মোবাইল ডিভাইস; বিশেষ করে স্মার্টফোন আরো আগেই মিনি কম্পিউটারের সমার্থক হয়ে উঠেছে। কম্পিউটার ডিভাইস দিয়ে ইন্টারনেটে যা কিছু করার সুযোগ মিলছে, তার সবই এখন স্মার্টফোনেও করা যাচ্ছে। স্মার্টফোন শুধু দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয় কাজের জন্যই নয়। বিদেশ ভ্রমণেও হয়ে উঠতে পারে দারুণ সহায়ক। এজন্য নিজের স্মার্টফোনে থাকতে হবে কিছু অ্যাপ।
বিদেশ ভ্রমণে সহায়ক পাঁচ স্মার্টফোন অ্যাপ নিয়ে আজকের আয়োজন—
এক্সই
জনপ্রিয় কারেন্সি কনভার্টার অ্যাপ এক্সই। অ্যাপটি বিদেশ ভ্রমণকারীকে সহায়তা করতে পারে নিজ দেশের মুদ্রায় বাইরের কোনো দেশে তিনি কত অর্থ ব্যয় করতে চান। বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ব্যয়ের সমন্বয় করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এক্সই অ্যাপে এ কাজ করা যাবে অনায়াসে। পাশাপাশি অ্যাপটি আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ হস্তান্তরেও সহায়তা করবে। কারেন্সি কনভার্টার এ অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় মোবাইল প্লাটফর্ম সমর্থন করে।
পেপাল
বিদেশ ভ্রমণের সময় জরুরি প্রয়োজনের জন্য অর্থ গচ্ছিত রাখার নিরাপদ মাধ্যম হতে পারে পেপাল। বিদেশ ভ্রমণকারী পেপালের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড কানেক্ট করতে এবং প্রয়োজনে অর্থ স্থানান্তর করতে পারবেন। বাইরের কোনো দেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে নগদ অর্থ খোয়া গেলে পেপাল কাজে লাগানো যাবে কোনো প্রকার জটিলতা ছাড়াই। পেপাল অ্যাপও অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস মোবাইল প্লাটফর্ম সমর্থন করে।
ট্রেইল ওয়ালেট
এ অ্যাপের মাধ্যমে প্রতি ট্রিপ বা মাসিক ব্যয়ের তথ্য ট্র্যাক করা যাবে। অর্থাৎ ভ্রমণে বেরিয়ে খাওয়া, থাকা, যাতায়াত কিংবা কেনাকাটায় আপনি প্রতিদিন কত অর্থ ব্যয় করছেন, তা ট্র্যাক করতে পারবেন। প্রতিদিন কী পরিমাণ ব্যয় করছেন, তা নিজ দেশের কারেন্সির পাশাপাশি যে দেশ ভ্রমণ করছেন, সে দেশের কারেন্সিতে জানাবে ট্রেইল ওয়ালেট অ্যাপ। এ অ্যাপ শুধু আইওএস প্লাটফর্মের জন্য চালু রয়েছে।
গুগল ম্যাপ
গুগল ম্যাপের সুবিধাদি সম্পর্কে নতুন করে জানানোর কিছু নেই। দেশে হোক বা বিদেশে, ভ্রমণের ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপ এড়িয়ে চলার কোনো সুযোগ নেই। শত ভাগ সঠিক না হলেও নেভিগেশনের জন্য গুগল ম্যাপ দারুণ একটি টুল। বিশ্বব্যাপী এর বিকল্প এখনো তৈরি হয়নি। কাজেই বিদেশ ভ্রমণে পথনির্দেশক কিংবা পছন্দের রেস্তোরাঁ খুঁজে নিতে গুগল ম্যাপ দারুণ কাজে আসবে। এ অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় মোবাইল প্লাটফর্ম সমর্থন করে।
মোবাইল পাসপোর্ট
পরিব্রাজকদের কাছে দারুণ জনপ্রিয় একটি অ্যাপ মোবাইল পাসপোর্ট। এটি ব্যবহারকারীকে ফোনের মাধ্যমে পাসপোর্ট ও কাস্টমসসংশ্লিষ্ট তথ্য জমা দিতে সহায়তা করবে। অর্থাৎ স্মার্টফোনে মোবাইল পাসপোর্ট অ্যাপ থাকলে কাস্টমসসংশ্লিষ্ট কাজ সারতে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে অনেক সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না। এ অ্যাপ অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস উভয় প্লাটফর্ম সমর্থন করে।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস