যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের কোটি কোটি ভ্রমণ পিপাসুর কাছে এক স্বপ্নের নাম। অর্থনৈতিক পরাক্রমশালী দেশ হিসাবেই নয়, ভ্রমণের জন্যেও এক কাংখিত দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা কেবল দেশটি ভ্রমণের অনুমতি হিসাবেই কাজ করে এমন নয়, এই একটি ভিসা আপনার পাসপোর্টকে আরও বেশি শক্তিশালী করে।
বাংলাদেশী পাসপোর্ট দিয়ে বর্তমানে ৪২ টি দেশে অন অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। ভিসা প্রসেসিং সেন্টার ডটকমের তথ্যমতে, বাংলাদেশী কোন নাগরিক যখন যুক্তরাষ্ট্রের ভিজিট ভিসা পান, তখন অতিরিক্ত আরও ২১ টি দেশ ভ্রমণ করার সুযোগ পাওয়া যায়। তালিকায় রয়েছে ভ্রমণের স্বর্গরাজ্য মেক্সিকো, বেলিজ, পানামা, কিউবা, আলবেনিয়া, বসনিয়া, মন্টেনেগ্রো, মেসিডোনিয়া, সার্বিয়া, মিশর এবং সৌদি আরব ইত্যাদি।
যুক্তরাষ্ট্র ভিসার সুবিধা যেমন বেশি, এই ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রসেসটাও তেমনই দীর্ঘ। এই ভিসা আবেদনের ক্ষেত্রে সব তথ্য যুক্তরাষ্ট্র দুতাবাস ঢাকার ওয়েবসাইটে বিনামূল্যেই পাওয়া যায়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ফেইসবুক পেইজেও মাঝে মাঝে ভিসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর নিয়ে হাজির হন রাষ্ট্রদূত নিজেই কিংবা কনস্যুলার সেকশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
যুক্তরাষ্ট্র ভিসার ক্ষেত্রে কি কি প্রমাণ করতে হয়:
- যে দরকারে আমেরিকা যাবেন সেটি কতটা যৌক্তিক এবং প্রোফাইলের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন কি না।
- দেশের সাথে আপনার টাই কি আছে। যেমন শক্তিশালী পেশাগত, শিক্ষা, পারিবারিক এবং সামাজিক অবস্থান বাংলাদেশে কতটা শক্তিশালী সেটি বিবেচনায় নেয়া হয়।
যেভাবে যুক্তরাষ্ট্র ভিসার আবেদন করবেন:
- ভিজিট ভিসার জন্য প্রথমে একটি ভিসা ফরম পূরণ করতে হবে। স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে যেটি ডিএস১৬০ ফরম নামে পরিচিত।
- অনলাইনে ব্যাংকের মাধ্যমে কিংবা ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের যেকোন শাখায় আপনাকে ১৮৫ ডলার সমপরিমাণ বাংলাদেশী টাকা ভিসা ফি ব্যাংকে জমা দিতে হবে।
- সাধারণত ৬-১২ মাসের মধ্যে আপনাকে একটি ইন্টারভিউয়ের তারিখ দেয়া হবে, যেই তারিখ অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস ঢাকায় গিয়ে একজন ভিসা অফিসারের সঙ্গে ইন্টারভিউ দিতে হবে। ইন্টারভিউতে আপনি ভিসার উপযুক্ত এটা প্রমাণ করতে পারলেই আপনাকে ৫ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের নন-ইমিগ্রান্ট বি১-বি২ ভিসা ইস্যু করা হবে।
কি বলেন অভিজ্ঞরা?
যুক্তরাষ্ট্র ভিজিট ভিসা আপনি নিজে নিজেই আবেদন করতে পারেন। তবে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কোন ভিসা কনসালটেন্সি এজেন্সির সহায়তাও নিতে পারেন। ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে গুলশানের ভিসা প্রসেসিং সেন্টার।প্রতিষ্ঠানটির ভিসা কনসালট্যান্ট জাহিদুল ইসলাম চৌধুরি জানালেন, ভিসা আবেদনের আগে আবেদনকারীর কয়েকটি দেশে ভ্রমণ করা থাকলে সুবিধা পাওয়া যায়। যুক্তরাষ্ট্র ভিসার ক্ষেত্রে ভিসা আবেদন ফরম এবং ইন্টারভিউ এই দুটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ন, তাই যথেষ্ঠ প্রিপারেশন থাকা জরুরী।