গেমিং ল্যাপটপ কেনা সহজ কথা নয়। কাজের জন্য যেকোনো ল্যাপটপ কিনে ফেলা যায়। কিন্তু গেমিংয়ের ক্ষেত্রে বিষয়টা জটিল। সবচেয়ে ভালো কনফিগারেশনের সাধারণ ল্যাপটপ যে গেমিংয়ে সুবিধা দেবে এমনটা ভাবার কারণ নেই। গেমিং ল্যাপটপে ভালো হার্ডওয়্যারের পাশাপাশি আরো কিছু বিষয় থাকে। যেগুলো সম্পর্কে না জানলে ল্যাপটপ কিনে সমস্যায় পড়তে হয়।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নির্ধারণ: ল্যাপটপ উৎপাদনকারী ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো হাই-এন্ড পারফরম্যান্স, ফিচারসহ অন্যান্য বিষয়ে প্রচারণা চালিয়ে থাকে। তবে গ্রাহক বা ক্রেতা হিসেবে মন ভোলানো বিজ্ঞাপনে হারানো যাবে না। বাজারে থাকা বিভিন্ন ল্যাপটপ থেকে নিজের জন্য প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ এমন বিষয় ঠিক করতে হবে।
বাজেট ঠিক করা: ল্যাপটপ কেনার আগে কত খরচ করা সম্ভব সেটি ঠিক করে নিতে হবে। কেননা বাজারে বিভিন্ন দামের গেমিং ল্যাপটপ রয়েছে। দাম অনুযায়ী হার্ডওয়্যার, ফিচারেও পরিবর্তন আসে। তাই বাজেট বা ব্যয় হার নির্ধারণ করে নেয়া জরুরি।
গেমিং ল্যাপটপের ব্যবহার: গেমিং ল্যাপটপগুলোয় উন্নত সব ফিচার ও হার্ডওয়্যার ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই ল্যাপটপ থেকে কী ধরনের সহায়তা আশা করা হচ্ছে সে অনুযায়ী ডিভাইস কেনার সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদি খুব বেশি গেম খেলার ইচ্ছা বা চাহিদা না থাকে তাহলে মিড রেঞ্জের ডিভাইস কেনাই ভালো।
গ্রাফিকস কার্ড নির্ধারণে সতর্ক থাকা: গেমিং কম্পিউটারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে গ্রাফিকস কার্ড। শুধু প্রসেসর ভালো হলেই যে গেম ভালোভাবে চলবে তেমন কোনো বিষয় নেই। গেমিংয়ে গ্রাফিকস মানও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ল্যাপটপ কেনার সময় ন্যূনতম ৪ জিবি ভির্যাম আছে কিনা দেখতে হবে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি বাজারে আসা মডেল সংগ্রহের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।
গেমিং ল্যাপটপে প্রসেসর গুরুত্বপূর্ণ: যেকোনো কম্পিউটারের ব্রেইন হচ্ছে প্রসেসর (সিপিইউ)। তাই গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় প্রসেসর নির্বাচনে সতর্ক হতে হবে। অন্তত চার কোরের প্রসেসর নির্বাচন করতে হবে। যার ক্লক স্পিড থাকবে ৩ গিগাহার্টজ বা তার বেশি। সেই সঙ্গে সবশেষ জেনারেশনের প্রসেসর আছে কিনা সেটিও দেখতে হবে।
র্যাম ও ইন্টারনাল স্টোরেজ: সাধারণ ল্যাপটপে কম র্যাম সমস্যা না করলেও গেমিং ল্যাপটপে এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। র্যাম বেশি থাকলে যেকোনো প্রোগ্রাম ভালোভাবে চলবে। তাই গেমিং ল্যাপটপ কেনার সময় ন্যূনতম ৮ জিবি র্যাম নিশ্চিত করতে হবে। সে সঙ্গে র্যাম বাড়ানোর সুবিধা আছে কিনা তা দেখে নেয়া ভালো। গেমিংয়ে ভালো অভিজ্ঞতা পেতে চাইলে সলিড স্ট্রেট ড্রাইভ (এসএসডি) ব্যবহার করতে হবে।
ল্যাপটপের থার্মাল ম্যানেজমেন্ট পরীক্ষা: গেমিং ল্যাপটপের জন্য কুলিং সিস্টেম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কম্পিউটার বা ল্যাপটপ যেকোনো ডিভাইসই ব্যবহারের সময় তাপ উৎপন্ন করে থাকে। আর এ তাপ কমানোর জন্য ল্যাপটপে থার্মাল সিস্টেম থাকে। দামি ল্যাপটপের কুলিং সিস্টেম যদি ভালো না হয় তাহলে কেনাটাই বৃথা। তাই কেনার সময় দেখতে হবে যে ল্যাপটপে পর্যাপ্ত বাতাস ঢোকার সুবিধা আছে কিনা।
গেমিং ফিচার ও অ্যাড-অন: উপরোক্ত বিষয় ছাড়াও গেমিং ল্যাপটপে বিভিন্ন ফিচার থাকে। তাই কেনার সময় দেখতে হবে যে ডিভাইসে আরজিবি কি-বোর্ড দেয়া হয়েছে কিনা। এছাড়া ল্যাপটপের কার্যক্ষমতা বাড়াতে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান কোনো পরিষেবা দিচ্ছে কিনা তাও যাচাই করতে হবে।