রেস্টুরেন্টে কিংবা কোন কফি শপের নাম ভেবে মস্ত বড় ভুল করিবেন না। কুটুমবাড়ি আমাদের গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য সংস্কৃতির সাথে মিশে আছে। সাধারণত কুটুমবাড়ি বলতে বুঝি আমরা যখন খুব সাজুগুজু করে এক্সাইটেড হয়ে দীর্ঘসময় পর আমাদের আত্মীয়দের বাসায় বেড়াতে যাই তখন আমরা সেটাকে কুটুমবাড়ি বলি। সেটা যে কোন আত্মীয় স্বজনের বাড়িই হতে পারে। এই শব্দটি এখনো গ্রামের মানুষের কাছে বেশ পরিচিত শহরে এটার প্রচলন বিলুপ্ত প্রায়।
যাই হোক আমার এখনও মনে আছে ছোট থাকতে যখন বাড়ির সকলে মিলে কুটুমবাড়িতে যাওয়ার কথা হতো। সে কি আনন্দের মিছিল হতো তা খুবই চোখে পড়ার মতো। বলাবাহুল্য দিনক্ষণ ঠিকে করে কুটুম বাড়িতে যাওয়ার মজাই আলাদা সেই সাথে কুটুমবাড়ির লোকজন মানে আত্মীয়রা সেই আনন্দিত হতো অতিথি আপ্যায়নে মুখর হয়ে অপেক্ষা করতো।
যে কোন মানুষের সাথে অফলাইন কথা বলা আর অনলাইনে কথা বলার মাঝে বেশ পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আমরা যেহুতু অনলাইনের মানুষ তাই অফলাইনে দেখার সুযোগ হয়ে উঠে না ৷ তবে ভীষণ ইচ্ছে হয় ওমক ভাইয়ের সাথে ওমক আপুর সাথে বসে যদি কফি খেতে পারতাম মনে হয় মন্দ হতো না। এমন বাসনা গুলো হরহামেশাই মনের মাঝে উঁকি মারে।
যেহুতু এখানে উদোক্তার সংখ্যা বেশ এখানে তাই তাদের কাস্টোমার গুলো তাদের কাছে লক্ষী। এক কথায় এমন অনেক কাস্টমার থাকে যারা পরিবারের সদস্য হয়ে যায়। কথার পেক্ষাপটে বলতেই হয় এ পরিবারের এমন অনেকেই আমার কাস্টোমার আছে যারা আমাকে আদরের ছোট ভাই বলে আর আমি আদরের আপু। অথচ আমাদের মাঝে দেখাই হয় নি কিন্তু ভীষণ ইচ্ছে হয় দেখা করার।
আর নয় চিন্তা আর নয় ভাবনা এখন খুব সহজেই সেই দেখা করার ইচ্ছে মেটানো আপন পরিধিতে আসতে চাওয়ার বায়না সহজেই মেটানো সম্ভব। আর যেটাকে আমরা কাস্টমার মিটআপ বলছি। ইতিপূর্বে এই গ্রুপের অনেকে সফলভাবে কাস্টমার মিটআপ করেছেন এবং অনেকেই করছে বা পরিকল্পনা করে রেখেছে। এতে করে এই সম্পর্কগুলো মজবুত সহ নানাবিধি সাফল্যের কথা এখন চোখে পড়ার মতো।
যাই হোক আমি এই পরিবারের মনিকা আপুর কাস্টমার মিটআপের মাধ্যমে প্রথম কোন কাস্টমার মিটআপে এসেছিলাম। আর নিজ চোখে সেই দেখছি সেই কুটুমবাড়ির আপ্যয়ন সেই সাথে উৎসব মুখর পরিবেশ। কত শত পুরনো পরিচিত সম্পর্কগুলো যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছে এই কাস্টমার মিটআপের মাধ্যমে। যেখানে প্রাণ খুলে উচ্ছাস ভালোবাসার যোগসূত্র বন্ধনে নতুন করে নাড়া দিচ্ছে সেই সম্পর্কগুলোর গাড়ত্বগুলো।
যাই হোক সেই আয়োজনে শামিল আমি কিন্তু সেই কুটুমবাড়ির পুরো আত্মতমপ্তি পেয়েছি। সকলের মাঝে কত উল্লাস কত শত ভালো লাগার মুহুর্ত আবেগভরা ভালোবাসা সম্পর্কের বিষয়গুলো নতুন করে আপন করার প্রয়াস চলছে এ যেনো সত্যিই ভালোবাসার সারথি করছে শিউলী মালার সীমান্তে।
লেখক
মোঃ সালাউদ্দীন আহমেদ
প্রতিষ্ঠাতা: Bdmangrove.com