যেকোনো সময় আপনার প্রিয় ফোনটি চুরি বা হারিয়ে যেতে পারে। তখন কীভাবে খুঁজবেন। ফোনটি খুঁজে পাওয়া সহজ হবে যদি ফোনে থাকে ফাইন্ড মাই ডিভাইস নামের এই অ্যাপটি। তাই প্রতিটি ফোনেই এই অ্যাপ চালু রাখা উচিত।
হারানো বা চুরি হওয়া ফোনের লোকেশন দ্রুত জানার জন্য গুগলের ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ বেশ কাজের। বাড়ির সকলের স্মার্টফোন ট্র্যাক করতে পারবেন। অ্যাপে অ্যালার্ট সিস্টেমও রয়েছে যা অন রাখলে ফোনে সাউন্ড বাজতে থাকবে এবং দ্রুত সেটি খুঁজে পেয়ে যাবেন।
গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস কী ভাবে কাজ করে এবং কী সুবিধা আসুন জানা যাক।
ফোন হারিয়ে গেলে দ্রুত খুঁজে পাওয়ার উপায়
অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনের পাশাপাশি ব্লুটুথ ইয়ারবাড এবং পিক্সেল ওয়াচও ট্র্যাক করতে পারবেন। এমনকী সংস্থার ট্যাবেও ফাইন্ড মাই ডিভাইস অ্যাপ ইনস্টল করা যাবে। ভুলবশত স্মার্টফোন হারিয়ে ফেললে দারুণ কাজে আসতে পারে এই অ্যাপ। শুধু আপনার স্মার্টফোন নয়, বাড়ির সবার স্মার্টফোনের তথ্য এখানে সেভ করে রাখতে পারেন। তাদের স্মার্টফোন যদি হারিয়ে যায়, তাহলে আপনার ফোন থেকেই তা খুঁজে বের করতে পারবেন।
২০২৩ সালে অ্যানড্রয়েড ডিভাইস ম্যানেজার নামে এই অ্যাপ আনে গুগল। ২০১৭ সালে নাম বদলে হয় ফাইন্ড মাই ডিভাইস। এই অ্যাপে বাড়তি কিছু করতে হবে না। কারণ অ্যানড্রয়েড স্মার্টফোনের তথ্য/লোকেশন অটোমেটিক ট্র্যাক করে নিতে পারে গুগল।
স্মার্টফোনে কীভাবে গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইস সেটআপ করবেন?
প্রথমে গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করুন ‘Find My Device’।
এবার অ্যাপটি ইনস্টল করে নিন।
তারপর জিমেইল অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করতে হবে।
এই অ্যাপ ব্যবহার করার জন্য ফোনের লোকেশন সর্বদা অন রাখতে হবে।
গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইসের সুবিধা
লোকেশন ট্র্যাক করে স্মার্টফোনটি কোথায় রয়েছে জেনে যাবেন।
পাশাপাশি একটি অ্যালার্ট সিস্টেমও রয়েছে।
ফোন হারিয়ে গেলে তা অন করলে একটি সাউন্ড বাজতে থাকবে। যা শুনে ফোনের খোঁজ পেতে পারেন।
যে ফোন হারিয়ে ফেলেছেন তার লক স্ক্রিনের উপরেই মেসেজ ও ফোন নম্বর পাঠাতে পারেন। যে ফোনটি খুঁজে পাবেন তার যোগাযোগ করতে সুবিধা হবে।
বাড়ির অন্যান্য সদস্যর স্মার্টফোনও এখানে যোগ করতে পারবেন। এর জন্য তাদের জিমেইল অ্যাকাউন্ট অ্যাড করতে হবে অ্যাপে।
গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইসে চাইলে সমস্ত ডেটা ডিলিটও করে দিতে পারেন। তবে এক্ষেত্রে উপরোক্ত সুবিধাগুলো আর মিলবে না। পরিবারের সবার ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করার জন্য এই অ্যাপ অবশ্যই ইনস্টল করে নিন। এই অ্যাপ সম্পূর্ণ ফ্রি এবং ব্যবহার করাও বেশ সহজ।
অ্যাপে লগ ইন করার ক্ষেত্রে জিমেইল পাসওয়ার্ড অবশ্যই মনে রাখতে হবে। কারণটি অ্যাপটি জিমেইল অ্যাকাউন্টের সঙ্গে লিঙ্কড থাকে। তাই পাসওয়ার্ড ভুলে গেলে সমস্যায় পড়তে পারেন। অ্যাপের পাশাপাশি গুগল ফাইন্ড মাই ডিভাইসের ওয়েবসাইটও রয়েছে। সেখান থেকেও একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে।