গরমে শীতল বাতাস পেতে এসির বিকল্প নেই। তাপদাহে এসির ব্যবহার বেড়েছে। একটানা দীর্ঘক্ষণ এসি চালানোর ফলে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ঠিকমতো ঠান্ডা বাতাস মিলছে না। এই সমস্যা রুখতে পারেন নিয়মিত মেইনটেনেন্স প্রয়োজন। এসি থেকে ঠান্ডা বাতাস পেতে কিছু টিপস জানুন।
কেন এসি চালিয়েও ঠান্ডা বাতাস পাওয়া যায় না?
এসির কুলিং ক্ষমতা কমে যাওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। যেমন নোংরা ময়লা জমে যাওয়া, সঠিক মোডে না চালানো ইত্যাদি। তবে আরও একটি সমস্যা রয়েছে গ্যাস লিক। অনেকেই জানেন না বিভিন্ন ভাবে এসির রেফ্রিজারেন্ট গ্যাস লিক হতে পারে। যার ফলে কুলিং তো ঠিক মতো পাওয়া যায়না। পাশাপাশি ঘর আরও গরম হয়ে যায়।
দুইটি কারণে এই সমস্যা হতে পাতে – এক গ্যাসের লেভেল কম থাকা, দুই গ্যাস লিক হওয়া। কিন্তু, প্রশ্ন হল কেন এসি থেকে এই গ্যাস লিক হয় আর তা রুখবেন কীভাবে?
কী কারণে এসির গ্যাস লিক হয়?
প্রথম কারণ হল এসি ক্ষয়ে যাওয়া। যে কনডেন্সার পাইপ থাকে তা সময়ের সঙ্গে ক্ষয়ে যেতে শুরু করে। যার ফলে গ্যাস লিক হতে শুরু করে। এছাড়াও বাইরে থেকে এসি মেশিনে কোনও ক্ষতি হলে, যেমন ভারী কোনও যন্ত্রের সঙ্গে সংস্পর্শ বা ভেতর থেকে কোনও ক্ষতি হলেও গ্যাস লিক হতে শুরু করে।
আরও একটি কারণ হল ইনস্টলেশনে গাফিলতি। এসির মেশিন ইনস্টল করার সময় তাতে একাধিক গাফিলতি ধরা পড়ে। যার ফলেও গ্যাস লিক শুরু হতে পারে। এছাড়াও পিনহোল লিক হলেও গ্যাস লিক করতে পারে। কারণ যতই থাকুক না কেন প্রথম কাজ হল এই গ্যাস লিক বন্ধ করা।
এসি থেকে গ্যাস লিক হওয়া আটকাবেন কীভাবে?
আপনার কিছু করার আগেই বিষয়গুলো বুঝে যায় প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো। সেজন্য তারা আগেভাগে নানা যান্ত্রিক ইকুইপমেন্ট ইনস্টল করে রাখে যা গ্যাস লিক বন্ধ করতে সাহায্য করে। তবে কিছু দিন ব্যবহার করার পর সেই সমস্যা দেখা যেতে পারে। এক্ষেত্রে আপনাকে যা করতে হবে তা হল –
১. কপার কনডেন্সার ব্যবহার করা। কারণ এগুলো অক্সিডেশন প্রতিরোধ করে এবং ক্ষয়ক্ষতি হওয়া থেকে বাঁচায়।
২. এসির আউটডোর ইউনিট ছাওয়ার মধ্যে রাখার চেষ্টা করুন বা শেড রয়েছে এমন জায়গায় রাখুন। যাতে সরাসরি সূর্যের আলো না পড়ে এবং বাইরে থেকে কোনও যন্ত্র এসিতে ধাক্কা না লাগে।
৩. এসি যখন ব্যবহার করছেন না যেমন শীতকালে তখন আউটডোর মেশিন কভার করে রাখুন।
৪. সবশেষে এসি নিয়মিত মেইনটেনেন্স করতে হবে, যাতে এসি পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্ন থাকে।