এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এখন প্রযুক্তি বিশ্বের জনপ্রিয় একটি ফিচার বলা যায়। যা মানুষের চেয়ে অনেক বেশি দ্রুত এবং নির্ভুল কাজ করতে পারে। যদিও মানুষের বুদ্ধিমত্তা ও চিন্তা শক্তিকে কৃত্রিম উপায়ে প্রযুক্তি নির্ভর করে যন্ত্রের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করেই এই এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তৈরি হয়েছে।
বর্তমানে এআই আশীর্বাদ হয়ে এসেছে মানুষের কাছে। যতটা না উপকার হচ্ছে অপরদিকে ক্ষতিও হচ্ছে খানিকটা। অনেকেই এআইয়ের অপব্যবহার করছেন। বিশেষ করে এর ভুক্তোভুগী হচ্ছেন নারীরা। এআইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ছবি ভিডিও তৈরি করে তা ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে ইন্টারনেটে।
আসল ছবি এবং এআইয়ের তৈরি করা ছবিতে খুব একটা পার্থক্য বোঝা যায় না। খালি চোখে তা বোঝা খুবই কষ্টকর বটে। তাই তো সহজেই প্রতারিত হচ্ছেন মানুষ। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতেই গুগল খুঁজছে পথ। এআই নির্মিত ছবিগুলো এখন শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ নয়, তা ছড়িয়ে পড়েছে ইন্টারনেটেও। কপিরাইটের ফাঁস এড়াতে অনেকেই এআই নির্মিত ছবি ব্যবহার করছেন। আর সেখানেই তৈরি হচ্ছে ঝামেলা। কোন ছবিটি কৃত্রিম মেধার বানানো আর কোনটি মানুষের তোলা বা আঁকা, তা বোঝা দায়।
গুগল এআই দিয়েই তৈরি করছে একটি টুল। যা এআইয়ের তৈরি ছবি খুব সহজেই শনাক্ত করতে পারবে। ডিপমাইন্ড ব্যবহার করে একটি টুল তৈরি করছে। এর সাহায্যে সহজেই শনাক্ত করা যাবে কোন ছবিগুলো এআই তৈরি করেছে। ওই সব ছবির মধ্যে থাকবে একটি জলছাপ। যা থেকে সহজেই শনাক্ত করা যাবে ছবির উৎস।
‘সিন্থ আইডি’ নামক সফটওয়্যারটির বিটা সংস্করণ প্রকাশিত হচ্ছে। এটি কোনো ছবির পিক্সেলগুলোতে একটি জলছাপ বা ওয়াটারমার্ক দিয়ে দেবে। সাধারণ চোখে ধরা না পড়লেও তা শনাক্ত করতে পারবে প্রযুক্তি।
সফটওয়্যারটি বিটা সংস্করণে রয়েছে। ডিপমাইন্ডের নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর ব্যবহারকারীরাই আপাতত এই সুবিধা পাবেন। ওয়াটারমার্ক টুলটি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে গুগল তাদের ‘ডিপ লার্নিং মডেল’ ব্যবহার করছে। ওয়ারমার্ক দেওয়ার ফলে ছবির গুণগত মান, রং কোনো কিছুই নষ্ট হবে না।