আইফোনে নন-রিমুভেবল ব্যাটারি ব্যবহৃত হয়। ফলে ব্যাটারি নষ্ট হলে রিপ্লেস করার জন্য মেকানিকের কাছে যেতে হয়। তাই আইফোনের ব্যাটারির যত্ন নিতে হবে। কিছু নিয়ম মানলে অ্যাপল ফোনের ব্যাটারি দীর্ঘদিন ভালো রাখা সম্ভব।
অ্যাপল বিশ্বের অন্যতম বড় মোবাইল ব্র্যান্ড। এর ফোনের ওভার-অল পারফরম্যান্স ছাড়াও, ব্যাটারি নিয়ে অধিকাংশ ব্যবহারকারীরাই নিশ্চিত। কোম্পানিটি আইফোনের ব্যাটারির জন্য লিথিয়াম আয়ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে। লিথিয়াম -আয়ন ব্যাটারিগুলো ফাস্ট চার্জিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। এমনকি এতে চার্জও বেশি সময় থাকে। তবে আইফোনের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম দেখা যায়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর আইফোনের ব্যাটারির কর্মক্ষমতা কমতে থাকে।
শুধু যে আইফোনের ক্ষেত্রে এমনটা হয়, তা বলা চলে না। যেকোনো ফোনই বেশি দিনের পুরনো হয়ে গেলে তার কার্যক্ষমতা কমে আসে। কিন্তু যেহেতু আইফোনের দাম অন্যসব ফোনের তুলনায় বেশি হয়, তাই ব্যবহারকারীরাদের চিন্তা করা যথাযথ।
আইফোনের ব্যাটারির স্বাস্থ্য উন্নত করার টিপস
সব সময় আপনার আইফোনের সফটওয়্যার আপডেট করে রাখুন। ফোন আপডেট করতে আইফোনের সেটিংসে গিয়ে জেনারেল অপশনটি ক্লিক করুন।
এবার সফটওয়্যার আপডেট অপশনে ট্যাপ করুন। যদি সর্বশেষ আপডেট পাওয়া যায়, তাহলে ফোনটি আপডেট করতে স্টার্টে ক্লিক করুন।
ব্যাটারি লাইফ উন্নত করতে আপনি ওয়াইফাই কানেকশন ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও, আপনি ফোনের ব্রাইটনেস অটো মোডে রাখতে পারেন।
ব্যাটারির স্বাস্থ্য বজায় রাখার আরও একটি উপায় হল, আপনি লো পাওয়ার মোড ব্যবহার করতে পারেন। যখন ফোনের ব্যাটারির চার্জিং ২০ শতাংশের কম হয়, আপনি লো পাওয়ার মোড চালু করে দিন। এতে চার্জ কম থাকা সত্ত্বেও আপনার ব্যাটারির উপর তেমন চাপ পড়বে না।
এছাড়াও আপনার আইফোনের ব্যাকগ্রাউন্ড অ্যাক্টিভিটি ফিচারটি বন্ধ করা উচিত। এতে ব্যাকগ্রাউন্ড এমন কোনও অ্যাপ চলতে পারবে না, যেগুলো চার্জকে কমিয়ে দেয়।
আইফোনের ব্যাটারি কখন পাল্টাবেন?
আইফোনের ব্যাটারি যদি কখনওই পুরো ১০০ শতাংশ চার্জ না হয়, তাহলে বুঝবেন এবার আপনার ফোনের কার্যক্ষমতা শেষ হয়ে এসেছে। অর্থাৎ এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ যে, একবার ব্যাটারি খারাপ হয়ে গেলে তার প্রভাব ফোনের উপরও পড়ে। তাই আগে থাকতেই সতর্ক থাকুন।