গরমের তীব্রতা কমাতে গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন ফলের রস বা সরবত খেয়ে থাকে বাঙালিরা। বেশি বেশি তরল খাবার গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসা বিজ্ঞান। পুষ্টির চাহিদা মেটাতে গরমকালে লেবু, পেপে, তরমুজ, কলা সহ বিভিন্ন পানি ফলের সরবত বেশ জনপ্রিয়। স্থানীয় বাজারে এসব পণ্য পাওয়া গেলেও বিষমুক্ত ফল পাওয়ার দুশ্চিন্তায় থাকেন নগরবাসী।
দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎপাদন হওয়া বিষ মুক্ত ফল বা ফসল সরবরাহের নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান হতে পারে জেলা ওয়েবসাইট গুলো। এতে স্বস্তির নিঃশ্বাস পাবে নগরবাসী। অর্গানিক বা নিরাপদ ফসল উৎপাদনে উৎসাহি ও লাভবান হবে দেশর কৃষক সমাজ। এভাবে নিশ্চিত হবে নিরাপদ খাদ্য চ্যালেঞ্জ ও কর্মসংস্থান।
শেরপুর গারো পাহাড়ে মাল্টা চাষে সাফল্য পেয়ে একই জমিতে তরমুজ চাষ করেছে কৃষক আব্দুল বাতেন। তিনি পরিক্ষামূলক ভাবে মাল্টা বাগানে ও পাশের আরও কিছু জমিতে চাষ করেছে চরাঞ্চলের ফসল তরমুজ। এতে বাম্পার ফলন হয়েছে। আব্দুল বাতেনের মতে, পাহাড়ি এলাকায় বেশির ভাগ স্থানে চাষাবাদ হয় না। পাহাড়ি জমিতে ফসল উৎপাদনে খরচ কম হয়। মাটির উপরিভাগে পানির স্তর থাকায় দুশ্চিন্তায় পড়তে হয় না। এসব অনাবাদি জমিতে মাল্টা, তরমুজ সহ অন্যান্য ফল ও ফসল উৎপাদন করে অর্থনৈতিক সাফল্য পাওয়া সম্ভব। তিনি মনে করেন, শিক্ষিত তরুণ ও আগ্রহী কৃষকরা পাহাড়ি অনাবাদি জমিতে ফল ও ফসল উৎপাদন করে কর্মসংস্থান ও নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে পারে।
জেলা ওয়েবসাইট উদ্যোক্তারা এসব পণ্য রাজধানীতে বিক্রি করে নগরবাসীকে স্বস্তি দিতে পারে। এতে ই-কমার্সের সাথে কৃষি খাতের যুগলবন্দী হবে।