রক্ষণশীল রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ বিষয়ে এবার কথা বলেছেন গুগলের শীর্ষস্থানীয় এক নির্বাহী কর্মকর্তা। ফক্স নিউজ সাইটে এক নিবন্ধে তিনি লিখেছেন, রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিত্তিতে কারো প্রতি পক্ষপাতিত্ব করা গুগলের নীতিবহির্ভূত। এ বিষয়ে তিনি মার্কিন সিনেট প্যানেলে অনুষ্ঠিত শুনানিতেও একই কথা বলেছেন। খবর রয়টার্স।
রক্ষণশীল রাজনীতিক ও মতামতের বিরুদ্ধে গুগল, ফেসবুক ও টুইটারের মতো ইন্টারনেট জায়ান্টগুলোর বিরুদ্ধে বিমাতাসুলভ আচরণের অভিযোগ বরাবরই করে আসছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। কয়েক মাস আগে টুইটারের সিইও জ্যাক ডরসিকে হোয়াইট হাউজে তিনি ডেকেছিলেনও। এ সময় টুইটার অ্যাকাউন্টে ফলোয়ার কমে যাওয়ার বিষয়ে বারবার ব্যাখ্যা চান ট্রাম্প।
এছাড়া গত এপ্রিলে হোয়াইট হাউজ থেকে একটি টুল অবমুক্ত করা হয়েছে, যেটির মাধ্যমে ইন্টারনেট কোম্পানির কাছ থেকে পক্ষপাতমূলক আচরণের শিকার হলে যে কেউ সরাসরি হোয়াইট হাউজে অভিযোগ জানাতে পারবে।
এ ইস্যুতে চলতি মাসেই হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে সোস্যাল মিডিয়া সম্মেলনও করা হয়। যদিও সে সম্মেলনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বৃহত্তম সাইট ফেসবুককে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি।
এ পরিস্থিতিতে সিনেটের সংশ্লিষ্ট প্যানেল ফের ইন্টারনেট জায়ান্টদের শুনানির আয়োজন করেছে। গত মঙ্গলবার শুনানিতে অংশ নেন গুগলের সরকার ও সরকারি নীতিবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট করন ভাটিয়া। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশের অধীনে তার কাজ করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। শুনানির আগের দিন তিনি রিপাবলিকান ঘরানার গণমাধ্যম ফক্স নিউজ সাইটে এক নিবন্ধে লেখেন, গুগলের কোনো পণ্য বা সেবাই রাজনৈতিকভাবে পক্ষপাতদুষ্ট নয়।
করন ভাটিয়া আরো বলেন, আমাদের সব কাজ এবং নীতি এমনভাবে বাস্তবায়ন করা, যাতে তা কারো রাজনৈতিক পরিচয় কোনোভাবে আমলে না নেয়। প্রতি মুহূর্তে কোটি কোটি সার্চ রিকোয়েস্ট প্রক্রিয়াকরণের জন্য আমরা একটি অ্যালগরিদমের ওপর নির্ভর করি। আর এটি কাজ করে মূলত ব্যবহারকারীর আচরণের ওপর ভিত্তি করে। তাছাড়া যখন এ অ্যালগরিদমে কোনো পরিবর্তন আনা হয়, তখন কঠোরভাবে সেটি পর্যালোচনা করা হয়।
তিনি আরো বলেন, এখন এসব টেক কোম্পানি যদি রাজনৈতিক বক্তব্য সেন্সরের একক ক্ষমতা উপভোগ করে, তাহলে আমি মনে করি, এটি অবশ্যই অ্যান্টি ট্রাস্ট ইস্যুর মধ্যে পড়ে