অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য ভ্যালু অ্যাডেড ট্যাক্স (ভ্যাট) আহরণের কোনো বিকল্প নেই। বছরে ৫ কোটি টাকা বা তার বেশি টার্নওভারের প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় বা লেনদেন তথ্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) অনুমোদিত সফটওয়্যার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। চলতি বছর থেকেই এনবিআর এ নিয়ম চালু করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সব নিয়ম মেনে ১১টি প্রতিষ্ঠান ভ্যাট সফটওয়্যার তৈরি করেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেনা কাঁচামালের ভ্যাট হিসাব করা যায় সহজে। পাশাপাশি প্রস্তুতকৃত পণ্যের ভ্যাটসহ সঠিক দাম নির্ধারণ করে বিক্রি করে উপযুক্ত লাভ পাওয়া সম্ভব। আর দেশের প্রচলিত ভ্যাট আইন অনুসারে হিসাবে গরমিলও থাকবে না। কত টাকা ভ্যাট সরকারি কোষাগারে যাবে, সেটা থেকে যাবে সফটওয়্যারের হিসাবে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো ইউওয়াই সিস্টেমস লিমিটেড, ইনোভিয়া টেকনোলজিস লি. ধ্রুপদি টেকনো কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, ডিভাইন আইটি লিমিটেড, সিম্ফনি সফটটেক লিমিটেড, বেস্ট বিজনেস বন্ড লিমিটেড, সিএসএল সফটওয়্যার রিসোর্সেস লিমিটেড, অ্যালাইড ইনফরমেশন টেকনোলজি লিমিটেড এবং যুবসফট ইনফরমেশন সিস্টেমস লিমিটেড। এসব অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানের সফটওয়্যারের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিতভাবে ঝুঁকি এড়িয়ে ভ্যাট প্রদান করা যায়।
বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯-এ ভ্যাট সফটওয়্যার নিয়ে থাকছে ভ্যাট জোন। যেখানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড অনুমোদিত ১১টি প্রতিষ্ঠান তাদের ভ্যাট সফটওয়্যার প্রদর্শন করবে। ১১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনটির সফটওয়্যার নিজ প্রতিষ্ঠানের জন্য ভালো হবে তা যাচাই ও ক্রয় করা যাবে।
গতকাল ‘টেকনোলজি ফর প্রসপারিটি’ স্লোগান নিয়ে বেসিস সফটএক্সপো ২০১৯ শুরু হয়েছে। চলতি বছর প্রদর্শনী এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। যেখানে ২৫০টি তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের স্টল রয়েছে। দেশীয় তথ্যপ্রযুক্তি পরখ করে দেখার জন্য রাখা হয়েছে এক্সপেরিয়েন্স জোন ও ইন্ডাস্ট্রি ৪.০ জোন। এবারের প্রদর্শনীতে ৩০টির বেশি তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিবিষয়ক সেমিনার রাখা হয়েছে। যেখানে বক্তব্য রাখবেন শতাধিক দেশী-বিদেশী তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ। দেশী-বিদেশী ব্যবসায়ীদের জন্য থাকছে বি-টু-বি ম্যাচমেকিং সেশন। এর মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা নিজেদের ব্যবসার প্রসার খুব সহজেই করতে পারবেন। এছাড়া করপোরেট আওয়ার শীর্ষক সেমিনারে অংশ নেবেন পাঁচ শতাধিক উচ্চপদস্থ করপোরেট কর্মকর্তা।