স্মার্টফোনে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নোটিফিকেশনের অপেক্ষা করা এক ধরনের মানসিক রোগ। অনেকেই এই রোগে আসক্ত। জেনে নিন আপনিও ফোনের নোটিফিকেশনে আসক্ত কি না? এর প্রতিকারও জানুন।
১. পুরো দিনে একবারও ফোনের নোটিফিকেশন টোনটা না বেজে উঠলে কেমন ফাঁকা ফাঁকা লাগে কি? মনে হয় দিনটার থেকে কোনও প্রাপ্তি হল না? এই ভাবনা কিন্তু আপনাকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তোলে। যত বেশি ফোনের দিকে তাকিয়ে নোটিফিকেশনের অপেক্ষা করেন, ততই বাড়ে মানিসক চাপ। তেমনটা হলে নোটিফিকেশন পাওয়া মাত্রই ফোন দেখার অভ্যেসটা বদলে ফেলুন। এতে আপনিই সুস্থ থাকবেন।
২. বাড়ি বা কর্মক্ষেত্রের হাজারো কাজের মাঝে হঠাৎ একটা নোটিফিকেশন আপনার মন খারাপ করে দিতে পারে। কিংবা কাজে আপনি অন্যমনস্ক হয়ে পড়েন।
আমেরিকায় একটি সমীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, নোটিফিকেশন দেখার পর কোনও ব্যক্তির কাজে মন ফেরাতে গড়ে ২৩ মিনিট ১৫ সেকেন্ড সময় লাগে। তাই ব্যস্ততার সময় ফোনটি দূরে রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ।
৩. অনেকেই কর্মক্ষেত্রে নিজেকে মাল্টি-টাস্কার বলে দাবি করে থাকেন। তাদের ধারণা, ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ঘোরাফেরার সময়ও অ্যাকচুয়াল দুনিয়াকে খুব ভালভাবেই সামলে নিতে পারেন তারা। কিন্তু এমন ধারণা নেহাতই মনের ভুল। সব কাজ একসঙ্গে করতে গিয়ে কোনওটাই সঠিকভাবে করা হয় না। কিংবা কোনও একটি কাজে নিজের সেরাটা দেওয়া সম্ভব হয় না। তাই প্রয়োজনীয়তা বুঝে নিজের কাজের সময়গুলো ভাগ করে নেওয়াই ভাল।
৪. ধরুন কোনও সময় ভুল করে নিজের সাধের মোবাইলটি বাড়িতে রেখেই বেরিয়ে পড়লেন। পরে খেয়াল হল আপনার সবসময়ের সঙ্গীর কথা। তখন কিন্তু মন পড়ে থাকে সেদিকেই। কোনও নোটিফিকেশন মিস করে যাচ্ছেন না তো? এই ভয়ই কাজ করতে থাকে। আর তাতেই বাড়ে মানসিক চাপ। অনেকে নোটিফিকেশন মিস হওয়ার ভয়ে ঘুমের সময়ও ইন্টারনেট অন রাখেন।
৫. পড়ে বিশ্বাস নাও করতে পারেন, তবে এই নোটিফিকেশনের অপেক্ষা আপনার মাথায় অদ্ভুত প্রভাব ফেলে। মস্তিষ্ক একই সময় অনেক কিছু কাজ একসঙ্গে করার চেষ্টা করে। স্বাভাবিকভাবেই তাতে মস্তিষ্কে খারাপ প্রভাব পাবে।