জল্পনা কল্পনা ছিল আগে থেকেই। অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে আত্মপ্রকাশও করে আইফোন ১১। তবে নতুন এ ফোনটির পেছনের অংশে তিনটি ক্যামেরা অনেকেই সহ্য করতে পারছেন না।
যেসব মানুষের ট্রাইপোফোবিয়া আছে তাদের জন্য এ ধরনের ডিজাইন খুবই ভীতিপ্রদ। ট্রাইপোফোবিয়া হলো একটা ভীতি যেটা কিছু জ্যামিতিক নমুনা বা গুচ্ছ দেখে হতে পারে। বিশেষ করে ছোট ছোট গর্তের মতো দেখতে এমন কিছু।
মঙ্গলবার অ্যাপলের নতুন ফোনটি প্রদর্শনের পরই এর ডিজাইন নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা শুরু হয়েছে।
নতুন দুটি আইফোন মডেলের পেছনের অংশে তিনটি গোলাকার ক্যামেরা আছে। এ ক্যামেরাগুলোই এ আইফোনের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কারণ আইফোন ১১ প্রো এবং আইফোন ১১ প্রো ম্যাক্স একই সময়ে কয়েকটি ভিডিও ধারণ করার ক্ষমতা রাখে। প্রো মডেলে রয়েছে টেলিফটো, ওয়াইড এবং আলট্রা ওয়াইড ক্যামেরা। এ ছাড়া অন্ধকার, রাতে বা অল্প আলোতে ছবি তোলার জন্য নাইট মোডও রয়েছে।
বিবিসি বাংলার একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, যাদের ট্রাইপোফোবিয়া আছে তাদের এ গর্তগুলো দেখে হার্টবিট বেড়ে যেতে পারে, বমি বা ঝিমানি ভাব আসতে পারে অনেক সময় শরীরের লোম শিউরে উঠতে পারে।
ছোট ছোট গর্ত দেখার প্রতিক্রিয়া তীব্র হতে পারে। যখন অনেকগুলো ফোন একসঙ্গে করে বিভিন্ন রঙ দেখানোর ছবি তোলা হয় সেটা দেখে প্রতিক্রিয়া তীব্র হওয়া স্বাভাবিক। এটা পরিষ্কার যে কোম্পানির ডিজাইনাররা যখন এটার নকশা করেন তখন এ বিষয়টা একেবারেই তাদের মাথায় ছিল না।
আইফোন ৮ বা এক্সআর এ মাত্র একটি ক্যামেরা আছে এবং সেটিতে এমন অদ্ভুত প্যাটার্ন ছিল না।
এদিকে প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছুটা দ্রুতগতির চিপসেট, প্রথমবারের জন্য ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা এবং আরও শক্তিশালী ব্যাটারি ছাড়া তেমন কোনো চমকপ্রদ বৈশিষ্ট্য নেই নতুন আইফোনে।
যুক্তরাষ্ট্রের কুপারটিনোর স্টিভ জব থিয়েটারে আইফোন ১১ উন্মোচন করেছে মার্কিন প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।