ডেস্কটপ কম্পিউটার কেনার সময় কনফিগারেশন ও বাজেট নিয়ে চিন্তায় থাকেন অনেকেই। কোনটা রেখে কোনটা কিনবেন? কী রাখবেন আর কি-ই বা ছেঁটে ফেলবেন ডেস্কটপ থেকে? এমন সব প্রশ্ন একপাশে রেখে নজর দিতে পারেন আমাদের এই গাইডলাইনে। আর এই গাইডলাইনটি তৈরিতে তুসিন আহমেদকে সহায়তা করেছেন পিসি বিল্ডারের টেক ইউটিউবার মাহবুব আলম রাকিব ও ফাহিম হোসেইন অতুল
একটা পিসি বা ডেস্ক কম্পিউটার বানানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রথমেই যে ব্যাপারটা মাথায় আসে তা হলো বাজেট। আর বাজেট ঠিক করার পর কমবেশি সবাই প্রথমে যে বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েন—কিভাবে কম্পিউটার তৈরি বা বিল্ড করা যাবে, কী কী যন্ত্রাংশ নির্বাচন করবেন, দোকানদার ঠকাচ্ছেন না তো ইত্যাদি। যন্ত্রাংশের দামের ধারণাটা আমরা অনলাইনের মাধ্যমে জানতে পারি; কিন্তু কম্পিউটার বানানোর জন্য আপনার বাজেটের হিসাবে কোন কোন যন্ত্রাংশ ভালো হবে সেসব বাতলে দিতেই এই গাইডলাইন।
কম বাজেটের (৩০ হাজার টাকা বা এর কম)
পিসি বিল্ডের প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশি খরচ করার মতো কম্পোনেন্ট বা যন্ত্রাংশ হলো প্রসেসর। এই বাজেটের পিসিগুলোতে যত ভালো মানের প্রসেসর ব্যবহার করা সম্ভব, আপনার পিসির গতি ততই ভালো হবে। প্রসেসরের ক্ষেত্রে ইনটেল এবং এএমডি দুটি ব্র্যান্ড আছে। বাজেট রেঞ্জে এএমডির ক্ষেত্রে ‘এএমডি রাইজেন ৩ ৩২০০জি’ এবং ‘এএমডি রাইজেন ৫ ৩৪০০জি’—দুটি প্রসেসর বাজারের অন্যতম সেরা বিক্রীত প্রসেসর। অন্যদিকে ইনটেলের ক্ষেত্রে ‘ইনটেল কোর আই৩ ৯১০০’ অথবা ‘ইনটেল কোর আই৩ ১০৪০০’ দুটি ভালো পছন্দ। এই প্রসেসরগুলোর দাম ১০ হাজার থেকে শুরু হয়ে ১৫ হাজার টাকার মধ্যে।
মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে দুটি প্রসেসর ব্র্যান্ডের (ইনটেল ও এএমডি) জন্য দুটি আলাদা ধরনের সমর্থিত মাদারবোর্ড কিনতে হবে। সাধারণত মাদারবোর্ডের চিপসেটের হিসেবেই মাদারবোর্ড কেনা উচিত। যদিও এ ক্ষেত্রে অন্যান্য ব্যাপার যেমন—মাদারবোর্ডের অন্য ফিচারগুলোও নির্ভর করে। এএমডি প্রসেসরের ক্ষেত্রে মাদারবোর্ড পছন্দ করতে হলে ‘এ৩২০’ চিপসেটের মাদারবোর্ড দেখে নিতে পারেন। যেকোনো মাদারবোর্ড মডেলেই লেখা থাকবে কোন চিপসেটের মাদারবোর্ড। যেমন—‘এমএসআই এ৩২০এম-এ প্রো’, ‘আসুস প্রাইম এ৩২০এম-ই ইভ এএসরক এ৩২০এম-এইচডিভি’সহ আরো বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মাদারবোর্ড বাজারে পেতে পারেন। এই মাদারবোর্ডগুলোর দাম হতে পারে পাঁচ হাজার ৫০০ টাকা বা এর কাছাকাছি।
অন্যদিকে ইনটেল মাদারবোর্ডের দিক থেকে ‘আই৩ ৯১০০’-এর জন্য ‘এইচ৩১০’ এবং ‘আই৩ ১০৪০০’-এর জন্য ‘এইচ৪১০’ চিপসেটের মাদারবোর্ড নিতে হবে। ব্র্যান্ড ও দামটা আপনার বাজেট এবং প্রয়োজনের ওপর নির্ভর করবে। ইনটেলের মাদারবোর্ডগুলোর দাম ছয় হাজার ৯০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে।
প্রসেসরকে সমর্থন দেওয়ার জন্য দরকার র্যাম। এই বাজেটের ডেস্কটপের প্রসেসরের জন্য একটি অথবা দুটি ৪ গিগাবাইট ২৪০০ বাস স্পিডের র্যামই যথেষ্ট হবে। র্যামের দাম শুরু দুই হাজার টাকা থেকে।
স্টোরেজ ডিভাইস পছন্দের ক্ষেত্রে দুটি পছন্দ আছে। একটি হলো এসএসডি, অন্যটি হার্ডড্রাইভ। যদি দ্রুত কম্পিউটার চালু-বন্ধ এবং দ্রুত সফটওয়্যার লোড টাইম চান, তাহলে এসএসডি ভালো অপশন; কিন্তু সে ক্ষেত্রে স্টোরেজের আকার হবে অনেক কম। আবার হার্ডড্রাইভ নিলে ডাটা স্টোরের জন্য অনেক জায়গা পাবেন; কিন্তু লোডিংয়ের গতি হবে অনেক কম। আর বাজেট যদি থাকে তাহলে দুটিই নিতে পারেন।
বাজারে বর্তমানে দুই হাজার টাকা থেকে এসএসডির দাম শুরু হয়ে থাকে। এম.২, সাটা বিভিন্ন ধরনের এসএসডি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ১ টেরাবাইট একটি হার্ডড্রাইভের দাম শুরু হয়ে থাকে তিন হাজার ৫০০ টাকা থেকে।
পুরো পিসিকে চালানোর শক্তি দেওয়ার জন্য দরকার পাওয়ার সাপ্লাইয়ের। সাধারণত কেসিংয়ের সঙ্গে আসা পাওয়ার সাপ্লাই দিয়েও আপনার কাজ চলে যেতে পারে; কিন্তু ব্যাপারটা আপনার কম্পিউটারের জন্য সুবিধাজনক হবে না। তাই অবশ্যই একটা ব্র্যান্ডেড পাওয়ার সাপ্লাই ব্যবহার করার পরামর্শ রইল। সাধারণত ব্র্যান্ডেড পাওয়ার সাপ্লাইয়ের দাম দুই হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে।
কম্পিউটারের ভেতরের যন্ত্রাংশগুলোকে বসানোর জন্য দরকার একটি কেসিং। বাজারে বাজেটের মধ্যে অনেক কেসিংই আছে। আবার অনেক ব্র্যান্ডেড কেসিংও আছে। কেসিং কেনার সময় খেয়াল রাখতে হবে কেসিংয়ে যেন যথেষ্ট বাতাস চলাচলের সুবিধা থাকে। এ ছাড়া কেসিংয়ে অতিরিক্ত ফ্যান থাকলে তা আপনার কম্পিউটারের ভেতরের যন্ত্রাংশগুলো ভালোভাবে ঠাণ্ডা করার কাজে আসবে। বাজারে সর্বনিম্ন কেসিংয়ের দাম এক হাজার ২০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে। বাজেট ও পছন্দ অনুযায়ী কেসিং নিতে পারেন।
মাঝারি বাজেটের (৫০-৭০ হাজার টাকা)
এই বাজেটের পিসি দিয়ে সাধারণত গেমিং থেকে শুরু করে মোটামুটি পেশাদার কাজও করা সম্ভব। এই পিসির প্রসেসরে ব্যবহার করতে পারেন ‘এএমডি রাইজেন ৪ ৩৫০০এক্স’, ‘রাইজেন ৫ ৩৬০০’-এর মতো প্রসেসরগুলো। এসবের দাম হতে পারে ১২ হাজার থেকে ১৫ হাজার ৫০০ টাকা। আর যদি ইনটেল প্রসেসর নিতে হয়, তাহলে ‘ইনটেল কোর আই৫ ১০৪০০’ ভালো অপশন। এটার দাম হতে পারে ১৪ হাজার ৫০০ থেকে ১৬ হাজার টাকা ।
রাইজেন নির্ভর প্রসেসরের জন্য ব্যবহার করতে পারেন ‘বি৪৫০’ চিপসেটের মাদারবোর্ড। র্যামের স্লট ও ফিচারের ভিত্তিতে এই চিপসেটের মাদারবোর্ডের দামের পার্থক্য হতে পারে। বাজারে অন্যতম সেরা ই৪৫০ চিপসেটের মাদারবোর্ড হলো ‘এমএসআই বি৪৫০ টোমাহক’, ‘এসরক বি৪৫০ স্টিল লিজেন্ড’ মাদারবোর্ড। এসবের দাম হতে পারে ১০ হাজার ৫০০ থেকে ১১ হাজার ৫০০ টাকা।
অন্যদিকে ইনটেলের দশম প্রজন্মের প্রসেসরের জন্য ‘এইচ৪১০’ চিপসেটের মাদারবোর্ড দরকার পড়তে পারে। বাজারে এই চিপসেটের মাদারবোর্ডের দাম শুরু হয় সাত হাজার ৫০০ টাকা থেকে।
র্যাম হিসেবে নিতে পারেন বাজেটভেদে ৮ গিগাবাইট থেকে ১৬ গিগাবাইট ২৬৬৬ মেগাহার্জ বাসের র্যাম। রাইজেন প্রসেসরের ক্ষেত্রে এর থেকে বেশি (যেমন ৩০০০ মেগাহার্জ কিংবা ৩২০০ মেগাহার্জ বাস) বাস স্পিডের র্যাম নেওয়ার পরামর্শ রইল। কারণ র্যামের বাস স্পিডকে ইনটেলের তুলনায় রাইজেন ভালোভাবে ব্যবহার করতে পারে এবং এতে প্রসেসরের পারফরম্যান্সও বৃদ্ধি পায়। মডেল অনুযায়ী তিন হাজার শুরু করে তিন হাজার ৭০০ টাকা হবে। এই বাজেটে এনভিডিয়ার ‘জিটিএক্স১৬৫০’ থেকে ‘জিটিএক্স১৬৬০ সুপার’ গ্রাফিকস কার্ড পেতে পারেন। এসবের দাম হতে পারে ১৬ হাজার থেকে ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে এএমডির ক্ষেত্রে ‘আরএক্স৫৫০’ থেকে ‘৫৬০০এক্সটি’ গ্রাফিকস কার্ডগুলো নিতে পারেন। এসবের দাম হতে পারে ১১ হাজার থেকে ৩২ হাজার টাকা। তবে এই বাজেটে সব দিক থেকে বিবেচনা করলে ‘এনভিডিয়ার জিটিএক্স১৬৬০ সুপার’ একটি অন্যতম ভালো পছন্দ। এটির দাম হতে পারে ২৪ হাজার ৫০০ টাকা থেকে ২৬ হাজার ৫০০ টাকা।
স্টোরেজ ডিভাইস নির্ভর করে আপনার বাজেটের ওপর। এই বিল্ডের ক্ষেত্রে অবশ্যই একটা এসএসডি কেনার পরামর্শ রইল। যেকোনো ব্র্যান্ডের ২৪০ গিগাবাইট এম-ডট-টু এসএসডি পাওয়া যাবে। এটির দাম হতে পারে তিন হাজার ৫০০ টাকা থেকে চার হাজার ৫০০ টাকা।
এ ছাড়া হার্ডড্রাইভ যোগ করতে পারেন। এটা নির্ভর করে আপনার বাজেটের ওপর। হার্ডড্রাইভের ক্ষেত্রে ‘জিগেট ব্যারাকুডা ১ টেরাবাইট’ বাজারে বহুল প্রচলিত একটি হার্ডড্রাইভ। এটির দাম হতে পারে তিন হাজার ৭০০ থেকে চার হাজার ২০০ টাকা।
সব কম্পোনেন্টে পাওয়ার দেওয়ার জন্য এ ধরনের বিল্ডে একটি ব্র্যান্ডেড ৫০০ থেকে ৫৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই যথেষ্ট হবে। এই বিল্ডের বাজেট অনুযায়ী সব ব্র্যান্ডের ৫০০ থেকে ৫৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই পাওয়া সম্ভব। এই পাওয়ার সাপ্লাইগুলোর দাম চার হাজার ৫০০ টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে।
সব যন্ত্রাংশ একসঙ্গে বসানোর জন্য কেসিং দরকার হয়। কেসিং বা চেসিসের ব্যাপারটা সম্পূর্ণ নিজের। অনেকেই লাইটিং দেখে কেসিং নিয়ে থাকেন, আবার অনেকেই বিল্ড কোয়ালিটি বা টেম্পার্ড গ্লাস দেখে কেস কিনে থাকেন। তবে কেসিং কেনার ক্ষেত্রে একটা পরামর্শ রইল—কেসিংয়ে যেন যথেষ্ট বাতাস চলাচলের সুযোগ-সুবিধা থাকে এবং এর পাশাপাশি কেসের সামনের দিকটা যেন যথেষ্টভাবে উন্মুক্ত থাকে, যাতে বাতাস টেনে নিতে পারে। এ ক্ষেত্রে কেসিংয়ের ফ্যানও গুরুত্বপূর্ণ।
সর্বশেষে বাজেটের কিছু টাকা যদি অবশিষ্ট থাকে, তাহলে প্রসেসরের জন্য আলাদা সিপিইউ কুলার নিতে পারেন; যদিও প্রসেসরের সঙ্গে যে কুলারটি দেবে তা কাজ চালানোর জন্য যথেষ্ট। তবে ভালো মানের একটি সিপিইউ কুলার আপনার প্রসেসরকে বেশি ঠাণ্ডা রাখতে সহায়তা করবে। এ ছাড়া বাজেটের অবশিষ্ট টাকাটা (যদি বাকি থাকে) কেসিং ফ্যানেও ব্যবহার করতে পারেন।
বেশি বাজেটের (এক লাখ বা তারও বেশি)
এই বাজেটের কম্পিউটারের বেশির ভাগ বানানো হয় প্রতিযোগিতামূলক/স্বাভাবিক গেমিং, ফটো ও ভিডিও এডিটিং, থ্রিডি এনিমেশন, গ্রাফিকস ডিজাইন ও রেন্ডারিং, রেকর্ডিং স্টুডিও ইত্যাদি কাজের উদ্দেশে।
এক লাখ টাকা বা এর চেয়ে বেশি বাজেটের ক্ষেত্রে প্রসেসর হিসেবে আপনার অবশ্যই নির্ধারণ করা উচিত এএমডির রাইজেন ৭ সিরিজ অথবা ইনটেলের আই সেভেন সিরিজের প্রসেসর। এসবের দাম হতে পারে ২৪ হাজার থেকে ৩৫ হাজার ৫০০ টাকা। এই রেঞ্জের প্রসেসরগুলো সাধারণত অক্টা কোর বা তার বেশি কোরের হয়ে থাকে এবং এর পাশাপাশি প্রসেসরগুলোর ফ্রিকোয়েন্সি যথেষ্ট বেশি হয়ে থাকে। তাই এসব প্রসেসর আপনাকে গেমিং বা যেকোনো কাজের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সুবিধা দিতে সক্ষম।
এই বাজেটের বিল্ডে আপনার অবশ্যই একটি আলাদা প্রসেসর কুলার প্রয়োজন পড়বে। কারণ ইনটেলের আই সেভেন প্রসেসরগুলোর সঙ্গে কোনো ধরনের কুলার দেওয়া থাকে না এবং রাইজেনের প্রসেসরের জন্য যে কুলারটি দিয়ে থাকে, তা যথেষ্ট নয়। তাই আলাদা করে সিপিইউ নেওয়াটা বাঞ্ছনীয়। এ ক্ষেত্রে ভালো মানের এয়ারকুলার নিতে পারেন। মডেল অনুযায়ী এসবের দাম হতে পারে দুই হাজার ১০০ টাকা থেকে ৯ হাজার টাকারও ওপরে।
এবার আসা যাক মাদারবোর্ডের ক্ষেত্রে; যদি এএমডি প্রসেসর হয় তাহলে ‘এক্স৫৭০’ চিপসেটের মাদারবোর্ড নেওয়ার পরামর্শ রইল। কারণ এই চিপসেটের মাদারবোর্ডে চতুর্থ প্রজন্মের ‘পিসিআইই’ স্লটের ফিচারটি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া আরো অতিরিক্ত অনেক ফিচারস এই চিপসেটের মাদারবোর্ডে থাকছে। অন্যদিকে ইনটেল প্রসেসরের ক্ষেত্রে ‘জেড৪৯০’ চিপসেটের মাদারবোর্ডগুলো যথাযথভাবে আই সেভেন প্রসেসরকে সমর্থন দিয়ে থাকে। এসবের দাম হতে পারে ২৬ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকা।
র্যাম হিসেবে সর্বনিম্ন ৮+৮=১৬ গিগাবাইট র্যাম যথেষ্ট হবে গেমিংয়ের জন্য। তবে যদি সম্পাদনা কিংবা রেন্ডারিংয়ের কাজ করে থাকেন, সে ক্ষেত্রে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী বেশি র্যামের দরকার হতে পারে। এই বাজেটের মাদারবোর্ডগুলোতে চারটি র্যাম স্লট থাকে; তাই ভবিষ্যতে র্যাম বাড়ানোর সুবিধাও থাকছে। এ ক্ষেত্রে র্যামের বাস স্পিড হতে হবে ৩২০০ বাস। র্যামের দাম হতে পারে ৯ হাজার থেকে ১১ হাজার টাকা।
এবার আসা যাক গ্রাফিকস কার্ড প্রসঙ্গে। গ্রাফিকস কার্ড কোনটা নেবেন সেটা নির্ভর করবে আপনার কাজের ওপর। যদি আপনার কাজ গেম খেলা হয়ে থাকে, তাহলে আরটিএক্স ২০০০ বা ৩০০০ সিরিজের গ্রাফিকস কার্ড আপনার চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। অন্যদিকে ভিডিও বা ছবি সম্পাদনা কিংবা রেন্ডারিং কাজের জন্য সর্বোচ্চ আরটিএক্স ২০৬০ই যথেষ্ট হতে পারে। এসব কাজের ক্ষেত্রে ভালো মানের প্রসেসর থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাজেটের ভিত্তিতে গ্রাফিকস কার্ড পছন্দ করার দায়িত্ব আপনার। দাম হতে পারে ৩৩ হাজার থেকে ৩৬ হাজার ৫০০ টাকা।
স্টোরেজে আপনার চাহিদা অনুযায়ী হার্ডড্রাইভ ও এসএসডি কিনে নিতে পারেন। তবে এই বাজেটের পিসিতে বেশির ভাগ ক্রেতার পছন্দে থাকা উচিত স্যামস্যাংয়ের এসএসডিগুলো। কারণ স্যামস্যাংয়ের এসএসডিগুলো রিড ও রাইট স্পিডে অন্যান্য এসএসডি থেকে অনেক গুণ এগিয়ে। ১ টেরার দাম হতে পারে ১১ হাজার ৫০০ থেকে ১২ হাজার টাকা।
পাওয়ার সাপ্লাই মূলত নির্ভর করে প্রসেসর ও গ্রাফিকস কার্ডের পাওয়ারের ওপরে। এ ক্ষেত্রে গোল্ড সার্টিফিকেশনের ব্র্যান্ডেড ৬৫০ থেকে সর্বোচ্চ ৭৫০ ওয়াটের পাওয়ার সাপ্লাই আপনার দরকার হতে পারে।
বাজেট, পছন্দ ও প্রয়োজনের ভিত্তিতে কম্পিউটারে অনেকেই অনেক রকমের চেসিস ব্যবহার করে, বিশেষ করে গেমারদের পছন্দের তালিকায় থাকে টেম্পার্ড গ্লাস ও আরজিবি ফিচারবহুল চেসিস। যদিও অনেকেই চেসিস কেনার ক্ষেত্রে ভালো এয়ারফ্লোকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তবে পেশাদারদের ক্ষেত্রে বেশি ফিচারবহুল চেসিস তাঁদের পছন্দের তালিকায় থাকে। যেমন ইউএসবি থান্ডারবোল্ট পোর্ট, একাধিক ইউএসবি ৩ আউটপুট পোর্ট, অতিরিক্ত এসএসডি ও হার্ডড্রাইভ সংযোজন করার সুবিধা এবং ভালো মানের এয়ারফ্লোকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। সে ক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ থাকবে ব্র্যান্ডেড মিড টাওয়ার থেকে ফুল টাওয়ারের চেসিস। এটার দাম নির্ভর করছে আপনার পছন্দ, প্রয়োজন ও বাজেটের ওপর।
বাজেট ফ্রি পিসি
‘বাজেট ফ্রি পিসি’ বলতে বোঝানো হয়েছে এই ধরনের কম্পিউটারের ক্ষেত্রে বাজেটের কোনো ধরাবাঁধা থাকে না। এই ধরনের কম্পিউটার ক্রেতা বা ব্যবহারকারী বাজারের সর্বোচ্চ ও সর্বোত্তম যন্ত্রাংশ দিয়ে কম্পিউটার বিল্ড করে থাকেন। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এ ধরনের বিল্ড হয়ে থাকে শৌখিন কম্পিউটার বিল্ড। এসব বিল্ড যেমন দেখতে সুন্দর হয়ে থাকে, এর পাশাপাশি সব ধরনের কাজে সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে থাকে। অনেকে নিজের পছন্দমতো কাস্টম বিল্ডও করে থাকেন। কাস্টম বিল্ড হচ্ছে কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এমনভাবে পছন্দ করা, যাতে পুরো কম্পিউটারে নান্দনিকতার ছাপ ফুটিয়ে তোলা সম্ভব হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকেই কম্পিউটার কেস পছন্দ অনুযায়ী রং করে অথবা মডিফিকেশন করে থাকেন। এ ছাড়া কাস্টম ওয়াটারকুলিং হয়ে থাকে এই বিল্ডগুলোতে।
এ ধরনের বিল্ড যেহেতু বাজেটের আওতায় পড়ে না, তাই এতে সর্বোচ্চ মানের প্রসেসর, মাদারবোর্ড, গ্রাফিকস কার্ডসহ অন্য সব যন্ত্রাংশ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক গ্রাফিকস কার্ডের এসএলআই করতেও দেখা যায়।
ওপরের বিষয়গুলো বাদেও কম্পিউটার বিল্ডে আরো অনেক বিষয় আছে, যা হয়তো এই লেখায় সংক্ষেপে বোঝানো সম্ভব নয়। তবু চেষ্টা করা হয়েছে একটা সংক্ষিপ্ত ধারণা দেওয়ার।
আছে মনিটরও!
এতক্ষণ শুধু কম্পিউটার বিল্ডের কথা বলা হলো। কিন্তু খেয়াল করলে দেখবেন মনিটর ছাড়াই বিল্ড গাইডের সাজেশন দিয়েছি। মনিটরের ব্যাপারটা আলাদা করে বলার কারণ একটা বিল্ডে মনিটর কেনার পছন্দটা একেকজনের কাছে একেক রকম। আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন যাঁরা ২৪ ইঞ্চি বা তার চেয়ে বড় আকারের মনিটর পছন্দ করে থাকেন, অথচ তাঁর পিসি হচ্ছে বাজেট রেঞ্জের। মনিটর কেনার ক্ষেত্রে প্রথমেই যে ব্যাপারটা লক্ষ করতে হবে, তা হলো মনিটরটি কোন প্যানেলের। সাধারণত মনিটর প্যানেল তিন ধরনের হয়ে থাকে—আইপিএস, ভিএ এবং টিএন প্যানেল। রঙের দিক থেকে এই তিনটি প্যানেলকে যদি পালাক্রমে রাখা হয় তাহলে আইপিএস, তারপর ভিএ এবং সর্বশেষ টিএন প্যানেল। অন্যদিকে যদি লো ইনপুট ল্যাগ, ফাস্টার রেসপন্স টাইম এবং কম মোশন ব্লার—এসবের দিক থেকে প্রথমেই থাকবে টিএন প্যানেল, এরপর ভিএ এবং সর্বশেষ আইপিএস। তবে টিএন প্যানেলের একটা অন্যতম দুর্বলতা হলো ভিউয়িং অ্যাঙ্গল পরিবর্তন হলেই রং পরিবর্তন হবে। ভিএ প্যানেল মাঝামাঝি পর্যায়ে থাকছে এবং বেশির ভাগ ভিএ প্যানেল কার্ভড মনিটর হিসেবে বাজারে আসে।
মনিটর প্যানেলের ক্ষেত্রে টিএন প্যানেলগুলো হাই রিফ্রেশ রেট এবং গেমিং মনিটর হিসেবে এত দিন চলে এলেও বর্তমানে আইপিএস প্যানেলগুলো হাই রিফ্রেশ রেটের গেমিং মনিটর হিসেবে বাজারে আসছে।
প্যানেল পরিচিতি শেষ হলো, এবার নজর দেওয়া যাক আকার এবং রেজল্যুশনের প্রতি। সাধারণত বেশির ভাগ সাধারণের হাতের নাগালে বা বাজেটের নাগালের মনিটরগুলো ২২ থেকে ২৭ ইঞ্চি এবং ১০৮০ থেকে ১৪৪০ পি রেজল্যুশনের হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে ২২ ইঞ্চি এবং ১০৮০ পি রেজল্যুশনকে সর্বনিম্ন ধরা হয়েছে, যদিও বাজারে এর থেকেও কম আকারের এবং কম রেজল্যুশনের মনিটরও পাওয়া যায়। এটা নির্ভর করে ব্যবহারকারীদের চাহিদার ওপর।
আরো একটি ব্যাপার হলো—আপনার মনিটরটি ঠিক কী উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে চাইছেন? যদি প্রতিযোগিতামূলক গেমিং করার উদ্দেশ্যে হয়, তাহলে অবশ্যই একটি হাই রিফ্রেশ রেটের মনিটরের প্রয়োজন হতে পারে। যদি ফটো ভিডিও সম্পাদনা বা ফ্রিল্যান্স কাজের প্রয়োজনে হয়ে থাকে, তাহলে আইপিএস প্যানেল নেওয়া ভালো। এ ছাড়া নাটক, সিনেমা দেখার জন্য আইপিএস প্যানেলই যথেষ্ট।
এতক্ষণে হয়তো একটা প্রাথমিক ধারণা পেয়ে গেছেন এবং আপনার চাহিদা হিসেবে কী ধরনের মনিটর নেবেন তা মনস্থিরও করে ফেলেছেন। কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হলো বাজেট। আর তাই বাজেটের ভিত্তিতে মনিটরকে চারটি ভাগে ভাগ করা যায়।
বাজেট অল পারপাস মনিটর
এই ধরনের মনিটরগুলো অল পারপাস বলার কারণ, এই মনিটর টুকটাক গেমিং, মুভি দেখা, ফটো বা ভিডিও এডিট বা ফ্রিল্যান্সিং কাজের জন্য যথেষ্ট।
দেশের বাজারে মনিটর ক্রেতাদের বাজেট থেকে থাকে ১০-১৪ হাজার টাকার মধ্যে। এই রেঞ্জের মনিটরগুলো সাধারণত ২২ ইঞ্চির ১০৮০ পি রেজল্যুশনের হয়। এই রেঞ্জের মনিটরের বেশির ভাগই আইপিএস প্যানেলের হয়ে থাকে। বেশির ভাগ মনিটর ৭৫ হার্জ রিফ্রেশ রেটের হয়ে থাকে। এ ছাড়া অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে এতে এএমডি ফ্রিসিংক ফিচারটিও দেখা যায়। স্যামসাং, আসুস, এলজি, ভিউসনিক, ফিলিপস, বেনকিউ, ডেল ইত্যাদি ব্র্যান্ডের মনিটর পাওয়া যায় দেশের বাজারে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হওয়া মনিটর মডেলের মধ্যে হচ্ছে—এলজি২২এমকে৬০০, আসুস ভিজেড২২৯এইচ, স্যামসাং এলএস২২আর৩৫০, ভিউসনিক ভিএক্স২২৭৬-এসএইচডি ইত্যাদি।
বাজেট একটু বেশি মানে ১৫ হাজারের বেশি হলে ২৪ ইঞ্চির মনিটরও পাওয়া যাবে। ওপরে যেসব ব্র্যান্ড এবং মডেলের মনিটর বলা হয়েছে, সেসব মনিটরেরই ২৪ ইঞ্চির মডেল আছে। প্যানেল এবং স্পেসিফিকেশনের হিসেবে এই ২৪ ইঞ্চির মনিটরগুলো ২২ ইঞ্চির মতোই, কিন্তু এ ক্ষেত্রে শুধু মনিটরের আকারটা একটু বড় হবে।
অল পারপাস মনিটরের মধ্যে আরো একটা সেগমেন্ট হলো ২৭ ইঞ্চির মনিটর। সাধারণত ২৭ ইঞ্চির মনিটরগুলো বাজেটের বাইরে হতে পারে অনেকের ক্ষেত্রেই। ২৭ ইঞ্চি মনিটরের দাম সাধারণত ২৪ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে। এন্ট্রি লেভেল এই ২৭ ইঞ্চির মনিটরগুলো ১০৮০ পি বা ফুল এইচডি রেজল্যুশনের হয়ে থাকে এবং বাকি স্পেসিফিকেশনে তেমন বিশেষ কিছু থাকে না।
গেমিং মনিটর
বুঝতেই পারছেন এই বিভাগে হাই রিফ্রেশ রেট এবং বিভিন্ন প্যানেলের গেমিং ডিজাইনের গেমিং মনিটর নিয়ে আলোচনা করা হবে। সাধারণত হাই রিফ্রেশ রেঞ্জের শুরুটাই হয় ১৪৪ হার্জের মনিটর দিয়ে। ১৪৪ হার্জ থেকে ৩৮০ হার্জ পর্যন্ত মনিটর থাকলেও দেশের বাজারে বর্তমানে সর্বোচ্চ ২৮০ হার্জের মনিটর পাওয়া যাচ্ছে।
মনিটরগুলোর দাম নির্ভর করে মনিটরের আকার, হার্জের পরিমাণ, রেজল্যুশন, প্যানেলের ধরনের ওপর। একদমই এন্ট্রি লেভেলের একটি ১৪৪ হার্জের একটি মনিটর হলো স্যামসাং এলসি২৪আরজিএল৫০এফকিউডাব্লিউ (কার্ভড ভিএ প্যানেল), এলজি২৪জিএল৬০০এফ (ফ্ল্যাট টিএন প্যানেল)। আর এই রেঞ্জের প্রতিযোগিতামূলক গেমারদের অন্যতম পছন্দ বেনকিউ এক্সএল২৪১১পি মনিটরটি। ৩০ হাজার টাকার ভেতরে টিএন আর ভিএ প্যানেল পাওয়া গেলেও আইপিএস প্যানেলের ক্ষেত্রে আসুস ভিজি২৪৯কিউ, ভিজি২৫৯কিউ বর্তমানে বাজারে পাওয়া যাচ্ছে।
বাজেট যত বাড়তে থাকবে মনিটরগুলোতে ফিচার এবং হার্জের পরিমাণ ততই বাড়বে। প্যানেল এবং ফিচারভেদে মনিটরের দামের পার্থক্য হতে পারে।
এই গেমিং মনিটরগুলো কার্ভড এবং ফ্ল্যাট প্যানেলের হয়ে থাকে। কার্ভড প্যানেলগুলো ২৪ থেকে শুরু করে ৩২ ইঞ্চি হয়ে থাকে।
মনিটর পছন্দের ক্ষেত্রে এটা একেবারেই নিজের পছন্দ, আপনি কার্ভড প্যানেলে গেমিং করবেন, নাকি ফ্ল্যাট প্যানেলই—সেটা একান্তই আপনার পছন্দ।
ওয়ার্কস্টেশন নির্ভর মনিটর
এ প্রসঙ্গে বলতেই হয় বিভাগের মনিটরগুলো তাঁদের জন্য যাঁরা ফটো ভিডিও এডিট বা গ্রাফিক্যাল কাজকে খুবই গুরুত্বসহকারে করে থাকেন। এ ক্ষেত্রে এই পেশার সঙ্গে যাঁরা জড়িত আছেন তাঁদের মনিটর থেকে শুধু চাই ভালো মানের অ্যাকিউরেট কালার এবং ভালো রেজল্যুশন। তাই বাজেটের ক্ষেত্রে কোনো কমতি থাকে না।
মনিটর ব্র্যান্ডগুলো এই পেশার মানুষের চাহিদার কথা মাথায় রেখে হাইলি কালার অ্যাকিউরেট মনিটর বানিয়ে থাকে। যেমন—আসুসের ক্ষেত্রে আসুস প্রোআর্ট সিরিজ, ডেলের ক্ষেত্রে ডেল আলট্রাশার্প সিরিজ, বেনকিউ এস ডাব্লিউ সিরিজ, এলজির ক্ষেত্রে এলজি ইউকে সিরিজের মনিটরগুলো অন্যতম।
এই মনিটরের অন্যতম প্রধান ফিচার হাইলি অ্যাকিউরেট এসআরজিবি, ডিসিআইপি-থ্রি কালার সাপোর্ট, ট্রু ১০ বিট বা তার বেশি কালার রেঞ্জ সমর্থন, এইচডিয়ার সাপোর্ট, ক্রোমা সাবস্যাম্পলিং ইত্যাদি।
যেহেতু আগেই বলা হয়েছে এই ধরনের মনিটরগুলো কোনো বাজেট মানে না, তাই এটি পুরোপুরি নির্ভর করে ক্রেতার ওপর, তিনি আসলে কোন ধরনের মনিটর কিনতে সচ্ছন্দবোধ করবেন। তবে দামের একটা ধারণা দেওয়ার জন্য বলা যাক, ডেল আলট্রাশার্প মনিটরগুলোর দাম ২৮ হাজার টাকা থেকে শুরু, আসুস প্রোআর্ট সিরিজের মনিটরের দাম ৪৩ হাজার টাকা থেকে শুরু হয়ে থাকে। এসব মনিটরে বিভিন্ন কালার প্রিসেট দেওয়া থাকে।
আলট্রাওয়াইড মনিটর
এ ধরনের মনিটরগুলো সাধারণত ৩৪ ইঞ্চি বা এর বড় আকারের হয়ে থাকে। আলট্রাওয়াইড মনিটরগুলো সাধারণত গেমিং অথবা ওয়ার্কস্টেশন যেকোনো কাজেই ব্যবহার হতে পারে, তবে তা নির্ভর করে মনিটরের ওপর। সাধারণত গেমিং আলট্রাওয়াইড মনিটরগুলো কার্ভড হয়ে থাকে, যাতে একটা চমৎকার অনুভূতি পাওয়া যায়। অন্যদিকে ওয়ার্কস্টেশন-বেজড মনিটরগুলো বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ফ্ল্যাট প্যানেলের হয়ে থাকে। এ ধরনের মনিটরগুলো মাল্টি মনিটর সেটআপের একটি অন্যতম বিকল্প বলা যায়। এ ধরনের মনিটরগুলো ভিএ, আইপিএস প্যানেলের হয়ে থাকে এবং বেশির ভাগ মনিটরের ক্ষেত্রে ট্রু এইচডিআর ১০ এবং সর্বোচ্চ ১০০০ নিটস ব্রাইটনেস হয়ে থাকে।
এ ধরনের আলট্রাওয়াইড গেমিং মনিটরগুলোর মধ্যে কিছু মডেল হলো—এলজি৩৪ইউসি৭৯জি, আসুস রগ সুইফট পিজি৩৪৯কিউ, ভিউসনিক ভিএক্স৩৫১৫-সি-এইচডি, স্যামসাং ৪৯ ৪৯এইচজি৯০, এলজি৩৪ইউসি৮৯জি-বি ইত্যাদি। এসবের দাম হতে পারে ৫০ হাজার থেকে ৮০ হাজার ৫০০ টাকা।
এ ছাড়া আলট্রাওয়াইড ওয়ার্কস্টেশন-বেজড কিছু মনিটর হলো—এলজি২৪ডাব্লিউকে৯৫ইউ, এলজি৩৫ডাব্লিউকে৯৫ইউ-ডাব্লিউ, এমএসআই প্রেস্টিজ পিএস৩৪১ ডাব্লিউইউ, আসুস ডিজাইনো কারভি এমএক্স৩৪ভিকিউ ইত্যাদি। এসবের দাম হতে পারে ৬০ হাজার থেকে এক লাখ টাকার ওপরে।
ওপরের উল্লেখ করা মনিটরের বাইরেও অনেক মনিটর আছে এবং বাজারে নতুন মনিটর আরো আসছে। তাই অনেক মডেল উল্লেখ নাও করা হতে পারে। তবে মনিটর কেনার ক্ষেত্রে কী কী দেখে নেবেন তা নিয়ে একটা ছোট ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যখনই মনিটর কিনুন না কেন তার আগে ভালোভাবে রিভিউ দেখে এবং যাচাই করে এরপর সিদ্ধান্ত নেবেন কোন মনিটরটা আপনার জন্য সেরা হবে!