বাংলাদেশের বাজারে সবথেকে বেশি কমেছে স্যামসাংয়ের মোবাইল ফোন ও স্মার্টফোন সরবরাহ। বাংলাদেশের বাজারে চতুর্থ অবস্থানে নেমে গেছে বিশ্বের শীর্ষ মোবাইল ফোন কম্পানি স্যামসাং। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এ কম্পানির বাজার অংশীদারি ছিল ৭.৯০ শতাংশ । ২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকের তুলনায় গত বছরের এ সময়ে কম্পানির মোবাইল ফোন সরবরাহ কমেছে ৩১ শতাংশ।
আইডিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৮ সালে প্রথম বাংলাদেশে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। যদিও বাজারে ফিচার ফোনের আধিক্যই বেশি। ২০১৮ সালে দেশের বাজারে ফিচার ফোন আসে দুই কোটি ১৬ লাখ ইউনিট, যা মোট বাজারের ৭৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে ফিচার ফোন আসে দুই কোটি ৬১ লাখ ইউনিট।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের শুরুতেই বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু করা হয়েছে। কিন্তু সীমিত নেটওয়ার্ক ও ফোরজি সক্ষম হ্যান্ডসেটের দাম বেশি হওয়ায় বছরজুড়ে এর চাহিদা ছিল কম। এ খাতে শুল্ক বাড়ায় মোবাইল ফোন কম্পানিগুলোকে দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্যও লড়াই করতে হচ্ছে।
২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে ছিল দেশীয় মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিম্ফনি, দ্বিতীয় অবস্থানে ট্র্যানশান, তৃতীয় অবস্থানে স্যামসাং, চতুর্থ অবস্থানে হুয়াওয়ে এবং পঞ্চম অবস্থানে ওয়ালটন। এক বছর শেষে অবস্থান পরিবর্তন হয় স্যামসাং, হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের। তবে সিম্ফনি এবং ট্র্যানশানের অবস্থান পূর্বের জায়গাতে থাকলেও সিম্ফনি হারিয়েছে ৬.৮ শতাংশ মার্কেট, ট্র্যানশান হারিয়েছে এক শতাংশ।
স্যামসাংকে সরিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে শাওমি। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এ কম্পানির বাজার অংশীদারি বেড়ে হয়েছে ৮.২০ শতাংশ। মোবাইল ফোন সরবরাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।
২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে প্রবৃদ্ধি আসে মাত্র ২ শতাংশ। এর মধ্যে ভালো প্রবৃদ্ধি করেছে অ্যানড্রয়েড গো সংস্করণ। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অ্যানড্রয়েড গো স্মার্টফোনের বাজার ২৯ শতাংশ থাকলেও চতুর্থ প্রান্তিকে তা বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ। এতে প্রান্তিক প্রবৃদ্ধি বাড়ে ৫১ শতাংশ। চতুর্থ প্রান্তিকে এ বাজারে শীর্ষ ভূমিকা রেখেছে সিম্ফনি। গো স্মার্টফোনে সিম্ফনির অংশীদারি ৩৯ শতাংশ।