সময় পেলেই মানুষ এখন ফেসবুকে ঢুঁ মারেন। সময় পার করার পাশাপাশি অনেকেই এখন ব্যবসায়িক কাজে ফেসবুক ব্যবহার করছেন। তবে ফেসবুকের নিরাপত্তাবিষয়ক নিয়ম-কানুন ভালোভাবে না জানার ফলে অনেকেই নানা হয়রানি ও বিড়ম্বনার মধ্যে পড়ছেন।
শুক্রবার পুলিশ সদর দফতরের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ পরিচালিত বাংলাদেশ পুলিশের ফেসবুক পেজে এ সংক্রান্ত একটি পোস্ট দেয়া হয়। যেখানে ফেসবুক আইডি নিরাপদ রাখতে কিছু নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
* ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় আপনার যে মোবাইল নম্বর বা ইমেইল অ্যাড্রেস ব্যবহার করবেন, তা সবসময় সচল রাখুন। কারণ হ্যাকার আপনার অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড বা ইমেইল পরিবর্তন করলে সঙ্গে সঙ্গেই আপনাকে সতর্ক করে একটি রিকভারি লিংক পাঠিয়ে দেয়। তাতে ক্লিক করে সহজেই হ্যাক হওয়া আইডি রিকভার করা সম্ভব।
* ফেসবুক অ্যাকাউন্টে ‘টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন’ চালু রাখুন। এর জন্য ফেসবুকের সেটিংস থেকে Security and login এ গিয়ে two-factor authentication অপশনে মোবাইল নম্বর কিংবা ইমেইল যুক্ত করুন।
* সরল/দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার না করে শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন। ব্যক্তিগত তথ্যের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোনো শব্দ (যেমন- জন্ম তারিখ, নিজের নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ইত্যাদি) পাসওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকুন।
* ছোট-বড় অক্ষর, নম্বর ও বিভিন্ন চিহ্ন মিলিয়ে কমপক্ষে ১২ ক্যারেক্টারের শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুন।
* ফেসবুকের ক্ষেত্রে ট্রাস্ট কন্ট্যাক্ট-এ ৩ থেকে ৫ জন ঘনিষ্ঠ ফেসবুক বন্ধুকে যুক্ত রাখুন। এর ফলে আইডি হ্যাক হয়ে গেলেও তা উদ্ধার করা সহজ হবে।
* ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খোলার সময় জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাম ও জন্মতারিখ ব্যবহার করুন। এতে আপনার আইডি হ্যাক হলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সহজ হবে।
* জন্মতারিখ, ফোন নম্বরসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য উন্মুক্ত রাখবেন না। এতে বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও প্রতারণা থেকে নিজেকে মুক্ত রাখা সহজ হবে।
* ফেসবুকের ক্ষেত্রে প্রাইভেসি সেটিংস অপশনটি ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তিগত তথ্য, ছবি, পোস্টের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। প্রয়োজনে প্রোফাইল লক করে রাখুন।
* স্ট্যাটাস, ছবি ইত্যাদি সতর্কতার সঙ্গে এবং প্রাইভেসি নিশ্চিত করে শেয়ার করুন। ফেসবুকে নিজের জীবনাচরণকে যতবেশি উন্মুক্ত করবেন আপনি ততবেশি ঝুঁকিতে থাকবেন।