কোনো ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপে মানুষ ভিজিট না করলেও যখন ভিজিটর বাড়তেই থাকে তখন সেই ভিজিটরকে সাধারণত বট ভিজিটর হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়। বট ভিজিটরকে নেতিবাচক হিসেবে আখ্যা দেয়া হলেও বাস্তবিক পক্ষে এটাকে নিতান্তই ভালো বা মন্দ বলা যাবে না; কারণ এটা আসলে বটের উদ্দেশ্যের ওপর নির্ভর করে।
কিছু বট সার্চ ইঞ্জিনে ওয়েবসাইটের উন্নতির জন্য ব্যবহৃত হয়। যেমন অ্যালেক্সা কিংবা সিরি। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই তাদের ওয়েবসাইটের জন্য এই ভিজিটর নিয়ে আসে।
অন্য বটগুলো ক্ষতিকর। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে এমন ধারণা প্রচলিত আছে যে, ওয়েবসাইটগুলোর ৫০ শতাংশ ভিজিটরই বট ভিজিটর এবং এর বেশির ভাগই ক্ষতিকর। এই কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বট ভিজিটরের ওপর বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণ রাখতে চায়।
ওয়েবসাইটে বট ভিজিটর আসছে তা বুঝবেন কীভাবে
ওয়েবসাইটের কাজে যারা নিয়োজিত তারা সহজেই বট ভিজিটরের বিষয়টি বুঝতে পারেন। ওয়েব অ্যানালিটিক্স টুলগুলো বিশেষ করে গুগল অ্যানালিটিক্স ও হিপের মাধ্যমে খুব সহজেই এটা বের করা সম্ভব। তবে খুব বেশি প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন না হয়েও বট ভিজিটর সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।
ওয়েবসাইটে নিচের বিষয়গুলো ঘটলে বোঝা যাবে বট ভিজিটর আসছে
হুট করেই ভিজিটর বেড়ে যাওয়া : হুট করেই ওয়েবসাইটে যদি অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অবিশ্বাস্যভাবে যদি ভিজিটর বেড়ে যায় তবে বুঝবেন সাইটে বট ভিজিটর আসছে।
অস্বাভাবিক বাউন্স রেট : ওয়েবসাইটে কোনো ভিজিটর আসার পর যদি নির্দিষ্ট একটি লিঙ্কে ক্লিকের পর অন্য কোনো লিঙ্কে ক্লিক না করেই চলে যায় তবে সাইটের বাউন্স রেট বৃদ্ধি পায়। তাই বাউন্স রেট বাড়লে বুঝবেন কোনো একটা নির্ধারিত পেজে বট ভিজিটর আসছে।
অধিক কিংবা স্বল্প সময় অবস্থান : ওয়েবসাইটে ভিজিটররা যদি খুব বেশি সময় অবস্থান করে তবে অস্বাভাবিকরকম ধীর গতিতে বট কাজ করছে। একজন সাধারণ মানুষের কোনো একটি পেজ দেখতে যে সময় দরকার হয় তার চেয়ে কম সময় ভিজিটর থাকলে বুঝতে হবে সেটাও বট ভিজিটর।
অপ্রত্যাশিত জায়গা থেকে ভিজিটর আসা : ওয়েবসাইটে যদি এমন জায়গা থেকে বেশি ভিজিটর আসতে শুরু করে যেখানে আপনার ওয়েবসাইটের ভাষাই খুব বেশি মানুষ বোঝেন না, তবে বুঝবেন বট ভিজিটর আসছে।