একটি স্মার্টফোনের ব্যাটারির আয়ু নির্ভর করে চার্জিং পদ্ধতির ওপর। সঠিক নিয়ম মেনে মোবাইল চার্জ দিলে অনেক দিন ব্যাটারি ভালো থাকে। আর ব্যাটারি অনেক দিন ভালো থাকলে মোবাইলও ভালো থাকবে। তবে প্রত্যেকটি চার্জারে থাকে ভিন্ন ভিন্ন ক্ষমতা। যার মাধ্যমে চার্জিংয়ের গতি নির্ধারিত হয়। কিন্তু আজকাল অনেক স্মার্টফোন বাক্সের সঙ্গেই চার্জার থাকে না। এছাড়াও অনেক সময় ব্যবহারের ফলে খারাপ হয়ে যায় চার্জার। এ ক্ষেত্রে ফোনের জন্য সঠিক চার্জার বেছে নিতে কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।
ব্যাটারি কনফিগারেশন
ফোনের ব্যাটারি চার্জিংয়ের জন্য একাধিক সার্কিট ব্যবহার হয়। এছাড়াও চার্জিং পোর্ট, কুলিং প্রযুক্তি, অতিরিক্ত কারেন্ট সরবরাহ বন্ধের মতো ফিচার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার ফোনে সর্বোচ্চ 20W চার্জিং সাপোর্ট থাকলে 65W অথবা 120W চার্জার ব্যবহার করে কোনো পার্থক্য বুঝতে পারবেন না। কারণ আপনার ফোনের সার্কিটে সর্বোচ্চ 20W চার্জিং সাপোর্ট ব্যবহৃত হয়েছে।
সেরা চার্জার
আপনার ফোন কেনার সময় বাক্সে যে চার্জারটি দেওয়া হয়েছিল সেটাই আপনার ফোনের জন্য সেরা চার্জার। তবে আপনি যদি এমন কোন ফোন কিনে থাকেন যে ফোনের বাক্সে কোন চার্জার ছিল না তাহলে ফোনের সর্বোচ্চ চার্জিং স্পিডসহ যে কোনো চার্জার কিনতে পারেন। তবে স্থানীয় কোম্পানির চার্জার না কিনে ভালো কোম্পানির চার্জার কিনুন। এতে আপনার শখের ফোনের আয়ু বাড়বে।
বাক্সে চার্জার না থাকলে কী করবেন?
আপনি যদি এমন কোন স্মার্টফোন কিনে থাকেন যে স্মার্টফোনে কোন চার্জার নেই তবে ফোনের ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বোচ্চ চার্জিং স্পিড দেখে নিয়ে সেই স্পিডের চার্জার কিনে নিন। যে কোম্পানির ফোন কিনেছে সেই কোম্পানির চার্জার কেনা বাধ্যতামূলক নয়। তবে স্থানীয় কোম্পানির চার্জার এড়িয়ে চলুন।
ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি এড়িয়ে চলুন
ফাস্ট চার্জিংয়ের ফলে ফোনের ব্যাটারির আয়ু দ্রুত কমতে শুরু করে। তাই দ্রুত চার্জ হলেও এই প্রযুক্তির দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা রয়েছে। তবে ব্যাটারির আয়ু বাড়াতে আজকাল ফোনে দুটি পৃথক ব্যাটারি ব্যবহার করছে কোম্পানিগুলো। খুব দ্রুত চার্জিংয়ের প্রয়োজন না হলে 20-30W স্পিডের চার্জার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার ফোনে দীর্ঘদিন ভালো ব্যাটারি ব্যাকআপ পাবেন।