নতুন ছবি তৈরির এআই টুল থাকলেও আবেগ বা স্মৃতি জাগানিয়া পুরনো ছবি ঠিক করে নতুন চেহারা দেওয়ার কোনো টুল এতোদিন ছিল না। তবে, এই সমস্যা নিরসনের উপায় বের করেছেন গবেষকরা।
চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট টেনসেন্টের বিনামূল্যের এআই টুলের বিষয়টি প্রথম চিহ্নিত করেছেন এআই বিশ্লেষক লুইস বউচার্ড এবং ফটোগ্রাফি সাইট পেটা পিক্সেল, যেখানে ব্যবহৃত হয়েছে ‘জেনারেল ফেসিয়াল প্রায়র-জেনারেটিভ অ্যাডভার্সারিয়াল নেটওয়ার্ক (জিএফপি-জিএএন)’। এই টুলের মাধ্যমে নষ্ট হওয়া এবং কম রেজুলিউশনের পোর্ট্রেইট ছবি ঠিক করা যাবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে এনগ্যাজেট।
দুটি এআই একীভূত হয়ে উচ্চমানের নির্ভুলতা ও গুণমান বজায় রেখে মাত্র কয়েক সেকেন্ডেই ছবির নষ্ট হয়ে যাওয়া অংশকে বাস্তবসম্মত চেহারায় রূপান্তর করে নতুন এই প্রযুক্তি।
এতোদিন প্রচলিত পদ্ধতিতে কৃত্রিম ও বাস্তব ছবির মধ্যে থাকা পার্থক্য নির্ণয়ের পর সেটি ‘ফাইন-টিউন’ করে পুনরায় ছবিটি ফিরিয়ে আনতো বিদ্যমান এআই মডেল, যা ক্রমাগত নিম্নমানের ফলাফল দেখাতো বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
নতুন পদ্ধতিতে বিদ্যমান এআই মডেলের একটি ‘প্রি-ট্রেইন্ড’ সংস্করণ (এনভিডিয়া’র স্টাইলজিএএন-২) ব্যবহৃত হয়, যা ছবি তৈরির প্রক্রিয়া চলাকালীন একাধিক পর্যায়ে দলের নিজস্ব মডেলকে জানায়।
ছবিতে থাকা মানুষের পরিচয় সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হওয়ার পাশাপাশি চোখ এবং মুখের মতো চেহারার ধরনে বেশি নজর দেয় নতুন এই প্রযুক্তি।
‘জিএফপি-জিএএন’-এর একটি ‘ডেমো’ সংস্করণ বিনামূল্যেই ব্যবহার করে দেখতে পারবেন ব্যবহারকারী। এ ছাড়া, টুলটির নির্মাতারা এরইমধ্যে তাদের কোড প্রকাশ করেছে, যার মাধ্যমে যে কেউই নিজস্ব প্রকল্পে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করতে পারবেন।
এই প্রকল্প এখনও বর্তমান এআই’র সীমাবদ্ধতার মধ্যে আবদ্ধ। এর নির্ভুলতা অবাক করার মতো হলেও ছবির হারিয়ে যাওয়া বিষয়বস্তু নিয়ে তথ্য নির্ভর অনুমান করছে এটি।
গবেষকরা সতর্কবার্তা দিয়েছেন, ব্যবহারকারী ছবির মধ্যে থাকা পরিচিত ব্যক্তির মধ্যে হয়ত কিছুটা পরিবর্তন দেখতে পাবেন এবং তার প্রত্যাশার চেয়ে কম রেজুলিউশনের ছবি হতে পারে এটি।