বাংলাদেশের জনপ্রিয় ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম পাঠাও, এই বছর তাদের অগ্রযাত্রার দশম বছরে পদার্পণ করছে। আর এই উপলক্ষ্যকে সামনে রেখে পাঠাও-এর সাথে তৈরি হওয়া বিভিন্ন গল্পগুলো নিয়ে, এবারের অমর একুশে বইমেলায় ১৬ই ফেব্রুয়ারি থেকে পাওয়া যাচ্ছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি।
দশ বছরের পথচলায়, পাঠাও-এর সাথে অনেকের জীবনেই তৈরি হয়েছে দারুণ কিছু গল্প। কখনো ফুডম্যান কিংবা রেস্টুরেন্টকে কেন্দ্র করে, কখনো আবার একজন ব্যবসায়ী এবং একজন ডেলিভারি এজেন্টকে কেন্দ্র করে। এতসব গল্পের ভীড়েও থেকে যায় কিছু এগিয়ে যাওয়ার, ভিন্ন কিছু করার, সবার সামনে একটি উদাহরণ তৈরি করার মতো গল্প। পাঠাও-এর সাথে যারা কাজ করছেন, এই প্ল্যাটফর্ম থেকে তারাও প্রতিনিয়ত তৈরি করছেন দারুণ কিছু বলার মতো গল্প।
এই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলোকে মলাটবদ্ধ করে পাঠকদের হাতে তুলে দিতেই এবারের অমর একুশে বইমেলা ২০২৫-এ নিয়ে এসেছে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি। দশ বছরের পথচলায় যেই পাঠাও ইউনিভার্স গড়ে উঠেছে, সেই অগ্রযাত্রার অগ্রদূতদের গল্পগুলো নিয়ে এবারের এই সংকলন।
‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি প্রকাশিত হয়েছে স্বনামধন্য প্রকাশনী সংস্থা স্টুডেন্ট ওয়েজে। ১৬ই ফেব্রুয়ারি বিকাল ৪টায়, একুশে বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং পাঠাও-এর সিইও ফাহিম আহমেদ এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা।
মোড়ক উন্মোচনের সময় সম্মানিত অতিথি, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব, শফিকুল আলম বক্তব্য দেয়ার সময় বলেন, “আমাদের যে অভূতপূর্ব অভ্যুত্থানটি হয়েছে, সেখানে কর্পোরেট হাউজ হিসেবে পাঠাও-এর ভূমিকা ছিলো অপরিসীম। আমি অগ্রযাত্রার অগ্রদূত বইটি পড়ছিলাম। স্টোরিগুলো খুবই ভালো। আমি মনে করি পাঠাও সামনের বছরগুলোতে পাঠাও-এর সাথে যুক্ত সবার যদি প্রতিদিনের ডায়রি এন্ট্রি নিতে এনকারেজ করেন এবং সংগ্রহ করেন,, তাহলে মনে হবে পাঠাও-এর প্রতিদিনের গল্পগুলোই লিপিবদ্ধ হচ্ছে।” এবং পাঠাও-এর সিইও, ফাহিম আহমেদ বলেন, “পাঠাও এই বছর দশ বছরে পদার্পণ করছে। আমরা আমাদের প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে সারা দেশ ব্যাপী ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দিচ্ছি। পাঠাও-এর গল্প শুধু পাঠাও-এর গল্প বা শুধু সেবার গল্প না। পাঠাও-এর গল্প হলো আমাদের সাথে যুক্ত সকল মানুষ, যারা সেবা গ্রহণ করছে এবং সেইসাথে সেবা প্রদান করার মাধ্যমে জীবনকে এগিয়ে নিচ্ছে এবং জীবনের মানকে উন্নত করছে, তাদের কথা। অগ্রযাত্রার অগ্রদূত-এর গল্পগুলো হলো পাঠাও-এর সাথে আমরা যারা যুক্ত আছি, তাদের সবার গল্প।”
একুশে বইমেলার স্টুডেন্ট ওয়েজ প্রকাশনীর ১০ নম্বর স্টল ছাড়াও পাঠাও শপ, বুকওর্ম, রকমারি, বাতিঘর, পিবিএস-সহ বেশ কিছু অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাওয়া যাবে। এছাড়াও দেশজুড়ে বিভিন্ন বইয়ের দোকানে পাওয়া যাবে এই বইটি।
দারুণ কিছু সত্য গল্পের সংকলন ‘অগ্রযাত্রার অগ্রদূত’ বইটি পাঠাও-এর পক্ষ থেকে সবাইকে সংগ্রহ করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত পাঠাও, এমন একটি ডিজিটাল প্লাটফর্ম তৈরি করছে যা অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দেওয়ার পাশাপাশি সবার দৈনন্দিন জীবনের একটি অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাইড শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি এবং ই-কমার্স লজিস্টিকসে পাঠাও শীর্ষস্থানে রয়েছে। ১০ মিলিয়নেরও বেশি ব্যবহারকারী, ৩,০০,০০০ ড্রাইভার ও ডেলিভারি এজেন্ট, ২,০০,০০০ মার্চেন্ট এবং ১০,০০০ রেস্টুরেন্ট নিয়ে পরিচালনা করছে পাঠাও। প্ল্যাটফর্মটি বাংলাদেশে ৫,০০,০০০-এরও বেশি কাজের সুযোগ তৈরি করেছে, যা দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।