পেয়ারা বাংলাদেশের জনপ্রিয় ফলের একটি। স্বাদ ও পুষ্টিগুণের কারণে পেয়ারাকে বাংলার আপেলও বলা হয়ে থাকে।বাংলাদেশে পেয়ারা এসেছে তিনশত বছর হলো। এটি ভিটামিন সি এবং পেকটিনের অন্যতম উৎস।
উৎপত্তি ও বিস্তারঃ
আমেরিকা মহাদেশের বিভিন্ন উষ্ণ অঞ্চলে প্রথম পেয়ারার সন্ধান পাওয়া যায়। আদিনিবাসের কথা বলতে গেলে বলা যায় মেক্সিকো হতে পেরুর স্থানগুলোই পেয়ার আদিনিবাস। পরবর্তীতে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।স্প্যানিশ, ব্রাজিল,পাকিস্তান, ভারত,বার্মা,মালয়েশিয়া, ফ্লোরিডা, ফিলিপাইন সহ বিভিন্ন দেশে পেয়ারার আবাদ ছড়িয়ে পড়ে। আকার, আকৃতি, স্বাদ, রং এর প্রভেদের জন্য পেয়ারার প্রজাতিতেও দেখা যায় ভিন্নতা।
পেয়ারার জাতঃ
আমাদের দেশে পেয়ারার অসংখ্য জাত রয়েছে।আকারে ছোট- বড়, গোলাকার, উপবৃত্তাকার, নাশপাতি আকার, রং সবুজ, লাল, শাঁসবিশিষ্ট এর উপর ভিত্তি করে নানা জাতের পেয়ারা দেখা যায়।এ গণের প্রায় ১৫০ টি প্রজাতি আছে। আমাদের দেশে কয়েকটি উন্নত জাতের পেয়ারা হচ্ছে কাজী পেয়ারা, বারি পেয়ারা-২,বারি পেয়ারা -৩,বারি পেয়ারা- ৪। এই পেয়ারাগুলো বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইন্সটিটিউট,গাজীপুর থেকে উদ্ভাবিত। আবার বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত জাতগুলো হচ্ছে বাউ পেয়ারা ১ থেকে ৯ পর্যন্ত, ইপসা পেয়ারা। স্থানীয় জাতের মধ্যে রয়েছে কাঞ্চননগর,মুকুন্দপুরী, স্বরুপকাঠি ইত্যাদি। তবে বর্তমানে থাই পেয়ারার চাষের প্রতি আগ্রহ বেড়েছে চাষীদের।
১.কাজী পেয়ারাঃ কাজী পেয়ারা গুলো আমাদের দেশে আনা হয় আশির দশকে। কাজী পেয়ারার নাম শুনিনি এমন কাউকেই পাওয়া যাবে না। কারণ পেয়ারা গুলো হরহামেশাই বাজারে পাওয়া যায়।কাজী পেয়ারা গুলো আকারে উপবৃত্তাকার এবং ওজনে বড়। এক একটি পেয়ারার ওজন গড়ে ৫০০ গ্রাম হয়ে থাকে। গাছগুলো দ্রুত বর্ধনশীল।
২.বাউ পেয়ারা-১ঃ এগুলো বামন জাতের মৌসুমি পেয়ারা গাছ। পেয়ারাগুলো মাঝারি ধরনের, গোলাকার,নরম ও মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকে।
৩. বাউ পেয়ারা-২ঃ এই পেয়ারাগুলো ওজনে ৩০০-৬০০ গ্রাম হয়, আকারে গোলাকার, ডিম্বাকার, কচকচে এবং মিষ্টি।
৪.বাউ পেয়ারা-৩ঃ এগুলো দেশিয় জাতের পেয়ারা। আকারে ছোট ও নরম, স্বাদে মিষ্টি ও সুস্বাদু।
৫.বাউ পেয়ারা-৪ঃ উজ্জ্বল সবুজ, হালকা গন্ধযুক্ত, নরম ও মসৃণ। এছাড়াও আছে বাউ পেয়ারা-৫,৬,৭,৮,৯.
৬.স্বরুপকাঠি পেয়ারাঃ বরিশালের স্বরুপকাঠিতে এই পেয়ারা বেশি চাষ হয় বলে এর নাম স্বরুপকাঠি পেয়ারা রাখা হয়েছে। পেয়ারা গুলো মাঝারী আকৃতির হয়ে থাকে এবং স্বাদে মিষ্টি।
কত কত জাতের পেয়ারা আছে আমাদের দেশে।এগুলো কিন্তু বিভিন্ন জেলায় জেলায় চাষীরা চাষ করে। যার ফলে অঞ্চল ভেদে এদের নামও ভিন্ন।
একটা কথা না বললেই নয়, আজ পেয়ারা নিয়ে লিখতে খুবই ভালো লাগছে।কারণ পেয়ারা আমার পছন্দের ফল। আমাদের আগের বাসায় যখন ছিলাম পাশের বাসার আন্টি তার গাছে একটা পেয়ারা ধরলেও নিজেরা না খেয়ে আমার জন্য নিয়ে আসতেন। লিখতে লিখতে পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ে গেলো।
পেয়ারা চাষে বিভিন্ন প্রযুক্তিগত পদ্ধতিঃ
পেয়ারা সিজনাল ফল হলেও আমরা এখন সারাবছর পেয়ারা পেয়ে থাকি। পেয়ারা চাষে এখন বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে যার ফলে আমরা বছরের ১২ মাস পেয়ারা পাচ্ছি। বছরব্যাপী ফলন পাওয়ার জন্য যে পদ্ধতিগুলো প্রয়োগ করা হয় সেগুলো হলো-
১. শাখা -প্রশাখা বাঁকানো পদ্ধতিঃ ফলন বৃদ্ধির জন্য এটি একটি কার্যকরী এবং নতুন প্রযুক্তি। গ্রীষ্মকাল ও হেমন্তকালে গাছের বয়স যখন দেড় থেকে দুই বছর হবে তখন গাছের শাখা গুলো বাঁকিয়ে দিতে হবে।এতে করে সাধারণ ফলনের থেকে ১০ গুণ বেশি ফলন পাওয়া যাবে। গাছটির বয়স ৫-৬ বছর পর্যন্ত এভাবে শাখা বাঁকিয়ে দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য শাখা বাঁকানোর ১০-১৫ দিন আগে গাছের গোড়ায় পানি ও সার দিয়ে নিতে হবে।
২. শিকড় উন্মুক্তকরণ পদ্ধতিঃ গাছের গোড়ার মাটি খানিকটা আলগা করে দিলে গোড়ায় আলো বাতাস সহজেই পৌঁছাতে পারে। এজন্য বছরে একবার হলেও গোড়ার মাটি আলগা করে দিতে হবে।সাধারণত এপ্রিল -মে মাসে এই কাজটি করলে ভালো হয়। তবে খেয়াল রাখতে হবে কিছুতেই যেন গাছের শিকড়গুলো কেটে না যায়।
৩.ব্যাগিং পদ্ধতিঃ ব্যাগিং পদ্ধতি ফলকে ভালো ও বাহিরের আক্রমণ থেকে রক্ষা করে। পলিথিন দিয়ে পেয়ারা ঢেকে দিলে পোকামাকড়, বাদুর,পাখি,কাঠবিড়ালি এতে আক্রমণ করতে পারে না। এতে করে সতেজ ফল পাওয়া সম্ভব। তবে পলিথিনের গায়ে ছিদ্র করে দিতে হবে যাতে সহজেই আলো বাতাস ফলের গায়ে লাগে।এক্ষেত্রে বাদামী কাগজও ব্যবহার করা যায়।এ পদ্ধতির ফলে ফলগুলো সূর্যের আলট্রাভায়োলেট রশ্নি থেকে রক্ষা পায়। যার ফলে কোষ বিভাজন বেশি হওয়ায় ফল আকারে বড় হয়।
৪.হরমোন জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ পদ্ধতিঃ বছরের এপ্রিল -মে মাসে সাধারণত ২-৫ বছর বয়সী গাছে ফলন বৃদ্ধির জন্য হরমোন প্রয়োগ করা হয়। স্প্রে মেশিনের মাধ্যমে গাছের পাতায় ভালোভাবে হরমোনগুলো প্রয়োগ করা হয়। প্রধানত ২,৪ -ডি, ন্যাপথালিন এসিটিক এসিড, ১০% ইথানল সহ বিভিন্ন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করা হয়। এতে করে গাছ ও ফল পোকামাকড় থেকে রক্ষা পায়।
৫. জোড় কলমের মাধ্যমেঃ পেয়ারা গাছ সাধারণত উইল্টিং রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। যার ফলে পেয়ারার ফলন কমে যায়। তবে এই রোগ প্রতিরোধে জোড় কলম পদ্ধতি বেশ কার্যকরী। পলি পেয়ারা, স্ট্রবেরি পেয়ারা, আঙুর পেয়ারার জাতের চারাকে আদিজোড় হিসেবে ব্যবহার করে পেয়ারা গাছের এই উইল্ট রোগ এড়ানো সম্ভব।
৬. কুশিভাঙাঃ গাছের ডাল সংখ্যা যত বাড়বে ফল তত বেশি আসবে। এজন্য গাছের ডাল সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য কুশিগুলো ভেঙে দিতে হবে। যার ফলে কুশি ভাঙার ২০-২৫ দিনের মধ্যেই নতুন ডাল গজানো শুরু করবে। এভাবে ডাল যত বাড়বে পেয়ারা তত বেশি পাওয়া যাবে।
৭.অঙ্গ ছাটাইঃ মরা, শুকনো, রোগাক্রান্ত, অপ্রয়োজনীয় ডালপালা নির্দিষ্ট সময় পর পর ঝাটাই করতে হবে। এর ফলে গাছের ডালপালা বাড়ার সাথে সাথে ফলনও বাড়বে।
অন্যান্য জাতের পেয়ারার থেকে থাই পেয়ারা অধিক ফলন ও বেশি দামের জন্য চাষিদের মধ্যে বিপুল সাড়া জুগিয়েছে। রাজশাহী, নাটোর, বগুড়া, ঈশ্বরদীর চাষিরা এখন বাণিজ্যিক ভাবে থাই পেয়ারা চাষ করছেন এবং আর্থিকভাবে স্বচ্ছলতা পেয়েছেন।থাই পেয়ারা চাষে ফুল ফোটার মাত্র ৯০ দিনের ফলন পাওয়া সম্ভব।পেয়ারাগুলো আকারে প্রায় ৪০০-৭০০ গ্রাম হয়ে থাকে। একারণে এর বাজার দাম ও চাহিদা দুইই বেশি।
আমাদের টাংগাইল জেলাতেও থাই পেয়ারা এখন বাণিজ্যিক ভাবে চাষ করা হচ্ছে।টাংগাইল জেলার সখিপুর, কালিহাতি, মধুপুর, মির্জাপুর, বাসাইল উপজেলার কিছু কিছু গ্রামে বিশাল জায়গা জুড়ে গড়ে উঠেছে পেয়ারার বাগান। এই পেয়ারা গুলো নির্দিষ্ট সময় পর পর পাইকারদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে দেশের আনাচে কানাচে।
থাই পেয়ারা চাষ করে টাংগাইলের সফল চাষি মাছুম আল মামুনঃ
থাই পেয়ারা চাষে টাংগাইল জেলার সখীপুর উপজেলার সফল উদ্যোক্তা মাছুম আল মামুন। অল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতিতে পেয়ারা চাষে মামুন সফলতার মুখ দেখেছেন।
আজ থেকে প্রায় ৫ বছর আগে তিনি পেয়ারা চাষ শুরু করেন। প্রথমে ৫ একর জমিতে আম চাষ শুরু করলেও সেখান থেকে বেশ লোকসানের শিকার হন মামুন। এজন্য ২০১৭ সাল থেকে আমের পাশাপাশি থাই পেয়ারা চাষের জন্য নিজের ও লিজ নেওয়া প্রায় ২ একর জমিতে থাই পেয়ারার গাছ রোপন করেন।ভালো চারা,মাটির উর্বরতা শক্তি,জৈব সার, অনুকূল আবহাওয়া , সেচ এবং নিয়মিত পরিচর্যার ফলে রোপনের ১০ মাস পরেই গাছে ফল ধরতে শুরু করে।লাভবান হওয়ার পরবর্তীতে আরো ২ একর জমিতে তিনি পেয়ারা গাছ রোপন করেন।এখন তার ৪ একর জমিতে মোট ২৪০০ থাই পেয়ারা গাছ আছে যেগুলোর মধ্যে ১৪০০ গাছে ফ্রুট ব্যাগিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।প্রতি গাছে কমপক্ষে ৪০ কেজি পেয়ারা পাওয়া যায় এবং এদের ওজন ৩০০-৫০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে।
বাগানটি দেখাশোনা করার জন্য এখানে প্রায় ১৫ জন কর্মী নিয়োজিত রয়েছে। করোনার কারণে অনেক কলেজ শিক্ষার্থীও এখানে কাজ করে নিজেদের পরিবারকে সাহায্য করছে বলে জানিয়েছেন মামুন সাহেব।মৌসুমে বাগান থেকে পেয়ারার জন্য বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে পাইকাররা প্রতি সপ্তাহে আসেন। এবছর ১৫ লাখ টাকার পেয়ারা বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা করছেন।তিনি আরও জানান লকডাউনের কারণে বর্তমানে কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। লকডাউনে সরকার গার্মেন্টস শিল্পকে রক্ষার জন্য হাজার হাজার কোটি টাকা প্রণোদনা দিয়েছে। কৃষিকে রক্ষার জন্য উদ্যোক্তাদের প্রণোদনা ব্যবস্থা করা হলে নবীন উদ্যোক্তারা টিকে থাকবে এবং নতুনরা আগ্রহী হবে। এতে করে দেশের বেকার সমস্যা দূর হবে।
শুধু থাই পেয়ারা নয় বরং কাজী পেয়ারার বড় বড় বাগান লক্ষ্য করা যায় উপজেলা পর্যায়ে। যেখানে কর্মরত মানুষগুলো পেয়ারা আবাদ করে নিজেকে অবস্থার পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। নতুন নতুন অনেক উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে পেয়ারা চাষাবাদে। উপযুক্ত গাইডলাইন এবং টাকার অভাবে তারা মাথাচারা দিয়ে উঠতে পারছে না। স্থানীয় কৃষি গবেষণা কেন্দ্র গুলো এব্যাপারে একটু সজাগ হলে পেয়ারা চাষে আরো অনেকেই এগিয়ে আসবে বলে ধারণা করা যায়।
উপকারিতা
পেয়ার ভিটামিন সি এর ভালো উৎস। এতে ২১১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি আছে যা ৪ টি কমলালেবুর ভিটামিন সি এর সমান।এছাড়াও পেয়ারাতে ভিটামিন এ, বি,কে, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রচুর পানি, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম,প্রোটিন ও খনিজ পদার্থ সমৃদ্ধ।
* পেয়ারের উপস্থিত ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষতিকর ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসের বিরুদ্ধ লড়াই করে শরীরের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে।
*এতে উপস্থিত ভিটামিন এ চোখের দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে, রাতকানা রোগ থেকে বাঁচতে এবং চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়।
* পেয়ারার আঁশ শরীরের চিনি শোষণ কমাতে পারে। এজন্য নিয়মিত পেয়ারা খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।
* পেয়ারা ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লাইকোপেন, ক্যান্সার কোষের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে পারে।
*পেয়ারাতে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে। নিয়মিত পেয়ারা খেলে রক্তচাপ ও রক্তের লিপিড কমে আসে।উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেয়ারা বেশ কার্যকরী।
*নিয়মিত খাবারের তালিকায় পেয়ারা থাকলে ডায়েরিয়া হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
* পেয়ারাতে উপস্থিত ফলিক এসিড একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য খুবই প্রয়োজন। কারণ এটি বাচ্চাদের নার্ভাস সিস্টেমকে উন্নত করে।
* পেয়ারার পাতা দাঁত ব্যাথার জন্য খুব ভালো।
* পেয়ারা রক্তসঞ্চালন ঠিক রাখে এবং কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে হৃদরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা পেয়ারা খেতে পারেন।
*পেয়ারা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
* পেয়ারাতে প্রচুর পরিমান পানি থাকে যা ত্বক ও চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে।
* পেয়ারা ফলের রস সর্দি কাশি, আমাশয়, পেটের অসুখ সারাতে পারে।
পেয়ারা যেহেতু বারো মাসি ফল সেহেতু ই-কমার্স সেক্টরে এর ব্যাপক সম্ভবনা রয়েছে। বর্তমানে পেয়ারার কতগুলো উন্নতজাত ও নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হওয়ায় পেয়ারা চাষে বাম্পার ফলন সম্ভব। এক্ষেত্রে নতুন উদ্যোক্তা তৈরি এবং তাদের যথাযথ প্রণোদনা প্রদান করলে এই সেক্টর অনেকদূর এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়। এখন তো ইন্টারনেটকে কাজে লাগিয়ে প্রচারণা এবং পেয়ারার বাজার তৈরি করা খুব একটা কঠিন কাজ নয়।আর আরিফা মডেল তো সেই কাজটিই করছে । জেলার জেলার সম্ভাবনা পণ্য গুলো তুলে ধরছে। যার ফলে অনলাইন অফলাইনে মানুষ ঐ পণ্য সম্পর্কে জানতে পারছে এবং কাজ করতে আগ্রহী হচ্ছে। প্রত্যন্ত অজপাড়াগাঁয়েও পৌঁছে যাচ্ছে ই-কমার্স এর ব্যাপ্তি, আরিফা মডেলের সুফল এবং এক এক করে সফলতার গল্প তৈরি হচ্ছে।
ইসরাত জাহান জীম
স্বপ্নডিঙ্গা