আম নিয়ে হয়তো আপনার অনেক প্রশ্ন রয়েছে, কিন্তু সেসবের উত্তর খুঁজে পাননি। এখানে অসাধারণ ফল আম সম্পর্কে থাকছে আরো কিছু তথ্য।আম রশালো এবং আঁশবিহিন একটি ফল। প্রাচীনকাল থেকেই আমকে ফলের রাজা বলা হয়ে থাকে। স্বাদে, গন্ধে ও পুষ্টিতে এই ফলের জুড়ি নাই। পৃথিবীব্যাপী আমের জনপ্রিয়তা, বৈচিত্র্যপূর্ণ ব্যবহার, স্বাদ-গন্ধ ও পুষ্টিমানের বিবেচনায় বিশ্বে এটি একটি আদর্শ ফল। বাংলাদেশ ছাড়াও বিভিন্ন দেশেরও সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল হিসাবে আম বিবেচিত। শীতপ্রধান দেশগুলোতে এর কদর আগের চেয়ে অনেক গুণ বেড়েছে।
শুধু বাংলাদেশে নয়, বিশ্বজুড়ে ফলের তালিকায় আমের স্থান অনেক শীর্ষে। এর পিছনে গুরুপ্তপূর্ণ কতকগুলো কারণ রয়েছে:
১. উৎকৃষ্ট জাতের আম স্বাদে – গন্ধে অতুলনীয়।
২. আমের উৎপত্তিস্থলরুপে ঐতিহাসিকভাবে যে অঞ্চলগুলোকে চিহ্নিত করা হয় ( মিয়ানমার, মালয়েশিয়া) বাংলাদেশ তার অন্তর্গত ( পার্বত্য চট্টগ্রাম আমের আদি উৎসভূমি)
৩. বাংলাদেশের সকল অঞ্চলে – গ্রামে- গঞ্জে, শহরে- বন্দরে, বাড়ির আঙ্গিনা ও আনাচে- কানাচে যে গাছটি সবসময় দেখা যায় সেটা হচ্ছে আম গাছ।
৪. কচি অবস্থা থেকে পাকা পর্যন্ত সকল অবস্থাতেই আমের ব্যবহার হয়ে থাকে।
৫. ২০১০ সালে নভেম্বর মাসে আমগাছ ” জাতীয় বৃক্ষ” হিসাবে বাংলাদেশের রাষ্টীয় স্বীকৃতি পেয়েছে।
৬. আম ভারত, পাকিস্তান ও ফিলিপাইন্স এ সকল দেশের জাতীয় ফল হিসাবে রাষ্টীয়ভাবে স্বীকৃত।
আমরা যদি আমের সঠিক ব্যবহার করতে পারি তাহলে এ খাতে রয়েছে এক অপার সম্ভাবনা। আমাদের আগ্রাহ ও সচেতনতা পারে এই সম্ভাবনাকে অর্থকারী ফসলে রুপান্তরিত করতে।
লেখক : আব্দুর রাজ্জাক
ফাউন্ডার : বনলতাবিডি.কম