আমরা অনেকেই গেমিং করে থাকি। হোক সেটা মোবাইল ফোনে বা কম্পিউটারে। হোক সেটা এক্সবক্স এক্স সিরিজে বা প্লে স্টেশান ৫ এ। আমাদের গেমের পারফর্মেন্সের উপরে সাউন্ড প্রচুর প্রভাব ফেলে। বিশেষ করে অ্যাকশন গেমগুলোতে সাউন্ড ও সাউন্ডের কোয়ালিটি প্রচুর প্রভাব ফেলে আমাদের গেমপ্লে তে। সাউন্ড যত পরিষ্কার ও সাউন্ড কোয়ালিটি যত ভাল হবে, আমাদের গেমপ্লে ততটা ভাল হবার সম্ভাবনা বেশি।
এটাতো গেল গেমিং এর পার্ট। মিউজিকের বেলাতেও অডিও কোয়ালিটি প্রচুর প্রভাব ফেলে। যারা মিউজিক ভালবাসেন তাঁরা সাধারণত বেইজ বেশি হলে ভাল মনে করেন। এইটা গেমারদের থেকে এক বড় পার্থক্য। তবে এই ২ জাতির মধ্যে মিল কোথায় জানেন? ভার্চুয়ালিজেশান। হ্যাঁ, গেমার আর মিউজিক লাভার ২ ধরণের মানুষের মধ্যেই এর চাহিদা ও প্রয়জোনিয়তা প্রচুর।
আপনি যদি একজন গেমার হয়ে থাকেন, বিশেষ করে যদি অ্যাকশান টাইপ গেম যেমন কল অফ ডিউটি বা পাবজি খেলে থাকেন তাহলে আপনার ফুটস্টেপ এর সাউন্ড ঠিকভাবে পেতে হলে এমন হেডফোন ব্যবহার করতে হবে যেটাতে ভার্চুয়ালাইজেশান আছে। আর যদি আপনি মিউজিক লাভার হয়ে থাকেন তাহলে আপনার মিউজিক ঠিকমত অনুভব করতেও ভার্চুয়ালাইজেশানের দরকার আছে।
আপনার মনে হয়ত প্রশ্ন জেগেছে যে ভার্চুয়ালাইজেশান আসলে কী? তার জন্য আপনাকে আগে চ্যানেল বুঝতে হবে। হেডফোন বা যেকোন আউটপুট অডিও ডিভাইসে ২টা চ্যানেল থাকে। একটা লেফট চ্যানেল ও আরেকটা রাইট চ্যানেল। আর এগুলো যথাক্রমে আমাদের বাম ও ডান কানের ইয়ারপিসকে নির্দেশ করে। যেসকল ইয়ারফোন ভার্চুয়ালাইজেশান সমর্থন করে সেগুলোতে এই চ্যানেলগুলো আলাদা থাকে। তাই বাম পাশের সাউন্ড বাম পাশ থেকে ও ডান পাশের সাউন্ড ডান পাশ থেকে শোনা যায়। মিউজিক শোনার সময় বেশ কিছু যায়গায় ভার্চুয়াল অডিওর ব্যবহার করা হয় আর গেমে তো সবসময়ই ভার্চুয়াল সাউন্ড থাকে।
তাহলে আপনি কিভাবে বুঝবেন যে কোন একটি হেডফোনে ভার্চুয়ালাইজেশানের সুবিধা আছে? এর জন্য আপনাকে শুধু একটি ওয়েবসাইট এ গিয়ে ৩টা যায়গায় ট্যাপ করতে হবে। এই লিঙ্কে ক্লিক করলেই আপনি সেই ওয়েবসাইটে চলে যাবেন। আর সেখানে গিয়ে একেবারে নিচে স্ক্রল করে দেখবেন ৩টা অপশান আছে। আপনি যেটাতে ট্যাপ করবেন সেই নির্দিষ্ট চ্যানেল থেকে তখন সাউন্ড আসবে। যদি ওয়েবসাইট এর সাথে আপনার অভিজ্ঞতার মিল থাকে তাহলে কোন সমস্যাই নেই আর যদি না মেলে তাহলে প্রচুর সমস্যা আছে। আর নতুন হেডফোন কেনার সময় অবশ্যই এই পরিক্ষা করবেন।