ইউটিউব চ্যানেল একটি মানুষের অনেক কষ্টের সফল। আর তাই ইউটিউব চ্যানেলের সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষা করাটা অত্যাবশক।
তবুও কোনো কারণে যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক হয়ে যায় তাহলে কি করবেন ?
১। পাসওয়ার্ড রিকভারী করুন
যদি আপনার কাছে এখনো এক্সেস থেকে থাকে,এবং আপনি যদি আচ করতে পারেন,যে আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক হয়ে গিয়েছে – তাহলে যতো দ্রুত সম্ভব পাসওয়ার্ড রিকভারি করে ফেলুন।
অবশ্যই টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন অন করে রাখুন। এতে হ্যাকার পুরোপুরি এক্সেস নেওয়ার পূর্বেই,আপনি আপনার চ্যানেল ফিরে পেতে পারেন।
২।সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করুন
একবার যদি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি সম্পূর্নভাবে হ্যাকারের হাতে চলে যায়,তখন আপনার আর কিছুই করার থাকবে না। সেক্ষেত্রে আপনার সর্বশেষ প্রচেষ্টা হলো সাপোর্ট সেন্টারে যোগাযোগ করা।
সাপোর্টে যোগাযোগ করার পর আপনার কাছ থেকে কিছু প্রমানাদি চাওয়া হতে পারে। প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে সহায়তা করুন।
সাধারণত এটি ৩-৪ সপ্তাহ সময় নিতে পারে। তো এতো গেলো ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে গেলে কি করবেন সে সম্পর্কিত তথ্য। কিন্তু,কথায় আছে না? প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধ উত্তম!
ইউটিউব চ্যানেল হ্যাক হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করার চেয়ে,ইউটিউব চ্যানেল কি করে সর্বোচ্চ সুরক্ষার বলয়ে রাখা যায় সেদিকে নজর দেওয়াটা উৎকৃষ্ট।
নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলি গ্রহন করে, আপনি আপনার চ্যানেলের সর্বোচ্চ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
-
শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করুনঃ কেবল মাত্র অলসতার বসে ইউটিউবে দুর্বল পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন না। এতে আপনার চ্যানেলটি হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বহুগুনে বেড়ে যাবে।
-
টু-স্টেপ ভ্যারিফিকেশন চালু রাখুনঃ আর্টিকেলের পূর্বেই বলেছি,যে টু স্টেপ ভ্যারিফিকেশন চালু করে রাখলে,চ্যানেল হ্যাক করতে গেলে হ্যাকারের বেগ পেতে হবে।
-
কখনোই বন্ধু-বান্ধবদের ফোনে লগিন করবেন নাঃ খুবই মারাত্বক একটি কাজ! ভুলেও এ কাজ করবেন না৷ হয়তো আপনার বন্ধু-বান্ধবই আপনার বিপদের কারণ হয়ে দাড়াতে পারে৷ “এ দুনিয়ায় আপনি নিজে ছাড়া সকলে পর”- গরিবের কথা বাসি হলেও মিঠে হয়৷
-
জিমেইল একাউন্ট দিয়ে,ইউটিউব চ্যানেল ব্যাতিত অন্য কোনো একাউন্ট খুলবেন না – এটি আপনার ইউটিউব চ্যানেলে আলাদা সুরক্ষা প্রদান করবে।
বিস্তারিত জানতে টেকজুম.টিভি’র এই প্রতিবেদনটি পড়তে পারেন৷