নভেল করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ছাড়িয়েছে। আর আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার লাখেরও বেশি মানুষ। আক্রান্তদের মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৮০৮ জন চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বাসা থেকে কাজের সুবিধা দিচ্ছে। আর বাসা থেকে কাজের ক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি উন্নত মানের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা।
তবে উন্নতমানের ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট কানেকশন থাকলেও বিভিন্ন কারণে তা স্লো হয়ে যায়। বাধাপ্রাপ্ত হয় বাড়ি থেকে কাজ। এ জন্য রইলো ৫ টিপস –
১. ফ্রিকোয়েন্সি চেক করুন: বর্তমান সময়ের ওয়াইফাই গুলো 2.4GHz এবং 5GHz ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডে চলে। 5GHz-এর ফ্রিকোয়েন্সি ব্যান্ডের রিচ কম হলেও কানেকশনে বাধা কম হয়। তবে 2.4GHz-এর কানেকশনে বাধা বেশি হয়। তাই রাউটারকে 5GHz-এ কনভার্ট করার চেষ্টা করুন। এতে ইন্টারনেটের স্পিড যেমন বাড়বে এবং বাধা কম হবে।
২. রাউটারের অবস্থান: কানেকশনে সমস্যা হলে, রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করতে পারেন। রাউটারের অবস্থান পরিবর্তন করলে, অনেক সময়ই তুলনায় ভালো স্পিড পাওয়া সম্ভব। রাউটারকে এমন জায়গায় রাখুন, যেখান দেওয়ালের বাধা কম। সেন্ট্রাল পজিশন সব সময়ই ভালো হয়। মনে রাখবেন, রাউটারের আশপাশে মাইক্রোওয়েভ, ওয়ারলেস ক্যামেরা এবং কর্ডলেস টেলিফোন রাখবেন না- এতে সিগন্যালের ক্ষতি হয়।
৩. এক ব্যান্ডউইথে অনেক ডিভাইস কানেকশন নয়: বাড়ি থেকে কাজের সময় অনলাইনে ভিডিও গেম খেলা বা ভিডিও না দেখার চেষ্টা করবেন। একই ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার করে একাধিক ডিভাইস কানেক্ট করবেন না। এতে ইন্টারনেটের স্পিড কমে যাবে।
৪. হার্ডওয়ার আপগ্রেড করে দেখুন: আউটডেটেড হার্ডওয়ারের কারণেও ইন্টারনেট স্পিড স্লো হতে পারে। তাই অবশ্যই আপগ্রেডেড মডেলের রাউটার ব্যবহার করুন। পুরনো রাউটারে ইন্টারনেটে স্পিডও স্লো হতে পারে।
৫. রাউটার রিসেট করুন: যদি ইন্টারনেট সিগন্যাল ও স্পিড নিয়ে সমস্যা থাকে, তবে নিয়মিত রাউটার রিসেট করুন। ওয়ারলেস রাউটারের জন্য DD-WRT লিনাক্স ভিত্তিক ফার্মওয়ার ব্যবহার করতে পারেন।