স্মার্টফোন কেনার কয়েক দিনের মধ্যেই ব্যাটারির ব্যাকআপ কমতে শুরু করে এমন অভিযোগ অনেকেই করেন। এই সমস্যা সৃষ্টি হয় সাধারণত নিয়মিত স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় কয়েকটি ভুলের কারণে। ওই কারণগুলোর জন্যই নিজের অজান্তে স্মার্টফোন ব্যাটারির ক্ষতি করছেন সবাই। তাহলে কিভাবে সমাধান পাওয়া যাবে? দেখে নিন-
অ্যাডাপটার ব্যবহার
মনে করুন ইউএসবি টাইপ-সি পোর্ট ব্যবহার করে চার্জ করতে হয় আপনার স্মার্টফোন। কিন্তু বাড়িতে একাধিক পুরনো মাইক্রো ইউএসবি পোর্টের চার্জার থাকার কারণে একটি অ্যাডাপটার ব্যবহার করে নিয়মিত স্মার্টফোন চার্জ করতে শুরু করলেন। এর ফলে স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু ধীরে ধীরে কমতে পারে। চেষ্টা করুন ইউএসবি টাইপ-সি পোর্টের কেবল ব্যবহার করে চার্জ করতে। বিপদে না পড়লে চার্জিংয়ের সময় অ্যাডাপটার ব্যবহার এড়িয়ে চলুন।
নকল চার্জার
অরিজিনাল চার্জার খারাপ হলে অথবা হারিয়ে গেলে কম দামের চার্জার কিনে ফোন চার্জ করেন অনেকেই। নকল চার্জার ব্যবহার করে স্মার্টফোন চার্জ করলে একদিকে যেমন ব্যাটারিতে বিস্ফোরণের সম্ভাবনা থাকে অন্যদিকে জলদি খারাপ হতে পারে ফোনের চিপসেট ও ডিসপ্লে। তাই স্মার্টফোন চার্জ করার সময় অরিজিনাল চার্জার ব্যবহার করুন।
সারা রাত চার্জিং
দিনের শেষে স্মার্টফোনে চার্জ শেষ হলে তা চার্জে বসিয়ে রাতে ঘুমাতে যান অনেকেই। কিন্তু সারা রাত স্মার্টফোন চার্জ করলে ফোনের ব্যাটারির আয়ু কমতে থাকে। ফলে কয়েক মাস পরেই ব্যাকআপে তার প্রভাব পড়তে শুরু করবে। ৯০ শতাংশ চার্জের পর চার্জার থেকে স্মার্টফোন ডিসকানেক্ট করলে ব্যাটারির স্বাস্থ্য ভালো থাকবে।
সঠিক চার্জার নির্বাচন
ভালো কম্পানির অরিজিনাল চার্জারে সব সময় আউটপুট লেখা থাকবে। নতুন চার্জার কেনার সময় পুরনো চার্জারের আউটপুট দেখে নিন। ফাইভ-ভি ওয়ান অ্যা অথবা ফাইভ-ভি টু অ্যা এই ধরনের লেখা দেখতে পাবেন। অরিজিনাল চার্জারের থেকে বেশি কারেন্টের চার্জার ব্যবহার না করাই ভালো। তবে আপনার ফোনে যদি কুইক চার্জ সাপোর্ট থাকে আর ফোনের সাথে কম্পানি যদি কুইক চার্জার না দেয় সেই ক্ষেত্রে আলাদা কুইক চার্জার কিনে চার্জ করলে নিমেশে স্মার্টফোন চার্জ হবে। যদিও সেই ক্ষেত্রে ব্যাটারির ক্ষতি হবে না। তবে নতুন চার্জার কেনার সময় কুইক চার্জ ভার্সান মিলিয়ে নিতে ভুলবেন না।