ভারতের মুম্বাইয়ে বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যার সমাধানে ৪০০ কিলোভোল্ট (কেভি) বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রকল্প হাতে নিয়েছে আদানি এনার্জি সল্যুশন্স লিমিটেড (এইএসএল)। এ লক্ষ্যে আদানি পোর্টফোলিওর এনার্জি সল্যুশন, ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন শাখা খারঘর-ভিক্রোলি ট্রান্সমিশন লিমিটেড (কেভিটিএল) আবার চালু করেছে এইএসএল। কেভিটিএল- এর মাধ্যমে মুম্বাইয়ের ক্রমবর্ধমান এবং ভবিষ্যৎ বিদ্যুৎ চাহিদা মেটাতে বাড়তি বিদ্যুৎশক্তি সরবরাহে কাজ করা হবে। শহরটির বর্তমান বিদ্যুৎ সক্ষমতা চাহিদার তুলনায় পর্যাপ্ত না হওয়ায় এ প্রকল্প হাতে নিয়েছে আদানি। এর মাধ্যমে পৌর এলাকার মধ্যে ৪০০ কিলোভোল্ট (কেভি) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। ফলে শহরটির বিদ্যুৎ গ্রিডের আমদানি সক্ষমতা বাড়ার পাশাপাশি এর নির্ভরযোগ্যতা ও স্থায়িত্বও বাড়বে। এটি গ্রাহকদের বুলেট ট্রেন, মেট্টো রেল ও সিটি রেলওয়েতে যাতায়াতের ক্ষেত্রে টেকসই সুবিধা প্রদান করবে।
গত ৩ বছরে মুম্বাইয়ে দুইবার বড় ধরনের বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সেজন্য খারঘর- ভিক্রোলি লাইন শহরটিতে আরো এক হাজার মেগাওয়াট নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই লাইনটি বন্ধ ছিল, এরপর নিলামের মাধ্যমে ২০২১ সালে এর মালিকানা পায় আদানি।
কেভিটিএল-এর মধ্যে ৪০০ কেভি এবং ২২০ কেভির প্রায় ৭৪ সার্কিট কিলোমিটারের ট্রান্সমিশন লাইন রয়েছে। এর সাথে রয়েছে ভিক্রোলির একটি ১,৫০০ এমভিএ ৪০০ কেভি গ্যাস ইনসুলেটেড সাবস্টেশন (জিআইএস)। প্রায় ৯,৫০০ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে ৪০০ কেভির এ ধরনের কমপ্যাক্ট ডিজাইনের সাবস্টেশন এই প্রথম মুম্বাইতে স্থাপন করা হবে। এর অনন্য ডিজাইনটি ৪০০ কেভি এবং ২২০ কেভি জিআইএসকে উল্লম্বভাবে জমা করে, সেইসাথে জায়গার প্রয়োজনীয়তাও কমিয়ে দেয়।
এইএসএল এই লাইনটি স্থাপন করতে গিয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে, বিশেষ করে শক্ত মাটি ভেদ করে লাইন টানা। তবে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়েছে। যেমন, ভাসমান মালবাহী নৌকার পাল ব্যবহার করে খাঁড়িতে ছয়টি টাওয়ার তৈরি করা হয়েছে। শহুরে এলাকায়, কিছু স্থানে উচ্চতার সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে উঠতে বিশেষ কনফিগারেশন টাওয়ার ব্যবহার করা হয়েছে।
কেভিটিএল প্রকল্পের কাজটি নাভি মুম্বাইয়ের খারঘর এলাকায় শুরু করা হয়েছে, প্রকল্পটি শহুরে জায়গাগুলো দিয়ে গিয়ে মুম্বাই শহরের ভিক্রোলিতে গিয়ে শেষ হয়েছে।