আইনস্টাইন এতটাই প্রতিভাবান এবং মেধাবী ছিলেন যে প্রায় এক হাজার বিজ্ঞানীদের কাজ তিনি একাই করতে সক্ষম ছিলেন। যে সকল বিষয় নিয়ে সাধারণ মানুষ ভাবতে পারে না বা চিন্তা করতে পারে না তা নিয়েই আইনস্টাইন কাজ করতেন। দুনিয়ার কাছে দুর্বোধ্য বিষয়গুলোকে সহজ করে দিতে আইনস্টাইন।
তার থিওরি অফ রিলেটিভিটি সহ চমকপ্রদ সব থিওরি বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। আইনস্টাইনের ব্রেইন সাধারণ মানুষ থেকে বেশ আলাদা ছিল বলে সবাই বিশ্বাস করত। আইনস্টাইন চাইতেন যে, তার মৃত্যুর পর ব্রেইন নিয়ে যেনো গবেষণা করা না হয়।
আইনস্টাইন মারা যাবার পর তার ব্রেইন চুরি করা হয়েছিল। এরপর তার ব্রেইনকে ২৪০ টি ব্লকে ভাগ করা হয়। বিভিন্ন অ্যাঙ্গেল থেকে অনেক ছবি তোলা হয়। ১০০০ এর বেশি স্লাইড তৈরি করা হয়। দুনিয়ার অন্যান্য গবেষকদের কাছে তিনি স্যাম্পল পাঠিয়েছিলেন।
তারপর আইনস্টাইনের ব্রেইন নিয়ে নানা গবেষণাপত্র প্রকাশিত হতে থাকে। সেখানে সাধারণ মানুষের সাথে আইনস্টাইনের ব্রেইনের পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। আইনস্টাইনের ব্রেনের কার্পাস ক্যালাসেমের সাইজ ছিল অনেক বড়।
পাশাপাশি তার ব্রেনের বাম অংশ এবং ডান অংশের মধ্যে কানেকশন ছিল খুবই চমৎকার। এজন্য তিনি একাধিক জটিল বিষয় একই সময়ে চিন্তা করতে পারতেন। তার ব্রেইনের মধ্যে নিউরনের ঘনত্ব ছিল অনেক বেশি।
আইনস্টাইনের গাণিতিক দক্ষতা সবাইকে চমকে দিয়েছিল। তিনি জটিল গণিত কাগজ কলম বাদেই সমাধান করে ফেলতে পারতেন। আইনস্টাইনের মস্তিষ্ক নিয়ে গবেষণা এখনো শেষ হয়নি। ভবিষ্যতে হয়তো আরও চমক অপেক্ষা করছে।