স্মার্টফোন ব্র্যান্ড অপো সম্প্রতি পালন করলো ‘ফ্ল্যাশ চার্জ ওপেন ডে’। ‘ফ্ল্যাশ চার্জে কী আসছে আগামীতে’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে পালিত দিবসটি ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তির সর্বশেষ নানা অগ্রগতি তুলে ধরেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অপো ভিওওসি (ভুক) ফ্ল্যাশ চার্জের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জেফ ঝাং এ প্রযুক্তি সম্পর্কে বলেন, অপো চার্জিং অ্যাডাপটর, কেবল, পিএমআইসি, ব্যাটারিসহ পুরো দ্রুত চার্জিং পদ্ধতিতেই পরিবর্তন নিয়ে এসেছে। তারবিহীন বা তারযুক্ত উভয় পদ্ধতিতেই ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তি মানুষের সব ধরনের চাহিদা মেটাতে সক্ষম। আর সেটা যেকোনো কঠিন পরিস্থিতিই হোক না কেন।
ফ্ল্যাশ চার্জ প্রযুক্তির নিরাপদ ব্যবহারের লক্ষ্যে ভুক প্রযুক্তিতে পাঁচ স্তর বিশিষ্ট সুরক্ষিত নিরাপত্তা পদ্ধতি ব্যবহার করার দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অপো বাংলাদেশ জানিয়েছে, ভবিষ্যতে কীভাবে ফ্ল্যাশ চার্জিংয়ে এআই অ্যালগরিদম, চার্জিং আর্কিটেকচার এবং অন্যান্য বিষয় সংযুক্ত করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছে অপো।
নিরাপদ সীমার মধ্যে চার্জিং গতি রাখার জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইন্টেলিজেন্ট ডিটেকশন প্রযুক্তির সাথে সামঞ্জস্য করে নেওয়ায় ব্যাটারি জীবনকাল বৃদ্ধি পায়। ফলে সর্বোচ্চ ব্যাটারির ব্যবহার নিশ্চিত করা সম্ভব হয় বলে ব্যাখ্যা দিয়েছে অপো।
একটি স্মার্ট চার্জিং প্রযুক্তির উপর ব্যাটারির সক্ষমতা, বিশেষ করে এর আয়ুষ্কাল নির্ভর করে। ৬৫ ওয়াটের সুপার ভুক চার্জিংয়ের ক্ষেত্রে ২০ ভাগ পর্যন্ত চার্জিং গতি বাড়ানো সম্ভব এবং মাত্র ৩০ মিনিটে ৪৫০০ এমএইচ ব্যাটারি পরিপূর্ণ চার্জ হয়।”
এ প্রযুক্তি মাত্র কয়েক সেকেন্ডে মাইনাস ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে তাপমাত্রা বাড়িয়ে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নিয়ে আসতে পারে। তারপর স্বাভাবিকের মতো চার্জ হতে পারে।
ভুক ফ্ল্যাশ চার্জ ২০১৪ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকেই নিরাপত্তা, দক্ষতা ও ব্যবহার উপযোগিতা এই তিনটি বিষয় সর্বাধিক গুরুত্ব পেয়েছে ব্যাটারি ও চার্জিং প্রযুক্তি নিয়ে অপোর গবেষণা ও উন্নয়নে। ২০২১ সালের প্রথমার্ধ পর্যন্ত অপো দ্রুত চার্জ প্রযুক্তি বিষয়ে ৩ হাজারের বেশি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী প্রায় ২০ কোটি মানুষের কাছে দ্রুত চার্জিং পদ্ধতি সহজ ও নিরাপদ হিসেবে তুলে ধরেছে।