্বাভাবিক জীবনাচরণে ব্যাঘাত ঘটছে। দেশেও অনলাইন আসক্তির চিকিৎসাকেন্দ্র চালু হয়েছে। উন্নত বা উন্নয়নশীল বিশ্বে এই সমস্যাটি আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। যে কারণে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এ নিয়ে রীতিমতো দুশ্চিন্তাগ্রস্ত হয়ে উঠেছে। আর এ জন্যই তারা এই ভোটাভুটির আয়োজন করে।
দেখা গেছে গেমিং ডিসঅর্ডারে আক্রান্তরা ক্রমাগত পুনরাবৃত্তি আচারণে অভ্যস্ত হয়ে পরে। অর্থাৎ তারা বারবার গেম খেলতে চায়। এমনকি দৈনন্দিন জীবনের স্বাভাবিক আচরণে ছেদ পড়লেও। অর্থাৎ অন্যান্য কাজকর্মের চেয়ে গেমিংকে তারা গুরুত্ব দিতে শুরু করে।
এর আগেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গত জুন মাসে এটিকে একটি ব্যাধি হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। তবে আজকের ভোটটি আনুষ্ঠানিকভাবে আইসিডি-১১ গ্রহণ করে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ যারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আদর্শ সদস্য হিসেবে পরিচিত সেসব দেশগুলোর জন্য এই ভোট তাদের স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা, প্রতিরোধ প্রভৃতির জন্য আরো এগিয়ে যাওয়ার একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হবে। আর সদস্য দেশগুলি আইসিডি -১১ ব্যবহার করে ২০২২ সালের জানুয়ারিতে অবশ্যই স্বাস্থ্য তথ্য রিপোর্ট করতে শুরু করবে।