পাসওয়ার্ড: দয়া করে abcd123 মার্কা পাসওয়ার্ড ব্যবহার করা বন্ধ করুন। এইগুলা বাচ্চারাও ভেঙে ফেলতে পারে। পাসওয়ার্ড এমন একটা দেন যেটা আপনি সহজে মনে করতে পারবেন, কিন্তু আর কেউ পারবে না। ক্যাপিটাল আর স্মল লেটার, সংখ্যা, চিহ্ন এগুলা মিলিয়ে পাসওয়ার্ড বানান। দরকার হলে পছন্দের গান দিয়ে বানান।
ধরুন, আপনার প্রিয় গান হলো “আমি তো মরেই যাবো চলেই যাবো..”। এইটাকে ইংরেজিতে ami to morei jabo…হয় তাহলে এর প্রতি শব্দের প্রথম অক্ষর নিয়ে বানালেন পাসওয়ার্ড। আন্দাজে কী সহজে কেউ এটা বের করতে পারবে? জটিল করতে মাঝে এটা সেটা ঢোকান, ক্যাপিটাল লেটার দেন।
(দয়া করে পাসওয়ার্ড কাগজে লিখে টেবিলে লাগিয়ে রাখবেন না। মাথার মধ্যে রাখুন)।
ই-মেইল/ফিশিং: ই-মেইলে পাঠানো কোনও লিংকে সহজে ক্লিক করবেন না। অ্যাটাচমেন্টও ভাইরাস স্ক্যানিং করে তবেই খুলবেন। বন্ধু মেইল করে যদি বলে এটা দেখো, তাহলেও দেখতে যাবেন না। কোনও সাইটে পাসওয়ার্ড দেওয়ার আগে খেয়াল করে নিবেন আসল সাইট কিনা, ব্রাউজারে আসল সাইটের নাম দেখাচ্ছে কি না।
ফেইসবুকের টোপ: প্রচুর “ভদ্র” “সুশীল” লোকজন ফেসবুকে ধরা খেয়েছে এইভাবে, লোভে পড়ে কোনো রগরগে লিংকে ক্লিক করে অ্যাকাউন্ট হারিয়েছে। লোভ সামলান। আপনার বন্ধু কোনও চটকদার রগরগে খবর পোস্ট করলেই অভ্যাসবশত সেখানে ক্লিক করে বসবেন না। অ্যাকাউন্টও যাবে, মানসম্মানটাও।
থাম্ব ড্রাইভ/ ফ্ল্যাশ ড্রাইভ: এগুলো ভাইরাস ছড়ানোর সবচেয়ে বড় মাধ্যম। অটোপ্লে/অটো-রান এগুলো ডিজেবল করে রাখুন। সব সময় অন্যের অচেনা ফ্ল্যাশ ড্রাইভ কম্পিউটারে ঢোকানোর আগে স্ক্যান করে নিন।
সিস্টেম আপডেট: অ্যান্টি ভাইরাস তো বটেই, তার সঙ্গে অপারেটিং সিস্টেমের যে আপডেট বা প্যাচ আসবে, সেগুলাকে উপেক্ষা না করে নিয়মিত আপনার সিস্টেম আপডেট করুন।
মোবাইল ফোন: দয়া করে মোবাইল ফোনে পিন লক চালু করেন। প্রায় ৪০ শতাংশ মানুষ এটা করে না, ফলে ছিনতাই/চুরি হলেই আপনার সবকিছু বাটপারের দখলে যাবে।
লগ-আউট: পাবলিক কোনও মেশিনে বসে কোনও অ্যাকাউন্টে (ফেসবুক, ই-মেইল) লগ-ইন না করাই ভালো। আর যদি নিতান্তই বসতে হয়, তবে কাজ শেষে লগ আউট করে দিন অবশ্যই।
সোশ্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং: “আমি… ব্যাংক থেকে বলছি, আপনার পাসওয়ার্ডটা দিন। অামরা ওটা অাপগ্রেড করে দিব। তানাহলে অাপনি ওটা ব্যবহার করতে পারবেন না।’ কখনও আপনাকে কেউ ফোন করে ব্যাংকের বা এরকম কোনও কোম্পানির কর্মকর্তা দাবি করলে বিশ্বাস করবেন না। বরং কল ব্যাক করে নিজের চেনা নম্বরে ডায়াল করে কথা বলুন। কারণ যে কেউ নিজেকে ব্যাংকের লোক বা … কোম্পানির কর্মকর্তা দাবি করে প্রতারণা করতে পারে।
সতর্কতার আসলে শেষ নেই, তবুও এই কয়েকটা পয়েন্টে সতর্ক থাকলে অনলাইনে নিরাপদ থাকা কিছুটা হলেও সম্ভব।