বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশ ‘আসুস’, ল্যাপটপ কনজিউমারদের মধ্যে একটা স্থান করে নিয়েছে। ‘আসুস’ অলওয়েজ তাদের প্রিমিয়ামনেস এবং পারফরমেন্সের জন্য সুপরিচিত। ‘জেন’ সিরিজ হলো তাদের সব থেকে বড় একটি উদাহরণ। ‘জেনবুক’ অলওয়েজ তাদের প্রিমিয়ামনেস মেইনটেইন করে চলে এবং এটার জন্য তারা কনজিউমার লেভেলে সুপরিচিত। আজকে কথা হবে এই ‘আসুসে’র একটি ‘জেনবুক’ নিয়ে। ‘আসুসে’র এই ল্যাপটপের মডেল টির নাম ‘জেনবুক ফ্লিপ এস’।
তো চলুন কথা না বাড়িয়ে নিচে গিয়ে দেখে আসা যাক কি কি আছে এই ল্যাপটপের ভিতরেঃ⤵️
শুরুতেই কথা বলা যাক এর লুক নিয়ে।
ল্যাপটপটি দেখতে ছিল খুবই হালকা পাতলা। এর ডিসপ্লেটা ছিল ন্যারো শেপের এবং ওভারঅল চেজ অনেক ক্লিন। বাস্তবিক ভাবে এ ল্যাপটপটির সবচেয়ে আকর্ষণীয় দিক হচ্ছে ‘আর্গোনিক হিঞ্জ মেকানিজম’। আসুস তাদের এই ল্যাপটপ এ আর্গোনিক ৩৬০° প্রোভাইড করেছে। যেটা অসাধারণ একটি বিষয়। ল্যাপটপটির বলেছিল ম্যাগনেসিয়াম অ্যালুমিনিয়ামের তৈরি। যেটা অনেক শক্ত পোক্ত এবং বেশ ডিউরেবল। ল্যাপটপটির মোট ওজন মাত্র ১.২ কেজি। যেটা এ ল্যাপটপটির আর একটি অসাধারন দিক। এটি সংরক্ষণের জন্য ‘আসুস’ তাদের বক্সে দিয়েছে একটি প্রিমিয়ামনেস ব্যাগ।
পোর্টের ক্ষেত্রে ল্যাপটপটির বাম পাশে রয়েছে দুইটি থান্ডার বোর্ড ফোর পোর্ট, একটি এইচডি এমআই পোর্ট এবং এটার ডান পাশে রয়েছে একটি জেন ওয়ান টাইপ এ ইউএসবি পোর্ট। তবে ডিস্যাপয়েন্টিং একটি জিনিস হচ্ছে অডিও পোর্ট এই ল্যাপটপে নেই। তবে এর জন্য বক্সে একটি অ্যাডাপ্টর দেয়া হয়েছে। ল্যাপটপের ডিসপ্লের উপরে রয়েছে একটি আই আর ক্যামেরা, যেটা উইন্ডোজ হ্যালো সাপোর্টেড। ল্যাপটপটির স্টেরিও স্পিকার গুলো ভালই ক্লিয়ার ছিল। তবে মাই আসুস অ্যাপ এবার অ্যাক্টিভ নয়েজ ক্যানসেলেশন এর মত একটি ফিচার যুক্ত করেছে। যেটা সারোইন্ডিং এর নয়েজ বেশ কমিয়ে ইমার্সিভ মিটিংএর একটি অভিজ্ঞতা দেয়।
ল্যাপটপটির ট্র্যাকপ্যাডটি ছিল অসাধারন। ট্রাকপ্যাডটি ছিল গ্লাস সারফেসের। সাইজ এবং পজিশন অনুযায়ী এটা ছিল কম্ফোর্টেবল। ট্রাক প্যাড টি উইন্ডোজ ৪ সাপোর্টেড। ১.৫ মিমির কি’ট্রাবল কিবোর্ড টি ছিল অস্থির। কিবোর্ড এর লাইটিং ব্রাইটনেস বাড়ানো কমানো যায়। টাইপিং করে পাওয়া যাচ্ছিল ভালোই কম্ফর্টনেস।
ল্যাপটপটির ১৩.৩ ইঞ্চির ৪কে ওলেড ডিসপ্লেটি ছিল দেখার মতো। ডিসপ্লেটি ছিল ডিসিআইপি৩ সাপোর্টেড। ডিসপ্লেটির কনট্রাস্ট ছিল খুবই ভালো এবং ব্ল্যাক কালারের আভা ছিলো পাঞ্চি। মিডিয়া কনজামশন এবং যেকোনো এইচডিআর কন্টেন্ট খুবই ভালো চলছিলো ডিসপ্লেতে। পাশাপাশি এতে রয়েছে প্যান্টম ভ্যালিডেটের সার্টিফিকেশন। যেটা গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের জন্য সুন্দর কালার প্রোভাইড করবে। ডিসপ্লেটি ফুল রোটেশন করে ট্যাবে কনভার্ট করে কোন কিছু সুন্দরভাবেই দেখা যাবে।
ল্যাপটপটিতে রয়েছে ‘ইন্টেল কোরআই ৭ ১১৬৫জি৭’ প্রসেসর। যেটা ‘ইন্টেলের ইভো লাইনআপ’ প্রসেসর। আরও রয়েছে আইরিস এক্সই গ্রাফিক্স, ১৬ জিবি এলপিডিডিআর ৪এক্স রেম, ১টিবি এনভিএমই এম.২ পিসিআই-ই৩.০। ল্যাপটপটি ১.২-২.৮ গিগাহার্জের। বেঞ্চমার্কেও ল্যাপটপটির স্পিড ছিলো অসাধারন ফাস্ট। ল্যাপটপটি বিশেষ করে যারা ফটোশপের কাজ করে থাকে, তাদের জন্য হবে একটি মারাত্মক বিষয়।
বর্তমানে গেইমিং তো খুব সাধারন একটি বিষয়। কিন্তু, দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে ল্যাপটপটি কোনো গেইমিং ডিভাইস না। তবে, স্বাভাবিকভাবে ছোটখাট গেইমস খেলা যাবে। ল্যাপটপটির ৬৭ কিলোওয়াট পার হাওয়ার সাইকেলের ইথিয়াম সেলের ব্যাটারিটি, ব্যাকআপ দিবে ৮ঘন্টা। চার্জিং হিসেবে থাকছে ৬৫ওয়াটের চার্জিং ব্রিথ। ১.৫ঘন্টায় এটি ল্যাপটপটিকে ফুল চার্জ করবে। ল্যাপটপটির বক্সের বাইরে ওয়েলস হিসেবে ছিলো ‘উইন্ডোজ১০ হোম এডিশন’।
ল্যাপটপটি বিভিন্ন অফিস-আদালত অথবা গ্রাফিক্স এবং ফটোশপের কাজের জন্য পারফেক্ট হবে। এছাড়াও অন্যান্য কাজ করা যাবে, তবে নরম্যালি। বর্তমানে বাংলাদেশে এর বাজার মূল্য ১,৫৮,০০০ টাকা।