শীতের সময় বাসাবাড়িতে সবচেয়ে বেশি যে গ্যাজেটটি কাজে লাগে সেটি হচ্ছে গিজার। গোসলের জন্য কিংবা খাওয়ার পানি গরম করার ঝামেলা থেকে রেহাই মেলে ঘরে একটি গিজার থাকলে। তবে এতো গিজার ব্যবহারের ফলে শীতে বিদ্যুৎ খরচ বেড়ে যেতে পারে।
তবে কিছু টিপস মেনে গিজার ব্যবহার করলে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কমতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক উপায়গুলো-
>> গিজারের তাপমাত্রা ৫০-৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সেট করুন। বেশি তাপমাত্রা নির্ধারণ করলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
>> গিজার দীর্ঘ সময় চালু না রেখে প্রয়োজন অনুযায়ী টাইমার ব্যবহার করুন। এটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে গিজার বন্ধ করতে সহায়তা করবে।
>> যদি সম্ভব হয়, ইনসুলেটেড ওয়াটার ট্যাংক ব্যবহার করুন, যা গরম পানি দীর্ঘ সময় ধরে উষ্ণ রাখে এবং পুনরায় গরম করার প্রয়োজন কম হয়।
>> গিজার ব্যবহারের পরপরই গরম পানি ব্যবহার করুন। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করলে পানি ঠান্ডা হতে পারে, যা পুনরায় গরম করার প্রয়োজন সৃষ্টি করবে।
>> পাঁচ তারা রেটিংযুক্ত বা এনার্জি সেভিং প্রযুক্তি সমৃদ্ধ গিজার ব্যবহার করুন। এটি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী।
>> পিক আওয়ারে বিদ্যুতের চাপ বেশি থাকে এবং খরচও বেশি হতে পারে। তাই রাতে বা পিক আওয়ারের বাইরে গিজার ব্যবহার করতে চেষ্টা করুন।
>> পরিবারের সদস্যসংখ্যার ভিত্তিতে সঠিক আকারের গিজার বেছে নিন। ছোট পরিবারের জন্য বড় গিজার ব্যবহার করলে বেশি বিদ্যুৎ খরচ হয়।
>> খুব গরম পানি প্রয়োজন না হলে, কোল্ড ওয়াটার মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন। এতে কম বিদ্যুৎ খরচ হবে।
>> গিজারের সঙ্গে সংযুক্ত পাইপ লাইনে ইনসুলেশন দিলে গরম পানি দ্রুত ঠান্ডা হবে না।
>> পানির মধ্যে থাকা ক্ষারক পদার্থ গিজারের হিটিং কুয়েলের উপর জমতে পারে, যা বিদ্যুৎ খরচ বাড়িয়ে দেয়। তাই নিয়মিত গিজার পরিষ্কার করুন।
>> সারাদিন গিজারের সুইচ অন করে রাখবেন না। স্নানের কিছুক্ষণ আগে সুইচ অন করুন, পানি গরম হয়ে গেলে নিভিয়ে দিন।
>> পানি গরম হয়ে গেলে গিজারটি মেন পাওয়ার পয়েন্ট থেকে বন্ধ করে দিন। গিজার বন্ধ না করে গোসল করবেন না। এতে বিদ্যুৎ কম পুড়বে, গিজার দীর্ঘদিন ভালো থাকবে।