কবি কায়কোবাদের এই অমীয় বাণী যেন “বায়তুল্লাহ বা আল্লাহর ঘর” মসজিদের প্রতি প্রতিটি ধর্মপ্রেমী মুসলিমের মনে মসজিদ আর সৃষ্টিকর্তার প্রতি তীব্র আকর্ষনেরই বহিঃপ্রকাশ। দৈনিক ৫ বার মধুর আযানের ধ্বনি লাখো আল্লাহ ভীরু মুসলিমকে চুম্বকার্ষনে টেনে নেয় পবিত্র বায়তুল্লাহ প্রাঙ্গণে আর মহান আল্লাহর আনুগত্যের ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও সামষ্টিক আত্মনিবেদনের মাধ্যমে প্রশান্ত হৃদয় নিয়ে ফিরে আসে।
বৃহত্তর ময়মনসিংহে প্রথম ইসলাম প্রচার করতে এসেছিলেন হযরত শাহ্ মুহাম্মদ সুলতান কমর উদ্দিন রুমি (রহ.)। ৪৪৫ হিজরি সন ও ১০৫৩ খ্রীস্টাব্দে এই অঞ্চলে আগমন ঘটেছিল তাঁর। সেই থেকেই ঈমান-ইবাদতের চেতনায় উজ্জীবিত হয় ময়মনসিংহ এবং এই জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে তৈরী হয় মসজিদ। কালের বিবর্তে বিলীন প্রায় সেই সব সুপ্রাচীন মসজিদগুলো। তবে কিছু মসজিদ এখনো স্বগর্বে, স্বমহীমায় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে আর কিছু বেঁচে আছে পুনঃসংস্কার আর মানুষের যত্নে।
গফরগাঁওয়ের তেরশ্রী জামে মসজিদ
৬ শত বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে স্বগর্বে দাঁড়িয়ে আছে “তেরশ্রী জামে মসজিদ”, যা ১৪০০ খ্রীস্টাব্দে নির্মাণ করা হয়েছিল বলে জানা যায়। ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার উস্থি ইউনিয়নের তেরশ্রী গ্রামে এই মসজিদটি অবস্থিত।
পুরোনো মসজিদ হিসেবে এর নির্মাণশৈলী এক সময় আকর্ষনীয় ছিল বলা যায়, যা রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে বর্তমানে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছে। তবে বলা যায়, কালের পরিক্রমায় মসজিদটির সৌন্দর্য ক্ষয়ে পরছে ঠিক, কিন্তু প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনস্বরূপ এটি অমূল্য এক স্থাপত্য।
এক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদটি মুঘল আমলে নির্মিত হয়েছিল বলে জানা যায়। এর দালানের গাঁথুনির জন্য পাতলা ইট ও টালির জন্য ব্যবহার করা হয়েছে চুন-সুরকি। কথিত আছে, মসজিদের গাথুঁনির সময় চুন-সুরকির সঙ্গে মসুরের ডালের মিশ্রণ দেয়া হয়েছিল!
মসজিদের মেহরাবে ছয়টি কুঠরি রয়েছে। এর ভেতরের দেয়ালে সুনিপুণভাবে অঙ্কিত আছে নানা ধরনের গুল্ম লতাপাতা ও ফুলের কারুকাজ। সেগুলোও প্রায় নষ্ট হওয়ার পথে। ২২ ফুট বাই ২২ ফুট আয়তনের এই মসজিদের চার কোণে থামের উপর চারটি, মাঝের দুই পাশের থামের উপর চারটিসহ মোট আটটি ছোট মিনার রয়েছে। দেয়ালের ব্যাস চার ফুট থেকে ছয় ফুট, আর দুই পাশে রয়েছে দুটি দরজা ও দুটি জানালা।
মসজিদটির ভেতরে বর্তমানে দুই কাতার করে নামাজ আদায় করেন মুসল্লিরা। অনেক আগেই মসজিদের ভেতরের ও বাইরের আবরণ খসে গেছে। মসজিদের শিলালিপিও প্রায় নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারি অর্থায়নে মসজিদটি সংস্কার হলে ৬০০ বছরের ইতিহাস সংরক্ষিত হবে। এর পুনঃসংস্কার করলে আবারও এটি সাধারণ দর্শনার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে নিঃসন্দেহে।
মুক্তাগাছায় চানখাঁ মসজিদ ও হরিপুরের ভূঁইয়া বাড়ি মসজিদ
ময়মনসিংহ জেলার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর অন্যতম মুক্তাগাছা উপজেলায় অবস্থিত পাহাড় পাবইজান গ্রামের চানখাঁ মসজিদ ও হরিপুরের ভূঁইয়া বাড়ি মসজিদ। পুরাতন স্থাপত্য শিল্পের নিদর্শন মসজিদ দুটি এখন সংস্কারের অভাবে প্রায় ধ্বংসের পথে ধাবমান।
চানখাঁ মসজিদটি ময়মনসিংহ জেলার সবচেয়ে প্রাচীন মসজিদেগুলোর মাঝে অন্যতম। এর নির্মাণশৈলী ও গঠন দেখে ধারণা করা হয়, এটি ৫ শত বছরের পুরোনো স্থাপত্য। কারণ পাহাড় পাবইজান গ্রামের এই চানখাঁ মসজিদটির সাথে পারস্য এবং মোঘল স্থাপত্যের শিল্পের ধরন ও মিল রয়েছে। সুলতানী আমলের শিল্প কর্মেরও মিল খুঁজে পাওয়া যায় এর সাথে। কারুকার্য খচিত এক গম্বুজবিশিষ্ট এই মসজিদটি ১৩১৯ এবং ১৩৫৭ সালে সংস্কার করা হয়েছে মর্মে খোদাই করে লেখা আছে।
মুক্তাগাছার আরও একটি সুপ্রাচীন মসজিদ হল, হরিপুরের ভূঁইয়া বাড়ি মসজিদ। এটি ১১৩৫ সালে প্রথম সংস্কার করা হয়েছিল বলে দেয়ালে খোদিত আছে।
এর দেয়াল ৩৬ ইঞ্চি পুরু। মসজিদটির উত্তর পাশে অবস্থিত ভগ্নাবশেষটি আসলে কি ছিল তা কেউ বলতে পারে না । এর দৈর্ঘ্য ২০ হাত এবং প্রস্থ ১০ হাত। মসজিদটিতে সমান আকৃতির দুটি গম্বুজ রয়েছে।
বহুবছর যাবৎ সুপ্রাচীন পুরাকীর্তির নিদর্শন এই মসজিদ দুটো অযত্ন, অবহেলায় পড়ে থেকে অস্তিত্ব প্রায় বিলীনের পথে। জরাজীর্ণ অবস্থা সত্বেও মসজিদ দুটিতে ধর্মপ্রাণ মুসলমানগণ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে সচল রাখছে।
প্রত্নতাত্ত্বিক এই নিদর্শনগুলোকে টিকিয়ে রাখতে অচিরেই এগুলোর সংস্কারে কাজ করা উচিত।
পাঁচবাগ জামে মসজিদ
ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলায় অবস্থিত এই পাঁচবাগ জামে মসজিদ ১০০ বছরের পুরোনো।
মৌলভী ক্বারী রেয়াজ উদ্দিন সাহেব ১৯২১ সালে পাঁচবাগ আলিয়া মাদ্রাসা স্থাপন করেছিলেন। মাদ্রাসা সংলগ্ন তিন গম্বুজ বিশিষ্ট একটি পাকা মসজিদ নির্মাণ করেন। সূর্য লাল বিশিষ্ট পুর্ব দেয়ালে ৩টি দরজা ও পশ্চিম দেয়ালে একটি দরজা আছে। গম্বুজের উপরিভাগে কলসি সদৃশ্য ফিনিয়েল নির্মিত হয়েছে ও পদ্মপাপড়ি দ্বারা সাজানো হয়েছে।
পাঁচবাগ এই জায়গার সাথে এই মসজিদের সাথে যে কারনটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপুর্ণ, যে কারনে এই মসজিদটি এখানকার মানুষের কাছে জয়প্রিয় তা হলো, এই মসজিদের নির্মাতা মৌলভী ক্বারী রেয়াজ উদ্দিন সাহেবের পুত্র মরহুম হযরত মাওলানা মোঃ শামছুল হুদা পাঁচবাগী (র)। তিনি ছিলেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিধ ও ধর্ম প্রচারক এবং উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম। ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা ছিলেন তিনি। তিনি ১৯৩৭ সন হতে ১৯৫৪ সন পর্যন্ত তদানিন্তন আইন সভার সদস্য ছিলেন। হযরত মাওলানা মোঃ শামছুল হুদা পাঁচবাগী (র:) এর মৃত্যুর পর পাঁচবাগ জামে মসজিদ এর পাশে কবর দেয়া হয়। পাঁচবাগ জামে মসজিদটি আজও ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে উল্লেখযোগ্য মসজিদ।
গফরগাঁও সদর হতে ৬ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত পাঁচবাগ গ্রামে পাঁচবাগ জামে মসজিদটি অবস্থিত।
ময়মনসিংহ সদরের বড় মসজিদ
ময়মনসিংহ শহরের মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম এবং বৃহত্তর ময়মনসিংহের গর্ব ও ঐতিহ্যের স্মারক সদর উপজেলার “বড় মসজিদ”। প্রায় ২০০ বছরের পুরোনো এই মসজিদটি যেন শহরের মুসলিম সম্প্রদায়ের প্রাণকেন্দ্র। এটি শুধু শহরেই জনপ্রিয় তা নয়, বাইরে থেকে যারা ময়মনসিংহে আসেন, তারা নামাজের জন্য বড় মসজিদেই ছুটে যান।
বিশেষ করে জুমা’র নামাজ এবং ইদের জামাত আদায়ের জন্য বড় মসজিদ ময়মনসিংহ সদরের মুসল্লিদের সর্বাধিক প্রিয় মসজিদ। এমনকি জুমার নামাজ এবং ইদের জামাত আদায়ের জন্য হাজার হাজার মানুষ বাস-ট্রেনে চড়ে ও পায়ে হেঁটে বহুদূর পথ পাড়ি দিয়ে আসেন ময়মনসিংহের এই কেন্দ্রীয় মসজিদে’র ফায়েজ নেয়ার জন্য।
প্রায় দু’শ বছর আগে তৎকালীন জমিদারের মৌখিক অনুমতিক্রমে গণ্যমান্য মুসলমানগণ নামাজ আদায়ের জন্য টিনের ছাপড়া মসজিদ নির্মাণ করেন কোতোয়ালি থানা সংলগ্ন চক বাজার নামক স্থানে। ১৮৫০-১৮৫২ সালে যাত্রা শুরু করা সেই মসজিদটিই এখন ১.৯ একর জমির ওপর নির্মিত ‘বড় মসজিদ’, যা তিন তলা বিশিষ্ট সুরম্য এক স্থাপত্য। মসজিদটির দৈর্ঘ্য ১০৫ ফুট ও প্রস্থ ৮৫ ফুট। ১৯৩৫ সালের বেঙ্গল ওয়াকফ্ অ্যাক্টের অধীনে মসজিদটি পাবলিক এস্টেটে পরিণত হয়।
প্রতি তলায় ১৮টি করে কাতারে মুসল্লিরা নামাজ আদায় করতে পারেন। পাঁচ হাজার মুসল্লি এখানে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। অপূর্ব অলঙ্করণে সুশোভিত এই মসজিদের ১২৫ ফুট উঁচু দুটি মিনার রয়েছে। চীনামাটির তৈজষপত্রের টুকরা দিয়ে অপূর্ব নকশার আস্তরণে তৈরী হয়েছে এর একটি কেন্দ্রীয় সুবৃহৎ গম্বুজ এবং মসজিদের পশ্চিম দিকে দুটি অনুচ্চ ফাঁপা গম্বুজ রয়েছে। গম্বুজের আদলে ঢেউ খেলানো ডিজাইনে দেওয়া হয়েছে ছাদের রেলিং। মসজিদের তিনটি প্রবেশমুখেও আছে অনুচ্চ গম্বুজ শোভিত ফটক।
মসজিদ আঙ্গিনায় বানানো হয়েছে আরো কয়েকটি নান্দনিক বৃহদাকৃতির অনুচ্চ গম্বুজ ও লতাপাতার বিন্যস্ততায় থোকায় থোকায় আঙ্গুর শোভিত ফটক ও অনুচ্চ নকশার দেয়াল। মসজিদের প্রবেশমুখেই আছে রঙ-বেরঙের মাছের শোভামন্ডিত স্বচ্ছ-পবিত্র পানির অ্যাকুরিয়াম সদৃশ দুটি হাউজ ও আলাদা অজুখানা। অদূরেই রয়েছে অত্যাধুনিক বেশকিছু সৌচাগার।
মসজিদের অভ্যন্তরে মূল্যবান মোজাইক পাথরের মেঝে, কার্পেট, দেয়ালজুড়ে স্বেত-শুভ্র মনোরম টাইলস, সুদৃশ্য ঝাড়বাতি, অত্যাধুনিক সাউন্ডপ্রুফ ব্যবস্থা ও এয়ার কন্ডিশনড ব্যবস্থাও রয়েছে, যা মুসল্লিদেরকে একাগ্রচিত্তে ইবাদতে মনোযোগী তোলে।
পবিত্র রমজানে অসংখ্য মুসল্লি এই মসজিদে ইতিকাফ করেন। মসজিদ সংলগ্ন দুটি বহুতল ভবনে রয়েছে সুবিশাল আবাসিক হাফিজি ও কাওমি মাদ্রাসা। এখানে সুদক্ষ বিজ্ঞ আলিমগণের তত্ত্বাবধানে ‘দাওরা হাদিস’ পর্যন্ত পাঠদান করা হয়। এতে সমৃদ্ধ একটি ধর্মীয় পাঠাগারও রয়েছে।
মসজিদটির জন্মলগ্ন থেকেই এটি বিশিষ্ট সব আলেম উলামাগ্ণের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রায় প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ১৯৪০ খ্রি. পর্যন্ত মিসর থেকে আগত প্রখ্যাত ক্বারী ও আলিম হজরত মাওলানা আব্দুল আওয়াল (রহ.) বড় মসজিদের ইমামের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি মিসরী ক্বারী সাহেব নামে পরিচিত। ১৯৪১ থেকে ১৯৯৭ খ্রি. টানা ৫৬ বছর হাকিমুল উম্মাত হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানবির (রহ.) খলিফা, মুজাদ্দিদে মিল্লাত, যামানার কুতুব হযরত মাওলানা ফয়জুর রহমান (রহ.) ইমাম ও খতিবের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর পবিত্র ফায়েজ, সান্নিধ্য, দোয়া, দাওয়াত ও খেদমত-মেহনতে ময়মনসিংহের ‘বড় মসজিদে’র দ্যুতি বিশ্বব্যাপী।
মসজিদ পরিচালনা কমিটি এ মহান আধ্যাত্মিক সাধকের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ মসজিদ সংলগ্ন মাদরাসাটির নামকরণ করেন ‘জামিয়া ফয়জুর রহমান (রহ.)’। ১৯৯৭ খ্রি. থেকে এখন পর্যন্ত হাদিয়ে যামান, পীরে কামিল, হাযরাতুল-আল্লামা শাইখ আব্দুল হক (দা. বা.) অত্যন্ত সুনাম ও দক্ষতার সঙ্গে ইমাম ও খতিবের দায়িত্বরত আছেন। অত্যন্ত প্রিয়ভাজন ছানি ইমাম হাফিজ, মুফতি, মাওলানা রাইছুল ইসলাম (দা. বা.)।
‘বড় মসজিদের খিদমতে আরো রয়েছেন ১ জন হিসাব রক্ষক, ২ জন মুয়াজ্জিন ও ৩ জন খাদিম। সর্বসাধারণের দোয়া-দানে মসজিদটি সবসময় তিলাওয়াত, তালিম-তাবলিগ ও ইবাদতের গাম্ভীর্যে থাকে প্রাণময়। সারাবছর ধরে দেশি বিদেশি বিভিন্ন তাবলীগ জামাতের পদচারণায় মুখর থাকে পবিত্র এই বড় মসজিদ প্রাঙ্গন।
এছাড়াও ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে ১৬০০ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত ভুলসোমা জামে মসজিদ এবং ১৬২৫ খ্রীস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত নলুয়াপাড়া জামে মসজিদ।
কয়েকশত বছরের পুরোনো এই পুরাকীর্তি মসজিদসমূহ প্রত্নতাত্ত্বিক মূল্য বিবেচনায় শুধু মুসলিম ধর্মাবলম্বী ছাড়াও এদেশের সব ধর্মের লোকদের জন্যই মূল্যবান সম্পদ। তাই এগুলোর রক্ষনাবেক্ষন করা আমাদের সবার দায়িত্ব্য এবং এই ঐতিহাসিক নিদর্শনগুলো সম্পর্কে মানুষকে জানানোও আমাদের অন্যতম গুরুদায়িত্বের একটি। আর তাই ময়মনসিংহ জেলার প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী কিছু পবিত্র মসজিদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই ছিল এই লেখার উদ্দেশ্য। সবার সম্মিলিত চেষ্টা আর যত্নে বেঁচে থাকুক এই শতবর্ষী পবিত্র নিদর্শনগুলো।