ফেনী জেলায় প্রচুর দর্শনীয় স্থান রয়েছে, রয়েছে ঐতিহাসিক অনেক জায়গা,যেসব জায়গার সঙ্গে জুড়ে আছে হাজার বছরের ইতিহাস। ফেনী জেলা আয়তনে ছোট হলেও এটি একটি উন্নয়নশীল জেলা বর্তমানে। অর্থনীতির দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে ফেনী জেলা।
ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর বিখ্যাত মুখ ও স্থানে পরিপূর্ণ এই জেলার ইতিহাস। অনেক গুলো নামকরা স্থানের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি হলো ফেনী জেলার একমাত্র জাদুঘর।
ফেনীর মহিপাল মোড় মাত্র ৮ কিলোমিটার দূরে ফেনী-নোয়াখালী সড়কের ডান পাশে মাতুভুঁইয়া ব্রিজের কাছে তৎকালীন লক্ষণপুর গ্রাম যেটি বর্তমানে সালামনগর সেখানে ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর অবস্থিত।ভাষা শহীদ আব্দুস সালামের জন্ম ১৯২৫ সালে দাগনভূঞা উপজেলার মাতুভুঁইয়া ইউনিয়নের লক্ষণপুর গ্রামে যা বর্তমানে তার নামানুসারে সালাম নগর। তার পিতার নাম ফজিল মিয়া। তিনি ১৯৫২ সালে ঢাকায় তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের শিল্প বিভাগে পিয়নের চাকরি করতেন।
ভাষা আন্দোলনের সময় আবদুস সালাম ঢাকা মেডিকেল কলেজের পাশে নীলক্ষেত ব্যারাকের ৩৬বি নং কোয়ার্টারে বসবাস করতেন।মাতৃভাষা বাংলার রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হোস্টেলের সম্মুখে ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে তিনি পুলিশের গুলিতে আহত হন।
এই ঘটনার পর দেড় মাস ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন থাকার পর ১৯৫২ সালের ৭ই এপ্রিল মৃত্যুবরণ করেন আবদুস সালাম।২০০০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে তাকে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত করা হয়।ভাষা শহীদ সালামে স্মৃতি রক্ষার্থে সালামনগরে প্রতিষ্ঠিত হয় “ভাষা শহীদ আবদুস সালাম গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর”। প্রতিদিন বহুলোক এ জাদুঘর দেখতে আসেন। প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসে এখানে বইমেলা অনুষ্ঠিত হয়।ফেনীর একমাত্র জাদুঘর এভাবেই বছরের পর বছর নিদর্শন হয়ে টিকিয়ে রেখেছে নিজস্বতা।