তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ‘ফ্রিল্যান্সিং একটি বিশাল জগৎ। অর্থনীতির ভাষায় এটিকে ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট বলা হয়। আমাদের নারীরা যদি এর সঙ্গে যুক্ত হয় তাহলে তাদের যেমন অর্থনৈতিক স্বাধীনতা আসবে, তেমনি ভাবে বাংলাদেশও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের মাধ্যমে লাভবান হবে।’
সম্প্রতি রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে ‘‘ফ্রিল্যান্সিং জগতে নারীদের দক্ষতা বিকাশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে বর্তমানে ১ লাখ ৭০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যেখানে সাড়ে চার কোটি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে। তাদের সবার কর্মসংস্থান করা সরকারের পক্ষে হয়ত সম্ভব হবে না। তবে সরকার তাদের জন্য সারাবিশ্বকে উন্মুক্ত করে দেবে। আউটসোর্সিংয়ের যে ট্রিলিয়ন ডলার মার্কেট রয়েছে সেটিকে ধরতে হবে। এর ন্যূনতম অংশও যদি বাংলাদেশে আসে তাহলে দেশে কোনো দারিদ্র্য থাকবে না। কাউকে বেকার থাকতে হবে না।’
প্রতিমন্ত্রী পলক জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে ২০ লক্ষ তরুণ-তরুণীর জন্য প্রযুক্তিখাতে কাজের পরিবেশ তৈরি করতে চায় তার মন্ত্রণালয়। এদেরকে মাধ্যম করে ২৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের পণ্য রফতানি করতে চায় বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ‘বর্তমান পৃথিবী সহযোগিতার জন্য প্রতিযোগিতার জন্য নয়। আমরা আমাদের নতুন প্রজন্মকে সহযোগিতা করব যেন তারা এ বাজার ধরতে নেতৃত্ব দিতে পারে।’
তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বাংলাদেশি নারীদের দক্ষতা বিকাশ ও আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত করে দিতে একটি প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান কোডারসট্রাস্ট। এ প্রকল্পের মাধ্যমে এক হাজার সুবিধাবঞ্চিত নারীকে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে বিনামূল্যে দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কোডারসট্রাস্ট এর কোফাউন্ডার, কোডারসট্রাস্ট বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আজিজ আহমদ, বাংলাদেশে নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইনি পিটারসেন, বাংলাদেশ সরকারের মুখ্যসচিব নজিবুর রহমান, সাবেক মুখ্যসচিব আব্দুল করিম, সাবেক শিক্ষাসচিব নজরুল ইসলাম খান, ন্যাশনাল স্কিল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন এবং জাতীয় সংসদের সদস্য শিরিন আক্তার।