শাওমি এবং মটোরোলা দুইটি মোবাইল ব্র্যান্ডই বর্তমান সময়ে একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। আজকে আমরা করব শাওমি এর শাওমি এম আই ১১ এক্স এবং মটোরোলা এর মটোরোলা এজ ২০ নিয়ে। ফোন দুইটির মূল্য একই দেওয়া হয়েছে কিন্তু প্রত্যেক ফোনেই আলাদা আলাদা সুযোগ বেশি পাওয়া যাবে। অসাধারণ হতে চলেছে ফোন দুইটি। চলুন তুলনা করা যাক মোবাইল ২ টির মধ্যে।
প্রথমেই আলোচনা করা যাক ডিসপ্লে সেকশন নিয়ে।
শাওমি এম আই ১১ এক্সঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি বিশিষ্ট অ্যামোল্ড ডিসপ্লে যার স্ক্রিন রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১০৮০X২৪০০ পিক্সেল। এর পি পি আই ডেনসিটি দেওয়া হয়েছে ৩৯৫। উক্ত ফোনটিতে দেওয়া হয়েছে কর্নিং গরিলা গ্লাস ৫ এর নিরাপত্তা। এছাড়া এই ফোনটির ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট দেওয়া হয়েছে ১২০ হার্জ।
মটোরোলা এজ ২০ঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬.৬৭ ইঞ্চি বিশিষ্ট ফুল এইচ ডি + অ্যামোল্ড ডিসপ্লে যার স্ক্রিন রেজুলেশন দেওয়া হয়েছে ১০৮০X২৪০০ পিক্সেল। এছাড়া এর ডিসপ্লে রিফ্রেশ রেট দেওয়া হয়েছে ১৪৪ হার্জ। ২.৩ ডি কর্নিং গরিলা গ্লাস ৩ এর নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
এবার আলোচনা করা যাক মোবাইলগুলোর বডি নিয়ে।
শাওমি এম আই ১১ এক্সঃ এই মোবাইলটির আয়তন হবে ১৬৩.৭X৭৬.৪X৭.৮ মিলিমিটার এবং এর ওজন হবে মাত্র ১৯৬ গ্রাম।
মটোরোলা এজ ২০ঃ উক্ত মোবাইলটির আয়তন হবে ১৬৩.৫X৭৬.২X৬.৯৯ মিলিমিটার এবং এর ওজন হবে মাত্র ১৬৩ গ্রাম।
এবার আলোচনা করা যাক মোবাইলগুলোর হার্ডওয়্যার সেকশন নিয়ে।
শাওমি এম আই ১১ এক্সঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৮৭০ ৫জি অক্টাকোর প্রসেসর। জি পি ইউ হবে অ্যাড্রিনো ৬৫০। এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ফোন স্টোরেজ। এখানে আরো দেওয়া হয়েছে ৪,৫২০ এম এ এইচ এর ব্যাটারি, ওয়াই ফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.১, ৩৩ ওয়াটের ফাস্ট চার্জ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট ও ফেস আনলকের সুবিধা। ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে। অ্যান্ড্রোয়িড ভার্সন ১১ দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
মটোরোলা এজ ২০ঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে কোয়ালকম স্ন্যাপড্রাগন ৭৭৮ জি অক্টাকোর প্রসেসর। জি পি ইউ হবে অ্যাড্রিনো ৬৪২ এল। এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ৮ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ফোন স্টোরেজ। এখানে আরো দেওয়া হয়েছে ৪,০০০ এম এ এইচ এর ব্যাটারি, ওয়াই ফাই ৬, ব্লুটুথ ৫.২, ৩০ ওয়াটের টার্বো ফাস্ট চার্জ, ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর সুবিধা। ডুয়েল সিম ব্যবহার করা যাবে এই ফোনটিতে। অ্যান্ড্রোয়িড ভার্সন ১১ দেওয়া হয়েছে এই ফোনটিতে।
এবার আলোচনা করা যাক ফোনগুলোর ক্যামেরা সেকশন নিয়ে।
শাওমি এম আই ১১ এক্সঃ উক্ত মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটাপ যার প্রাথমিক ক্যামেরাটি হবে ৪৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড, ৮ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ও অপরটি হবে ৫ মেগাপিক্সেলের ম্যাক্রো সেন্সর। সাথে দেওয়া হয়েছে একটি এল ই ডি ফ্ল্যাশ। এখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ২০ মেগাপিক্সেলের। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই ১০৮০ পি ৩০/৬০/১২০/২৪০/৯৬০ এফ পি এস এর রেকর্ডিং করা যাবে। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই দেওয়া হয়েছে এইচ ডি আর, প্যানোরামা, পোরট্রেইট, গাইরো- ই আই এস, লেজার অটোফোকাস, ৮কে ভিডিও রেকর্ডিং ও এ আই ক্যামেরা এর সুবিধা।
মটোরোলা এজ ২০ঃ এই মোবাইলটির সাথে দেওয়া হয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা সেটাপ যার প্রাথমিক ক্যামেরাটি হবে ১০৮ মেগাপিক্সেলের, ১৬ মেগাপিক্সেলের আল্ট্রা ওয়াইড ও অপরটি হবে ১৬ মেগাপিক্সেলের টেলিফটো সেন্সর। সাথে দেওয়া হয়েছে একটি এল ই ডি ফ্ল্যাশ। এখানে ফ্রন্ট ক্যামেরা দেওয়া হয়েছে ৩২ মেগাপিক্সেলের। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই ১০৮০ পি ৩০/৬০ এফ পি এস এর রেকর্ডিং করা যাবে। প্রত্যেক ক্যামেরাতেই দেওয়া হয়েছে এইচ ডি আর, প্যানোরামা ও পোরট্রেইট মোড এর সুবিধা।
এবার আলোচনা করা যাক মূল্য নিয়ে।
শাওমি এম আই ১১ এক্সঃ এই মোবাইলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪,৫৫৭ টাকা।
মটোরোলা এজ ২০ঃ এই মোবাইলটির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৪,৫৫৭ টাকা।
এখানে দুইটি ফোনের মূল্য একই দেওয়া হয়েছে কিন্তু এদের মধ্যে ফিচারের ভিন্নতা লক্ষ্য করা গেছে। একেক ফোনে একেক রকম সুবিধা বেশি দেওয়া হয়েছে। দুটি ফোনই অসাধারণ। আপনার পছন্দের কনফিগার অনুযায়ী যে কোন একটি নিতে পারেন। তবে ফোন দুটির মধ্যে আমার মটোরোলা এজ ২০ ফোনটিই বেশি ভাল লেগেছে।