বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্লোবাল সোলার পিভি ডেভেলপার হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে ভারতের বৃহত্তম ও বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান আদানি গ্রিন এনার্জি লিমিটেড (এজিইএল)। মারকম ক্যাপিটাল গ্রুপের এবারের ‘অ্যানুয়াল গ্লোবাল রিপোর্টে’ আদানি গ্রিনকে এ অনন্য সম্মাননা দেয়া হয়েছে। মারকম ক্যাপিটাল গ্রুপ হলো যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি ক্লিন এনার্জি কমিউনিকেশন্স ও রিসার্চ ফার্ম।
মারকম ক্যাপিটাল গ্রুপের প্রতিবেদন অনুযায়ী, নবায়নযোগ্য শক্তি উৎপাদনে অসাধারণ পারফরম্যান্স ও অবদানের জন্য বিশ্বের শীর্ষ সোলার পিভি ডেভেলপার হিসেবে সম্মানজনক দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে এজিইএল।
আদানি গ্রিনের মোট সোলার সক্ষমতা হলো ১৮.১ গিগাওয়াট। যা প্রতিষ্ঠানটির চলমান কার্যক্রম, নির্মাণাধীন ও পুরষ্কারপ্রাপ্ত (পিপিএ- চুক্তিবদ্ধ) প্রকল্পগুলোতে ব্যবহার করা হয়। এটি বিশ্বব্যাপী সৌরশক্তি খাতে আদানির উল্লেখযোগ্য অবস্থানকে দৃঢ় করে। মারকমের প্রতিবেদনে প্রথম অবস্থানে রয়েছে ৪১.৩ গিগাওয়াট সক্ষমতাসম্পন্ন ফ্রান্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠান টোটাল এনার্জিস।
আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি বলেন, “আমরা এমন একটি বাস্তুতন্ত্র (ইকোসিস্টেম) তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে পুরোপুরিভাবে একটি সমন্বিত অভ্যন্তরীণ উৎপাদন ব্যবস্থা, বৃহৎ পরিসরে নবায়নযোগ্য শক্তি এবং গ্রিন হাইড্রোজেন সমাধান থাকবে। ২০৩০ সালের মধ্যে আদানি পোর্টফোলিওর বিদ্যুৎ স্থানান্তর প্রকল্পগুলোতে মোট ৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করা হবে। এটি ২০৩০ সালের মধ্যে আমাদের ৪৫ গিগাওয়াট নবায়নযোগ্য শক্তি সক্ষমতার রূপকল্প অর্জনে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এভাবে এটি ভারতে ডিকার্বনাইজেশনের লক্ষ্য অর্জনে এজিইএল এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রকে শক্তিশালী করবে।”
মারকম ক্যাপিটাল গ্রুপ জুলাই, ২০২২ থেকে জুন, ২০২৩ পর্যন্ত নেয়া উপাত্তের ভিত্তিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০ বৃহৎ সোলার পিভি ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেছে। ১ মেগাওয়াটেরও বেশি সক্ষমতার চলমান কার্যক্রম, নির্মাণাধীন প্রকল্প ও পুরষ্কারপ্রাপ্ত পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) প্রকল্পগুলোর ডেটা এতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
প্রতিবেদন প্রকাশের সময় যেসব শীর্ষ ১০ প্রতিষ্ঠানকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের ১৪৫ গিগাওয়াট সক্ষমতার চলমান কার্যক্রম, নির্মাণাধীন প্রকল্প ও পুরষ্কারপ্রাপ্ত (পিপিএ- চুক্তিবদ্ধ) প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৪৯.৫ গিগাওয়াটের প্রকল্পগুলো চলমান (অপারেশনাল) ছিল, ২৯.১ মেগাওয়াটের প্রকল্পগুলো ছিল নির্মাণাধীন এবং ৬৬.২ গিগাওয়াটের প্রকল্পগুলো পাইপলাইনে (পিপিএ- চুক্তিবদ্ধ) ছিল।
মারকম ক্যাপিটাল গ্রুপের প্রতিবেদনে টোটাল এনার্জিস ও আদানি গ্রিন এনার্জির পরেই তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে কানাডার ব্রুকফিল্ড রিনিউয়েবল পার্টনার্স, চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে ইতালির এনেল গ্রিন পাওয়ার, পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্যের লাইটসোর্স বিপি, ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের এইএস রিনিউয়েবলস, সপ্তমে রয়েছে ফ্রান্সের ইডিএফ রিনিউয়েবলস, অষ্টমে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ইনভেনার্জি, নবম অবস্থানে রয়েছে স্পেনের ইবার্ডরোলা এবং দশম অবস্থান অর্জন করেছে জার্মানির আইবি ভট।