গতকাল রিয়েলমি বাংলাদেশের বাজারে লঞ্চ করেছে রিয়েলমি সি ২১। মাত্র ১২০০০ টাকা বাজেটের এই স্মার্টফোনটি বাংলাদেশের লঞ্চ করা হয়েছে ৪/৬৪ ভেরিয়েন্টে ।এখন দেখার পালা রিয়েলমি তাদের নতুন স্মার্টফোনের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পারল।
আনবক্সিং এ থাকছে প্রত্যেকটি স্মার্টফোনের মতো পার্টিকেলস । আনবক্সিং এর তেমন আহামরি কিছু থাকছে না ।বরাবরের মত সবকিছু স্বাভাবিক। রয়েছে একটি ১০ ওয়াটের চার্জার। তবে মজার ব্যাপার হলো সাথে কোন কভার দেওয়া হয়নি।
ডিজাইন প্রথমবারের মতো হাতে নিলে বোঝা যাবে ফোনটি বেশ সলিড । যদিওবা পুরোটাই প্লাস্টিক বিল্ড । একটি ডায়মন্ড কাট রয়েছে, সুতরাং খুব সহজে দাগ পড়ার খুব একটা সম্ভাবনা নেই। তারপরেও একটি কভার ব্যবহার করা উচিত ।যদিও বক্সে কোন কভার দেওয়া হয়নি।
পোর্টস এবং বাটন আর বাকি সব ফোন গুলোর মতই । এখানে ব্যবহার করা হয়েছে micro-usb , তবে এই বাজেটে রিয়েলমির কাছ থেকে টাইপ সি পোর্ট দাবি করায় যেতে পারে।
ফোনের ডিসপ্লে এই ফোনের ডিসপ্লে হিসেবে থাকছে 6.4 আইপিএস এলসিডি ডিসপ্লে। এইচডি প্লাস রেজুলেশনের এই স্মার্টফোনটি পিপিআই ২৭০ ,সুতরাং যারা রেগুলার ব্যবহারকারী এবং কন্টেন্ট স্ট্রিম করতে ভালোবাসেন তাদের জন্য রিয়েল মি সি ২১ হতে চলেছে একটি পারফেক্ট চয়েজ।
গ্লাসে কোন ধরনের প্রটেকশন ব্যবহার করা হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে সন্দেহ রয়েছে। অফিশিয়ালি তেমন কিছু জানা যায়নি!
প্রসেসর এবং স্টরেসঃ
বাংলাদেশের মার্কেটে এই ফোনটি লঞ্চ করা হয়েছে ৪/৬৪ ভেরিইয়েন্টে । প্রফেসর হিসেবে দেওয়া হয়েছে মিডিয়াটেক হেলিও জি ৩৫। অপারেটিং সিস্টেম হিসেবে দেওয়া হয়েছে অ্যান্ড্রয়েড টেন ।
পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার ব্যতীত অন্য সকল গেমপ্লে করতে পারবেন খুব সহজেই। দৈনন্দিন ব্যবহারের ক্ষেত্রে ফোনের স্পিড আহামরি কিছু না হলেও যথেষ্ট ভালো ভালো চলে।
পাবজি এবং ফ্রী ফায়ার গেম প্লে করার ক্ষেত্রে কিছুটা ল্যাগ দেখা যেতে পারে ।তবে তা মানিয়ে নেওয়ার মতো ।
ফোনের ক্যামেরাঃ
ফোনের পেছনে ত্রিপল ক্যামেরা সেটআপ ব্যবহার করা হয়েছে। যেটির মূল ফোকাস ১৩ মেগাপিক্সেলের। সামনে সেলফি ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল এর একটি ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে।
দুটি ক্যামেরা ডেলাইট এ খুব সুন্দর পারফরম্যান্স করে। আলোক স্বল্পতা দেখা দিলে পারফরম্যান্স ডাউন হতে শুরু করে।
চার্জারঃ
ফোনটির বক্সে দেওয়া হয়েছে ১০ ওয়াটের একটি চার্জার। যেটি দিয়ে ফোন চার্জ করতে সময় লাগে সাড়ে তিন ঘণ্টা । ব্যাটারি ব্যাকআপ বাজেট অনুপাতে যথেষ্ট ভালো বলা চলে। রেগুলার ইউজে দুইদিন পর্যন্ত ব্যাকআপ দিতে সক্ষম।