গতকাল প্রকৃত সেমিফাইনালই যেন দেখল ক্রিকেটবিশ্ব। ম্যাচভাগ্য পেণ্ডুলামের মতো ঘুরছিল দুদিকেই।
তবে রিজার্ভ ডের শুরুতে অনেকেই ধরে নিয়েছিল এ যাত্রায় ভারতীয়দের বিদায় জানাতে হচ্ছে।
ম্যাচের পরিস্থিতিও তাই বলছিল। ট্রেন্ট বোল্টদের তোপে মাত্র ৫ রানেই উড়ে গিয়েছিল ভারতীয় টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটসম্যান। বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেমিফাইনালে এর থেকে কম রানে ৩ উইকেট হারায়নি কোনো দলই।
যদিও শেষের দিকে সমর্থকদের মুখে হাসি ফোটাচ্ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি ও জাদেজা। এর আগে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া ও ঋষভ পান্টের দিকে তাকিয়েছিলেন ভারতীয়রা। কিন্তু সে আশার গুড়েবালি দেন ঋষভ পান্ট।
দীনেশ কার্তিক বিফল হলেও আরেক প্রান্তে ভালোই মানিয়ে নিয়েছিলেন ঋষভ পান্ট। কিন্তু বড় শট খেলার প্রচেষ্টায় ৩২ রান করেই সাজঘরে ফেরেন তিনি।
মিশেল স্যান্টনারের বলে মিড উইকেটের ওপর দিয়ে হঠাৎই ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে কলিন গ্র্যান্ডহোমের হাতে ধরা পড়েন ঋষভ।
আর দলের এমন মুহূর্তে ঋষভের এভাবে আউট হতে দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। ড্রেসিংরুমে বসেই রাগে লাফিয়ে ওঠেন। কোহলি এতটাই ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন যে, ড্রেসিংরুম থেকে ক্ষিপ্রগতিতে ব্যালকনিতে বেরিয়ে আসেন।
https://www.facebook.com/OfficialCricmatez/videos/1141543779381534/
সেখানে বসে থাকা দলের কোচ রবি শাস্ত্রীর ওপর ঝেড়ে ফেলেন সেই রাগ। হাত নেড়ে জানাচ্ছিলেন ঋষভের এমন অপেশাদ্বারিত্বের বিষয়ে।
উইকেটে যখন থিতু হয়ে থাকার কথা, তখন কেন এভাবে বড় শট খেলতে গেল ঋষভ! তার এমন দায়িত্বজ্ঞানহীনতা মোটেই মানতে পারছিলেন না বিরাট কোহলি। আর সেই মেজাজই উগড়ে দিচ্ছিলেন তিনি শাস্ত্রীর ওপর।
বিরাটের সেই ক্ষোভ ঝাড়ার দৃশ্যটি ধরা পড়ে ক্যামেরায়। সেই দৃশ্য দেখে মনে হয় কোচের সঙ্গে ঝগড়ায় মেতেছেন বিরাট কোহলি। আর সেই ভিডিও রীতিমতো নেট দুনিয়ায় ভাইরাল, যা নিয়ে তুমুল সমালোচনায় মেতেছে ক্রিকেটবিশ্ব।
যদিও যথেষ্ট রাগান্বিত কোহলি কোচকে কি বলছেন তা ভিডিওতে দেখে বোঝার উপায় নেই। তবে সেই সময় শাস্ত্রীকে নিশ্চুপ থাকতে দেখা গেছে। ঋষভ পান্টের আউটের পর পরই শাস্ত্রীর কাছে গিয়ে কোহলি এমন ক্ষোভ ঝাড়েন। সে হিসাবে বোঝাই যাচ্ছে, ঘটনাটি ঋষভ পান্টের আউটকে ঘিরেই।