ক্যাবল টিভি বা ডিসের লাইনে আমরা ইচ্ছেমতো চ্যানেল বদলাতে পারি মাত্র। এর বাইরে তেমন কোনো সুবিধা নেই। কিন্তু আইপি টিভির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সুবিধা আপনি আপনার সময়মতো অনুষ্ঠান দেখতে পারবেন। বাংলাদেশে এখন সবার বাসায় বাসায় যে ক্যাবল টিভি চলে সেখানে আমরা দেখি বাইরে হতে একটি গোল মোটা কালো একটি ক্যাবল বা তার এসে টিভির সঙ্গে প্লাগইন বা যুক্ত হয়েছে। একটু উন্নত ছবি ও বেশি চ্যানেলের জন্য এই ক্যাবল আবার একটা সেট-টপ বক্স হয়ে টিভির সঙ্গে যুক্ত হয়। সাধারণভাবে একে ডিসের লাইন বলা হয়ে থাকে।
বিশেষ সুবিধা কী এই আইপি টিভিতে ?
যেমন একটি অনুষ্ঠান রাত ১০টায় প্রচারিত হবে। আপনি ওই সময় ব্যস্ত থাকবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানটিও মিস করতে চান না। আইপি টিভি এই অনুষ্ঠান আপনি যখন দেখতে চান তখনই সম্প্রচার করবে। আইপি টিভি আপনার নির্দেশমতো ওই অনুষ্ঠান সয়ংক্রিয়ভাবে রেকর্ড করে রাখবে এবং আপনার সময়ে প্রচার করবে।
এছাড়া বাজারে প্রতিযোগিতার ফলে ক্যাবল টিভি অপারেটরগুলোর ‘দৌরাত্ম্য’ কমবে। ছবির মান ভালো হবে যেমন এইচডি ও ফোরকে রেজ্যুলেশনে টিভি দেখা যাবে।
আর একটি ইন্টারনেট লাইনে আইএসপিদের কাছ হতে ভয়েস, ডাটা ও আইপি টিভির সেবা নেয়া যাবে। ফলে ট্রিপল প্লের বিভিন্ন প্যাকেজে গ্রাহকের খরচ বেশ কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।
আসলে এই আইপি টিভি কী?
বাংলাদেশে এখন সবার বাসায় বাসায় যে ক্যাবল টিভি চলে সেখানে আমরা দেখি বাইরে হতে একটি গোল মোটা কালো একটি ক্যাবল বা তার এসে টিভির সঙ্গে প্লাগইন বা যুক্ত হয়েছে। একটু উন্নত ছবি ও বেশি চ্যানেলের জন্য এই ক্যাবল আবার একটা সেট-টপ বক্স হয়ে টিভির সঙ্গে যুক্ত হয়। সাধারণভাবে একে ডিসের লাইন বলা হয়ে থাকে।
একেকটি এলাকায় এই ডিসের লাইনের অপারেটর বা ক্যাবল অপারেটর থাকে। ক্যাবল অপারেটরের স্টেশনে বড় বড় ডিশ অ্যান্টেনা থাকে যেখান হতে স্যাটেলাইট থেকে ব্রডকাস্ট সিগন্যাল এসে ওই ক্যাবলের মাধ্যমে বাড়ি বাড়ি টিভিতে অডিও-ভিডিও সম্প্রচারিত হয়।
আইপি টিভি বা ইন্টারনেট প্রোটোকল টিভি বা ইন্টারনেট টেলিভিশনের ক্ষেত্রে এই সিগন্যাল ইন্টারনেট দিয়ে আসে, ব্যস। এর জন্য অ্যান্টেনার দরকার হয় না। মানে এখানে কোনো রেডিও সিগন্যালে অডিও-ভিডিও না এসে না ইন্টারনেটের মধ্য দিয়ে আসে। যেটি একসঙ্গে ইন্টারনেট হতে ডাউনলোড হয়ে স্ট্রিমিং বা সম্প্রচারিত হতে থাকে।
আইপি টিভি বা ভিওডি সেবা নিতে যা লাগবে ?
ডিসের ক্যাবলে যেভাবে টিভি দেখা যায় এখানেও বিষয়টি খুব একটা ব্যতিক্রম নয়। আইপি টিভি অপারেটররা ক্যাবল অপারেটরদের মতোই সংযোগ দিয়ে যাবে। তবে এখানে ইন্টারনেট লাইনে বা ক্যাবলে আইপি টিভির সেবা পাওয়া যাবে।
এজন্য ৫ হতে ১০ এমবিপিএস গতির ইন্টারনেট সংযোগ হলেই হবে। এতে এইচডি ছবিও নিরবিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে। ইন্টারনেট টিভি বা স্মার্টটিভি হলে সরাসরিই ইন্টারনেট ক্যাবল টিভিতে সংযোগ হবে। আর স্মার্টটিভি না হলে একটি সেট-টপ বক্স নিতে হবে। এই সেট-টপ বক্স ইন্টারনেট হতে আসা অডিও-ভিডিওকে ডিকোড করবে এবং টিভিতে স্ট্রিমিংয়ে জন্য উপযুক্ত করবে। এই সেট-টপ বক্স আইপি টিভি অপারেটররা দিয়ে যাবে।
এছাড়া চাইলে কম্পিউটারে এই আইপি টিভি দেখতে পাওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে শুধু অপারেটরের সংযোগ থাকলেই হবে।
আইপি টিভির খরচ?
বিটিআরসির সঙ্গে বৈঠকে আইপি টিভির সেবার জন্য সর্বোচ্চ ৬০০ টাকা সীমা নির্ধারণের প্রস্তাব দিয়ে আইএসপি অ্যাসোসিয়েশন। তবে এই সেবার বিভিন্ন ধরণ অনুয়ায়ি ৩০০, ৪০০ ও ৫০০ টাকার বিভিন্ন ধাপে পাওয়া যাবে।
কত টাকায় কতটি পে চ্যানেল থাকবে এসব ঠিক করে দেবে বিটিআরসি। স্মার্টটিভি না হলে সেট-টপ বক্সের জন্য মানভেদে ৩ হতে ৫ হাজার টাকা খরচ করতে হতে পারে গ্রাহককে। হয়ত এক সময় ফ্রিও দেয়া হতে পারে।
আপনি ফ্রি আইপি টিভি এন্ড্রয়েড মোবাইল বা স্মার্ট টিভিতে দেখতে পারেন। এজন্য চালু ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে। স্মার্ট টিভি না থাকলেও সমস্যা নেই। বাজারে বিভিন্ন ব্রান্ডের এন্ড্রয়েড টিভি বক্স পাওয়া যায় যা কিনে আপনার টিভির সাথে সেট করে নিলেই আপনার নন-স্মার্ট টিভি এন্ড্রয়েড টিভিতে পরিণত হবে। সাথে ইন্টারনেট সংযোগ থাকলেই আপনি ফ্রি আইপি টিভি উপভোগ করতে পারবেন। তখন আপনাকে মাসে মাসে ডিশ লাইনের বিল দিতে হবেনা।