দিন দিন মানুষের রুচির পরিবর্তন হচ্ছে। বিকৃত হতে হতে তার নানা রকম রূপান্তর ঘটছে। এর প্রভাব পড়েছে মানুষের, বিশেষ করে পশ্চিমা দুনিয়ার মানুষের মধ্যে। আগে তারা জৈবিক চাহিদা পূরণে নিষিদ্ধপল্লীতে যেতেন। সঙ্গিনীকে নিয়ে মেতে উঠতেন অবাধ যৌনতায়। কিন্তু সেই ধারা এখন পরিবর্তন হচ্ছে। এখন আর যৌনপল্লীতে যেতে হয় না তাদের। তারা অনলাইনেই এমন চাহিদা পূরণ করছেন। আর এর সঙ্গে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছেন অনেক যুবতী। তারা অনলাইনে যৌন তৃপ্তি দিয়ে কামিয়ে নিচ্ছেন লাখ লাখ টাকা। এরা ‘ক্যাম গার্লস’ নামে পরিচিত। প্রতি সপ্তাহে গড়ে তাদের আয় ১৬০০ পাউন্ড। তাদেরকে নিয়েই একটি বিশেষ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বৃটেনের একটি ট্যাবলয়েড পত্রিকার অনলাইন সংস্করণ। এতে বলা হয়েছে, একটি ছোট্ট রুম। তার ভিতর ছোট্ট একটি বিছানা। তার ওপর নিজেকে প্রস্তুত করছেন ২৪ বছর বয়সী যুবতী পিক্সি। তিনি তার দিনের কার্যক্রম শুরু করবেন। তবে জানেন না তাকে কি কাজ করতে হবে। এদিনে তার ক্লায়েন্টদের চাহিদা কেমন হবে। যুক্তরাষ্ট্রে তার মতো হাজার হাজার ‘ক্যাম গার্লস’ আছেন। তারা অর্থের বিনিময়ে অনলাইনে ক্লায়েন্টদের যৌন তৃপ্তি দিচ্ছেন। ক্লায়েন্ট যেমনভাবে চাইছেন তারা তেমন তেমনভাবে অ্যাক্টিং করছেন। বিনিময়ে তার একাউন্টে এসে জমা হচ্ছে কাড়ি কাড়ি অর্থ। পর্নোগ্রাফিতে নানা রকম ঝক্কি থাকার কারণে এমন রীতি চালু হয়েছে। এ বিষয়টি চ্যানেল ৪ তার এডভেঞ্চারস ইন ফিউচারল্যান্ডে তুলে ধরেছে। তাতে দেখানো হয়েছে কিভাবে এসব যৌনআসক্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিভাবে পাল্টে যাচ্ছে যৌনতার ধরন, কিভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে অনলাইনে যৌনতা। ভার্চুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহার করে এমন একটি প্রবণতা খুব তীব্র হচ্ছে। তবে এ নিয়ে উদ্বিগ্ন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রেজেন্টার জামালি ম্যাডিক্স। তিনি বলেছেন, এই ভার্চুয়াল জগতে আপনি একজন মানুষকে কল্পনার চোখে বাস্তবে ভেবে নিতে পারেন। ওয়েবক্যাম আপনাকে বিষয়টি সহজ করে দিয়েছে। এর মধ্য দিয়ে আপনি পেতে পারেন এক তৃপ্তিকর অনুভূতি। শুধু এ বছর প্রযুক্তি বিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলো এ রকম শত শত নতুন পথ আবিষ্কার করেছে অনলাইনে। এর সাহায্যে যেসব দম্পতির বয়স বেড়ে যাচ্ছে তাদের তারুণ্যের রমরমা সম্পর্ককে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি সেক্স টেপে ধারণ করতে পারেন ১২০০০ পাউন্ড দিয়ে। অন্যদিকে যুবতীরা বা যুবকরা অনলাইনে হা করে থাকা যৌন আসক্ত ব্যক্তিদের শিকারে পরিণত করতে পারেন। এ খাত থেকে তারা আদায় করে নিতে পারেন বা নিচ্ছেন বিপুল পরিমাণ বাড়তি অর্থ। সম্প্রতি লাস ভেগাস সফর করেছেন ম্যাডিক্স। সেখানে তিনি সাক্ষাত করেছেন ক্যাম গার্ল হিসেবে পরিচিত মিসি’র সঙ্গে। সেখানে ম্যাডিক্স দেখতে পেয়েছেন মিস মিসি অনলাইনে সরাসরি সম্প্রচারিত যৌনতা বিষয়ক উপস্থাপনায় সপ্তাহে ১৬০০ পাউন্ড পর্যন্ত কামাচ্ছেন। এক্ষেত্রে ইন্টারনেটের অন্যপ্রান্তে যিনি বসে আসেন তার চাহিদামতো তাকে অ্যাক্টিং করতে হয়। এভাবেই মিসি’র সঙ্গে নিয়মিত সম্পর্ক গড়ে উঠেছে নাথানের। তিনি একটি দোকানের কর্মচারী। স্বীকার করেছেন তাদের মধ্যে এমন সম্পর্ক ৫ বছরের। এ সময়ে তিনি মিসি’র সঙ্গে অনলাইন যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে পরিশোধ করেছেন ৮০০০ ডলার। নাথানের মতে, আমার কাছে এর মূল্য অনেক। তার সঙ্গে সময় কাটাতে পারি। গল্প করতে পারি। বিষয়টা যেন দীর্ঘদিনের এক বন্ধুত্বে পরিণত হয়েছে।