কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের জন্য ফেসবুক ও ইউটিউব দারুণ প্ল্যাটফর্ম, যেখানে ভিডিও আপলোড করে আয়ের সুযোগ মেলে। মনিটাইজেশনের মাধ্যমে ফেসবুক ও ইউটিউব দুই জায়গা থেকেই ভালো টাকা আয় করা যায়। তবুও ক্রিয়েটরদের মধ্যে কেউ ফেসবুক, আবার কেউ ইউটিউবকে বেশি গুরুত্ব দেন। অনলাইন ভিডিও স্ট্রিমিংয়ের ক্ষেত্রে ফেসবুকের থেকে বেশি পুরনো ইউটিউব। এছাড়াও এখানে নানা বিষয়ের কনটেন্ট আপলোড হয়। যা নজর কাড়ে মানুষের। অন্যদিকে ইউটিউবে ভ্লগিং চ্যানেলের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় কনটেন্ট ক্রিয়েশনের মাধ্যমে টাকা আয় করে থাকেন অনেকে। যেই সংখ্যা ক্রমশ বেড়ে চলেছে। এক্ষেত্রে দুই প্ল্যাটফর্মে ভিডিওর সংখ্যা সবথেকে বেশি ইউটিউব এবং ফেসবুক। ইউটিউবের মালিক হল গুগল। সেখানে ফেসবুকের কার্যভার রয়েছে মেটার দখলে। কিন্তু, দুই প্ল্যাটফর্মের মধ্যে কোন জায়গা থেকে সবথেকে বেশি টাকা আয় করা যায় জানেন? আসুন জেনে নেওয়া যাক।
ইউটিউব না ফেসবুক কে বেশি টাকা দেয়?
সমীক্ষা থেকে দেখা গিয়েছে, প্রতি ১০ লাখ ভিউয়ে ফেসবুকে ২৫০ থেকে ২৬০ ডলার আয় করা যায়। যেখানে ইউটিউবে ২০০০ ডলারের বেশি আয় করা যায়। অর্থাৎ এক্ষেত্রে ইউটিউব এগিয়ে রয়েছে। ফেসবুকে একাধিক মনিটাইজেশন টুল রয়েছে। যেমন স্টার্স, ইন-ভিডিও পারচেস, ব্র্যান্ড কোলাবোরেশন ইত্যাদি।
অপরদিকে ইউটিউবেও রয়েছে অসংখ্য মনিটাইজেশন টুল। ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রামের অধীনে একাধিক উপায়ে টাকা উপার্জন করা যায়। যেমন – ইন-স্ট্রিম অ্যাড, স্পন্সরশিপ, সুপার চ্যাট ডোনেশন এবং চ্যানেল মেম্বারশিপ।
ইউটিউব ও ফেসবুকে মনিটাইজেশনের জন্য কী কী দরকার?
ফেসবুকে প্রায় ১০ হাজার পেজ লাইক এবং শেষ ৬০ দিনে ৩০ হাজার মিনিট ভিউ থাকলে চ্যানেল মনিটাইজেশন করা যা। অন্যদিকে ইউটিউবে কমপক্ষে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার এবং ৪০০০ ঘণ্টা ওয়াচ টাইম থাকলে মনিটাইজেশনের দরজা খুলে যায়।
একাধিক মাপকাঠিতে ফেসবুকের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব। কারণ ইউটিউবে এনগেজমেন্ট বেশি হয়ে থাকে। পাশাপাশি ইউটিউবে ডেটা ইউসেজও অনেক বেশি। প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ এমবি। যে কারণে ফেসবুকের থেকে মনিটাইজেশনের বিচারে এগিয়ে রয়েছে ইউটিউব।