সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ এবং বিচ্ছিন্নতাবাদের সমর্থন, প্রশংসা এবং প্রচার বন্ধ করতে যাচ্ছে ফেসবুক কর্তৃপক্ষ। আগামী সপ্তাহ থেকে এটি কার্যকর হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে ফেসবুক। একই সাথে সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীদের কনটেন্ট চিহ্নিত করা এবং ব্লক করার সক্ষমতা বাড়ানোরও ঘোষণা দিয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই জায়ান্ট প্রতিষ্ঠান। বিবিসির এক অনলাইন প্রতিবেদনে এই খবর জানানো হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বেশ চাপে আছে। ওই ঘটনায় হামলাকারী শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বাবাদী ব্রেন্টনের হামলার সরাসরি সম্প্রচার করায় ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বিশ্বব্যাপি সমালোচনার শিকার হচ্ছে। এই অবস্থায় নতুন করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফেসবুক।
এখন থেকে ফেসবুকে কোনো হিংসাত্মক বা অপরাধমূলক পোস্ট দিতে চাইলে সেটি উগ্র সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কাজ করা একটি সেলের নির্দেশনা অনুযায়ী পোস্ট দিতে হবে। যারা ফেসবুকের এই সন্ত্রাসবাদমূলক কনটেন্ট মোকাবিলায় কাজ করবে।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নিউজিল্যান্ডে মসজিদে হামলার পর বিভিন্ন দেশের নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সন্ত্রাসবাদী কনটেন্ট প্রচারের ক্ষেত্রে আরো দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান।
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আর্ডার্ন বলেছিলেন, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম কেবল পোস্টম্যানের ভূমিকা পালন করলে হবে না। তাদেরকে কোনো কনটেন্ট শেয়ার করার ক্ষেত্রে দায়বদ্ধতা নিয়ে কাজ করতে হবে।
ক্রাইস্টচার্চে হামলার ফেসবুক লাইভ সরিয়ে ফেলার আগেই প্রায় ৪ হাজার বার দেখা হয়। ফেসবুক দাবি করেছে, ওই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রায় ১২ লাখ শেয়ার হওয়া ওই লাইভ ভিডিও ব্লক করেছে ফেসবুক। এছাড়া ৩ লাখ ভিডিও সরিয়ে ফেলা হয়।