পরবর্তী প্রজন্মের মেমোরি চিপ আনার ঘোষণা দিয়েছে স্যামসাং। এ চিপ বর্তমান সময়ে প্রচলিত সব ডিভাইসের গতি দুই গুণ বাড়িয়ে দেবে এবং এর ধারণক্ষমতাও হবে সব থেকে বেশি। এ চিপের ব্যবহার সুপারকম্পিউটারের কার্যক্ষমতা এবং ডাটা সেন্টারের গতিকে বৃদ্ধি করবে। খবর ব্লুমবার্গ।
পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মেমোরি চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি গতকাল জানায়, ৫১২ জিবির ডিডিআর৫ (ডাবল ডাটা রেট ৫) মডেলের চিপ তৈরিতে প্রথাগত লজিক চিপের আদলে হাই কে মেটাল (এইচকেএমজি) মডিউল ব্যবহার করা হয়েছে।
ডিডিআর৫-এর এ মেমোরি বর্তমান সময়ে বাজারে প্রচলিত ডিডিআর৪ মেমোরি থেকে দ্বিগুণ গতিসম্পন্ন হবে এবং ১৩ শতাংশ কম বিদ্যুৎ ব্যবহার করবে। চলতি বছরের দ্বিতীয়ার্ধ থেকেই এ মেমোরি চিপের বাজারজাতে আশাবাদী স্যামসাং।
কম্পিউটার প্রসেসর নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেলের আসন্ন জিওন স্ক্যালেবল প্রসেসরের (কোডনেম স্যাফায়ার র্যাপিডস) সঙ্গেই এ নতুন মেমোরি চিপ চলে আসবে বলে ধারণা করছেন এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
প্রধান দুটি সিপিইউ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইন্টেল এবং অ্যাডভান্সড মাইক্রো ডিভাইসেসের সঙ্গে অংশীদারিত্বের অংশ হিসেবে স্যামসাং ডাটা সেন্টার প্লাটফর্মের ডেভেলপারদের কাছে নতুন মেমোরি চিপের নমুনা পাঠিয়েছে বলে ব্লুমবার্গকে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রযুক্তি গবেষকরা ধারণা করছেন ডিডিআর৪-এর তুলনায় ডিডিআর৫ চিপগুলো আকৃতির দিক থেকে ২০ শতাংশ বড় হবে। যেটা সেমিকন্ডাক্টর সাপ্লাই চেইনের ওপর মারাত্মক চাপ বৃদ্ধি করবে।
চলতি বছরেই স্যামসাং এই মেমোরি চিপের বাজারজাত শুরু করতে চায়। সেই সঙ্গে ধীরে ধীরে এ চিপের উন্নতিকরণের কাজও শুরু করতে চায়। যেখানে অতিবেগুনি রশ্মির লিথোগ্রাফি এবং মূল্য নির্ধারণের বিষয় জড়িত। যার ফলে প্রথম দিকেই এ চিপটি প্রিমিয়াম পর্যায়ে থাকবে।
২০২৩ সালের মাঝামাঝি ডিডিআর৪-এর ব্যবহারকারীরা ডিডিআর৫-এর পক্ষে চলে আসবে বলেও জানায় স্যামসাং।
ট্রেন্ডফোর্স রিসার্চের ভাইস প্রেসিডেন্ট এভ্রিল উ বলেন, যেহেতু ধীরে ধীরে ডিডিআর৫ বাজার দখল করে নেবে, তাই ২০২২ সালে ডির্যামের সংকট দেখা দেবে। এছাড়াও এর বাজারমূল্য ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও আছে।