বাংলাদেশ ও তথা বিশ্বের অন্যতম প্রধান সমস্যা হল বাল্যবিবাহ। একবিংশ শতাব্দীতে এসে কণ্যা সন্তানকে এখনও আর্থিক ও সামাজিক বোঝা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। করোনা মহামারির কারণে এ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। কারণ করোনায় মানুষের আয় কমে গেলেও খরচ কমেনি। এ খরচের অজুহাতেই দেশের বিভিন্ন অ লে বিশেষ করে গ্রামা লে বেড়েই চলছে বাল্যবিবাহ।
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মেয়েকে বড় করা ও তার পড়াশুনার আর্থিক খরচ কমাতে প্রাপ্তবয়ষ্কের অনেক আগেই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন অনেক অভিভাবক।
এ সমস্যা সমাধানে খ্যাতনামা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আমাল ফাউন্ডেশন এবং অন্যতম বৃহত্তম আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি ফাইন্যান্স এগিয়ে এসেছে। শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে বাল্যবিবাহ ঠেকাতে প্রতিষ্ঠান দুটি ঋণ সুবিধা দিচ্ছে। গত মাসে বগুড়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঋণ কার্যক্রম শুরু হয়।
মূলত তিনটি সহজ শর্তে সুবিধাবি ত পরিবারকে ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য বিনাসুদে ঋণ দেওয়া হবে। ঋণের জন্য আবেদনকারীর কণ্যা সন্তানের বয়স ১২-১৮ বছরের মধ্যে হতে হবে, কণ্যা সন্তান প্রাপ্তবয়স্ক হবার পূর্বে তাকে বিয়ে দেয়া যাবে না এবং কণ্যা সন্তানের সর্বনি¤œ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
আবেদন যাচাইয়ের পর সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আবেদনকারী সবার সামনে শপথ গ্রহণের মাধ্যমে আমাল ফাউন্ডেশন এবং আইপিডিসির কাছ থেকে ঋণ গ্রহণ করবেন। ঋণ প্রাপ্তির পর আমাল ফাউন্ডেশন আবেদনকারীকে নিজস্ব ব্যবসা গড়ে তোলার সকল প্রশিক্ষণ ও সুযোগ-সুবিধা পেতে সহযোগিতা করবে।
৩০ দিনের গ্রেস পিরিওডের পর আইপিডিসির পক্ষ থেকে আমাল ফাউন্ডেশন আবেদনকারীর কণ্যা সন্তানের শিক্ষাব্যবস্থার উপর বিশেষ নজরদারি রেখে কিস্তি গ্রহণ করতে শুরু করবে।
আমাল ফাউন্ডেশন এবং আইপিডিসি মনে করে, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এ ঋণ সমাজে কণ্যা সন্তানকে বোঝা হিসেবে দেখার দৃষ্টিভঙ্গি করে গ্রামীণ আর্থিক উন্নয়নের পথ সুগম করবে।